আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার কাজিন এবং একজন ডিজুস কন্যা(কিছুটা ১৮+ হতে পারে)

ব্লগার না পাঠক হওয়ার চেষ্টায় আছি আমার এই কাজিনটার বয়স আর আমার বয়স সমান। ছেলে হিসেবে ও চরম ভাল কিন্তু মাঝে মাঝে একটু চাপা মারে আর কি! আমরা দুই বান্দর যখন এক হই তখন যে কি পরিমান দুষ্টামি আর ফাইজলামি করি তা বলার কোন অবকাশ হয় না। অনেক দিন পর আজকে এই দুইটা এক হইছিলাম। কম্পুটার মেলায় ঘুরবার গেছিলাম। কিন্তু মেলায় গিয়া মনটা খারাপ হইয়া গেল।

যেদিকে চোখ যায় ওদেকেই কপোত-কপোতি। অনেক্ষণ ঘুরলাম। মেলার পাশাপাশি অনেক মানুষের খেলাও দেখলাম। এই যেমন প্রেমিক-প্রেমিকার ঝগড়া, পিচ্চি পোলাপানের তাগো পিতা-মাতার দ্বারা মাইর খাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। হের লগে গল্প করতাছিলাম ঠিকই তয় চারদিকের সব হ্যান্ডসাম পোলাগো লগে স্টাইলিশ সব মাইয়া দেইখা আমার মনের যে কি অবস্থা আর বুঝান যাইব না।

গেরালফ্রেন্ড অর্জনের লাইগা ভাগ্য লাগে নাকি মেয়ে পটানোর ক্ষেমতা থাকা লাগে এইডা লইয়া আমরা বিশেষ গোবেষনা চালাইতাছিলাম। আমি বারবার কইতাছিলাম প্রেম বিষয়টি পুরা ভাগ্যের আর উনি যুক্তি দেখাইতেছিলেন ভাগ্যের চেয়ে নিজের যোগ্যতাই আসল। কিন্তু ওই মহান গোবেষনার মধ্যে বাগড়া দিল একটা মিচকল। মিচকল পাওনের লগে ও লাফাইয়া উইঠা কইল “ও ফোন দিছে”। আমি কিছুটা অবাক হইয়া কইলাম কেডা তুমারে ফোন দিছে?! ও কইল “ভুইলা গেছ তোমারে যে বলছিলাম একটা মেয়ে আমারে ফোন দিতাছে দুই দিন ধইরা ও এখন মিস্কল দিছে।

” আমি খানিকটা অবাক হইলাম। কাহিনী হইল আমার কাজিনটা এক বছর আগে পেয়ারটেলের থুক্কু এয়ারটেলের ভয়েস চ্যাটে রেজিস্ট্রেশন না কি জানি করছিল। দুইটা মেয়ে মাঝখানে ফোনও নাকি দিছিল। তেনাগো সাথে নাকি এখনও উনার মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। যেহেতু পোলাডা চাপা ছাড়ে সেহেতু তার এই কথা আমার বিশ্বাস করার কুনো কারন নাই।

তয় মূল সমস্যা অন্যখানে। দুইদিন ধইরা এক কইন্যা ফুন দিতাছে যতদুর জানি, কইন্যারা কখনো ফুন দেয় না, মিচকল দেয়। তাই ওনার এই কথাডাও বিশ্বাস হইল না। আইজকাও যখন মিচকল দিল তখনো আমার পুরা বিশ্বাস হইল না। কারন আমার কাজিন মেয়েদের সাথে কথা কইব এইডা ভাবাও কষ্ট!! যা হোক, মিচকল পাওনের পর থাইকাই পোলাডা আমারে ইচ্ছামত পচাইবার লাগল।

কইবার লাগল আমি ক্ষেত, আমারে দিয়া কিচ্ছু হইব না। এমনি মন খারাপ, পোলাডার টিটকারি শুইনা মনডা আরো খারাপ হইয়া গেল। আরে, আমি জানি আমারে দিয়া কিছু হইব না কারন অচেনা মেয়েদের কথা বাদ, কেলাসের মেয়েফ্রেন্ড ফুন দিলেও আমার গলা কাপে। সামনা-সামনি কথা কইতে গেলে পা কাপে। আমারে এইসব নিয়া টিটকারি দিয়া লাভ আছে! তারপরও পোলাডা আমারে টিটকারি কইরা যাইতাছে।

এই সময় হঠাত একটা কল আসল। আমার কাজিনটা লাফাইয়া উঠল। মনে হয় ওই মেয়ে পোলাডারে কল দিছে। অনুমান সত্য। আমার কাজিন কইতে লাগল অই মেয়েই ফুন দিছে।

ও ফুন ধইরা একটা বড় দোকানের তুলনামুলক নির্জন স্থানে আসল। উনাদের কথোপকথন নিচে দিয়া দিলাম। যেহেতু পোলাডা লাউড স্পিকারে কথা কয় নাই তাই শুধু পোলাডার কথাই দেয়া হলঃ কাজিনঃনা আমি ব্যস্ত না। একেবারে ফ্রি। কোন অসুবিধা নাই।

বল বল… (ওইপাশ থেকে মনে হয় জিগাইল শব্দ কিসের) কাজিনঃআরে একটু মেলায় আসছি। তাই শব্দ। (ওখান থেকে মনে হয় প্রেমিকা সম্পর্কে কিছু বলল) কাজিনঃআরে ধুর!! আমার কুনো প্রেমিকা নাই। (ওখান থেকে মনে হয় বিশ্বাস করতে চায় নি) কাজিনঃকেন তুমার মনে হইল আমার অনেক জিএফ?? (ওখান থেকে মনে হয় ফ্রেন্ডশিপ সম্পর্কে কিছু বলল) কাজিনঃদেখ কাউকে না দেইখা ফ্রেন্ডশিপ করতে পারব কিন্তু এই রিলেশনটা কি শুধু ফ্রেন্ডশিপেই থাকবে? (ওখান থেকে মনে হয় বলল পরে গভীর রিলেশন হবে) কাজিনঃদেখ রিলেশন করার আগে কাউকে না দেইখা আমি রিলেশন করব না। আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।

আচ্ছা তোমার কি ফেসবুক আইডি আছে? (ওখান থেকে মনে হয় না বোধক কিছু বলল) কাজিনঃওও। (একটা গভীর দীর্ঘশাস) আচ্ছা তুমি কি তোমার কোন ছবি আমাকে মেইল করতে পারবা? (ওখান থেকে মনে হয় মানা করল বা কোন সমস্যার কথা বলল) কাজিনঃআচ্ছা আমরা কোথাও দেখা করি? (ওখান থেকে মনে হয় মানা করল বা পরে দেখা করার কথা বলল) কাজিনঃআচ্ছা, আর কিছুদিন কথা বলে তারপর। উনাদের তখন কথা হইছে ১৫ মিনিট। কাজেই সব কথা লেখতে গেলে ব্লগের পাতা শেষ হইয়া যাইব। তাছাড়া আমার তো সব মনেও নাই।

তয় ওগো কথা থেকে বুঝলাম মেয়েটা পর্থম এক নাম কইছে পরে আরেক নাম। প্রথমে কইছে এক স্কুলে পড়ে, আইজকা কইছে কলেজে। যা হোকগা, মেলা থেকে বাইর হওনের সময় কাজিন আমারে কইল আমি যেন তার একটা উপকার করি। আমি জানবার চাইলাম কি উপকার। ও কইল যেদিন মেয়েটা ওর সাথে দেখা করবে সেদিন যেন ওইখানে আমিও থাকি।

আমি তো চরম প্যাচে পরলাম। আর কিছু না কইয়া রাজনীতিবিদদের মত দুলকি চালে মাথা নাড়লাম। এখন দেখা যাক, ঘটনা কোন দিকে যায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।