বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি স্থান। আজ সন্ধা ছয়টা ত্রিশ মিনিটের দিকে মদিনা মার্কেট এলাকায় জামাত-শিবির ১০ থেকে ১৫ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাওয়া হয়ে গেছেন। কেউ আহত হয়েছে কিনা তা জানা যায় নি। তবে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। হরতাল হবে কাল আর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই।
আপনারা নিশ্চিত থাকুন ‘আমার দেশ’ পত্রিকার কোথাও এ খবরটি আসবে না। আরও বড় বড় খবর তাদের কাছে পাত্তা পায় না।
একটি পত্রিকাকে জনপ্রিয় করার সবচেয়ে নিকৃষ্ট পন্থা হচ্ছে বিতর্কিত বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া। ‘আমার দেশ’ ঠিক এ কাজটিই করে যাচ্ছে। ব্লাগার রাজিবকে নিয়ে এত টানা হেঁচড়া করতে এতটুকু মানবতা বোধ জাগ্রত হয় নি।
সত্য অসত্য অর্ধ সত্য সব কিছুই এখন ‘আমার দেশের’ কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শর্ত একটায় খবরটি হতে হবে শাহবাগ বিরোধী। রাজিবের বিতর্কিত বিষয় গুলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা গুরত্ব সহকারে ছাপালেও তাদের পাতায় স্থান পায় নি ব্লগার রাজিবের লেখালেখি পাকিস্তানিদের ওয়েবসাইটে পাওয়ার খবর। পাকিস্তানী ওয়েবসাইটে শহীদ রাজিবের ব্লগ তখনি পাওয়া যায় যখন সে খুন হয়। জনাব মাহমুদুর রহমান এ বিষয়টিতে আপনার আগ্রহ নেই কেন? আপনি কার দালালি করছেন? রাজাকার জামায়াতের নাকি পাকিস্তানিদের? জবাব দিন।
সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব পত্রিকা কেউ পড়ে না। কারণ তাদের পিঠে লেবেল আঁটা আছে। বাদ রইল ‘আমার দেশ’। আজকের দিনে ‘আমার দেশের’ পেপার বিক্রি ভালো হলেও আজ থেকে কয়েক বছর কিংবা কয়েক মাস পরে ‘আমার দেশের’ অবস্থা হবে সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, ইনকিলাব পত্রিকার মত। আমি বুঝি না মাহমুদুর রহমানের মত নিকৃষ্ট একজন সম্পাদককে নিয়ে এতটা হৈ চৈ করার কি প্রয়োজন! ডাস্টবিনের পাশে কতশত কুকুর প্রতিদিন খাবারের জন্য হৈ চৈ করে।
কই তাদের নিয়ে তো আমরা এত কথা বলি না।
কালের গর্ভে বিলীয়মান ‘আমার দেশ’ ইতিহাসের পাতায় ২০১৩ এর ‘দৈনিক আজাদ’ হিসেবে টিকে থাকবে। সাবাস মাহমুদূর! সাবাস ‘আমার দেশ’!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।