আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাজা খবর!গরম খবর!!বাংলাদেশে স্পাইডার-ম্যান!!!

জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। স্পাইডার-ম্যান ভাইজান তো বহুত ধুরন্ধর পাবলিক। তো, আমার ধারণা তার এই ধুরন্দরপনা শুধু আম্রিকা, কানাডা, রাশিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মত উন্নত দেশেই সীমাবদ্ধ। আমাদের দেশে আসলে, আমি নিশ্চিত সে আমসত্ত্বের মত চুপসে যাবে।

এখানে এসে মনে মনে না!!! চিল্লাফাল্লা করেই ‘ ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে...............’ টাইপ গান গাওয়া শুরু করবেন। স্পাইডার-ম্যান ভাইজান বাংলাদেশে আসার একটা গুজব আকাশে বাতাসে উড়ছিল কিছুদিন যাবত। ম্যেঙ্গু জনতার জন্য বিষয়টা ব্যাপক চিন্তার। এদের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই চিন্তায় আমার ঘুম হারাম। আমার মতে ভদ্রলোক আমাদের দেশে আসলে নিন্মুক্ত সমস্যা সমূহে পরতেন, ১) তিনি শুধুমাত্র ঢাকার গুলশান/ বনানী ছাড়া আর কোথাও তাঁর বিল্ডিংয়ে চড়ার ক্ষমতা ব্যাবহার করতে পারতেন না ( বাংলাদেশের আর সব জায়গায় একসাথে এত বড়বড় বাড়িঘর কই?)।

২) আসার প্রথম দিনেই তাঁর জানাজা পড়ার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে, কারণ রাস্তাঘাটে যে পরিমাণ বিদ্যুতের তার, নিশ্চিত ভাবেই তিনি এতে জড়িয়ে মারা পরবেন। ৩) রাস্তাঘাটে দেখে যে কেও (যারা চিনে না) তাকে সিলটি বলে গালি দেবেন, কারণ এই উৎকট ড্রেস-আপ নিয়ে আর কোন এলাকার মানুষের পক্ষে রাস্তায় বের হওয়া সম্ভব না। ৪) তিনি যে ভাবে নারী ও শিশুদের জড়িয়ে ধরে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, বিপদ কেটে যাওয়ার মিনিট ৩০ এর মধ্যে ইভ-টিজিং মামলায় জড়াবেন। পুলিশ মামাদের জন্য মোটা অংকের ডলার বরাদ্ধ রাখতে হবে। ( বিদেশীদের কাছ থেকে সুযোগ পেলে নিশ্চয় ডলারের বদলে টাকা চাওয়ার মত আতেল আমাদের পুলিশ মামারা না)।

৫) কলম কেনার জন্যও তার ভ্রমণ বাজেটের একটা বড় অংশ রাখতে হবে, কারণ অটোগ্রাফ শিকারির এতো ঘনত্ব পৃথিবীর আর কোন দেশে নাই বলেই আমার ধারণা। ৬) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করতে হবে এবং যৌথ প্রেস-ব্রিফিংয়ে সেই দলের কর্মকাণ্ডের গভীর বিশ্লেষণ পূর্বক প্রশংসা বাক্য আওড়াতে হবে। অবশেষে মুগ্ধতার বান করতে হবে। ৭) তাঁকে প্রত্যন্ত একটি গ্রামে যেতে হবে, সেখানে গিয়ে কিছু শীত বস্র বিতরণ শেষে তাদের দারিদ্রের জন্য মেকী আফসোস করতে হবে। ৮) প্রচুর সংখ্যক টকশো তে অংশগ্রহণ করে একই প্রশ্নের উত্তর বার বার দেয়ার মত ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

৯) তাঁকে সাথে একজন দর্জি নিয়ে আসতে হবে অতিরিক্ত পোশাক-আশক বানিয়ে দেয়ার জন্য, কারণ কম পক্ষে একবার তার রুমে চুড়ি হবে, সব নিয়ে যাবে ( আরে ব্যাটা, শিক্ষকরাই ছাড় পায় না!!! তাঁদের ল্যাপটপ টেপটপ সব চুড়ি হয়ে যায়। আর তুই তো ব্যাটা সামান্যই!!! ) ১০) আসা ও যাওয়ার সময় ইমিগ্রাশনে দেয়ার মতো প্রচুর টাকা পয়সা নিয়ে আসতে হবে, কারণ দুনিয়ার সবকিছু থেকে মাপ পেলেও এখান থেকে মাপ পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ইহা জন্মমৃত্যুর মতই অবধারিত। ----- আর যাওয়ার আগে একটা বিরক্তিকর ব্লগ পড়ার পেইন তাঁকে নিতেই হবে। দরকার হলে আমি তাঁকে এটি ইংলিশে অনুবাদ করে দেব।

তবুও তাঁকে লেখাটা পড়িয়ে ছাড়ব ইনশাল্লাহ!!! *** Special Thanks to সহকারী আইডিয়াবাজ Irtiza Antar , মুন্না ও প্রিন্স । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।