সম্পাদনা করি আমিরাত-বাংলা মাসিক মুকুল। ভালবাসি মা, মাটি ও মানুষকে.. ২০০৮ সালে যুক্ত হই খেলাঘর আসরের সাথে। এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও কর্মী হিসেবে ২০০৮ এ যোগ দেই। সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় পঞ্চখণ্ড খেলাঘর আসর গঠন করি আমরা। সভাপতির দায়িত্ব পড়ে শিশুসাহিত্যিক লোকমান আহম্মদ আপন ও সম্পাদকের ভার আমার কাঁধে।
তখন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার মানসে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করি আমরা। এর মাঝে খেলাঘর স্কুলে যায়-মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনায় অন্যতম। আমাদের লক্ষ্য হলো আজ থেকে ২০ বছর পর আর কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে জীবিত পাবোনা হয়তো। বাচ্চারা একদিন মুক্তিযোদ্ধা দেখছে বলতে পারবে। জানতে পারবে সঠিক ইতিহাস।
এই মানসিকতা থেকে শুরু করি উপজেলার স্কুলগুলোতে কার্যক্রম। ২০০৯ এ আমি চলে এলাম পরবাসে। স্থবির হয়ে পড়ে কার্যক্রম। ২০১১ ডিসেম্বর আমি গেলাম দেশে। আবার জেগে ওঠলো আমার স্বপ্নরা।
আপন ভাইকে বলেই শুরু করলাম কার্যক্রম। নিদনপুর সুপাতলা বালিকা বিদ্যালয় থেখক শুরু করে একে একে ঘুঙ্গাদিয়া বড়দেশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিয়ানীবাজার আদর্শ মহিলা কলেজ, হাজী ফয়জুর রহমান একাডেমী, মুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যারয়, পূর্ব মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ মুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে চলে এ কার্যক্রম। আবার চলে এলাম পরবাসে। যখন ফেরবো দেশে বেঁচে থাকলে আমাদের এ সংগ্রাম চলবে। দয়াকরে সবাই সবার নিজ এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।