আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাক্কু রাজাকার জিইত্তা যায় ... ওদের বুকটা ফাইট্টা যায়!

আজ ৫ জানুয়ারীর কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রায় ৩০ হাজার ভোট বেশী পেয়ে সাক্কু প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন রাত প্রায় ৯টা বলতে গেলে দেশীয় সবকয়টি টিভি চ্যানেলে সাক্কুর জয়গান শুনতে পাচ্ছি তবে কয়েকটি চ্যানেল দেখে মনে হলো বজ্রপাতে তাদের বুকটা অঙ্গার হয়েগেছে! মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র দৈনিক জনকণ্ঠ বিদেশী সংস্থার জনমত জরিপের বরাত দিয়ে লিখেছে 'আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রতি এখনও দেশের ৬৬ ভাগ মানুষ আস্থাশীল। আর এখন নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ৩৫ ভাগ মানুষ ভোট দিবে। ' কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর কুমিল্লাবাসী জানিয়ে দিলেন বিদেশী সংস্থার জনমত জরিপ আগাগোড়াই ভূঁয়া! অথবা জনকণ্ঠ মিথ্যা লিখেছে। শুধু তাই নয় আজ নির্বাচনের দিন পত্রিকাটি অতি উৎসাহের সাথে হেডিং করেছে 'কুসিক নির্বাচন আজ : মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার লড়াই হবে'।

পত্রিকাটি ভিতরে লিখেছে, "মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মর্যাদার লড়াই ...... আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ আফজল খান একজন মুক্তিযোদ্ধা। অন্যদিকে বিএনপির বহিষকৃত নেতা ও নাগরিক কমিটির প্রার্থী মুনিরুল হক সাক্কু পরীক্ষিত রাজাকারের ছেলে। কুসিক নির্বাচনে তারা দু'জনই হেভিওয়েট প্রার্থী। মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার প্রশ্নে ভোটাররা নগরপিতা হিসেবে কাকে বেছে নেবেন? এ প্রশ্ন সবার। ফল যাই হোক এই প্রেক্ষাপটে আজকের নির্বাচনকে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের সন্তানের মধ্যে মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

" এটি ছিল সকালের জনকন্ঠের খবর আর সন্ধ্যায় সব কটি টিভি চ্যানেলের খবর হলো আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মাত্র ৩০ হাজার ভোট কম পেয়ে রাজাকারের সন্তানের কাছে শোচনীয়ভাবে ধরাশায়ী হয়েছেন! এটি কি কেয়ামতের আলামত? তা না হলে যে সময়ে মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত সোল এজেন্ট আওয়ামী লীগ দেশে উন্নয়নের নহর বয়ে দিয়েছে সে সময়ে কুমিল্লাবাসী নগর পিতা হিসেবে রাজাকারের সন্তানকে বেছে নিলো কেন? সরাসরি রাজাকারের কাছে হেরে গেলেও কিছুটা ইজ্জত হয়তো বাঁচতো, তাই বলে রাজাকারের বেটার কাছে হেরে যাবে! জনকণ্ঠের ভাষ্যমতে ' আজকের নির্বাচনকে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের সন্তানের মধ্যে মর্যাদার লড়াই হিসেবেই দেখছেন অনেকে' এ মর্যাদার লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানকে এভাবে ভুলুণ্ঠিত করার অপরাধে আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া উচিত। কুমিল্লাবাসী একজন তথাকথিত রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীকে যেভাবে বুকে টেনে নিলো তাতে মনে হলো চেতনার শুক্রানু বহনকারী মুখ চেনা ভারতীয় দালালদের বুকটা ফাইট্টা চৌচির হয়েগেছে! ভারতের উচ্ছিষ্ট ভোজী জনকন্ঠ মনে করেছিল সাক্কুকে রাজাকার বানাতে পারলেই কুমিল্লাবাসী বেহুসের মতো মুক্তিযোদ্ধা আফজল খানকে নগর পিতা বানিয়ে মাথায় নিয়ে নাচবে! শুধু মুখে মুখে মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা জপতে জপতে মুখে ফেনা তুললে কাম হবে না। ভারতের স্বার্থ বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থে কাম করতে হবে নইলে দেশের সবখানেই এভাবে রাজাকারের সন্তান বা নাতী-নাতনীর কাছে ধরাশায়ী হতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।