আমরা সবাই অভিনয় শিল্পী এই রঙ্গমঞ্চের...... শিরনাম দেখেই অনেক আমাকে রাজাকার ভাবতে পারেন অনেকে আবার ভাবতে পারেন আমার চৌদ্দ গোষ্ঠি রাজাকার, অনেকে ভাবতে পারেন মাথায় কোন সমস্যা হয়েছে । তা নাহলে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়ে শিক্ষকের ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়ার পর ও স্বাধীনদেশে কিভাবে আমি এই ধরনের একটা শিরোনাম করতে পারি। তাদের উদ্দেশে বলছি আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধকে আসলেই সম্মান করি বলেই এই শিরনাম করলাম। যদিও আমার সামান্য হলেও খারাপ লাগছে ।
আজ সকালে বল্গে বসার পরই এই শিরনামটা মাথায় আসছিল।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানের সহযোগী ছিল তাদেরকেই আমরা রাজাকার বলে জানি, আর তার সাথে এও জানি যারা মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করেনা তারাও রাজাকারের পর্যায়ভুক্ত।
আজ আমাদের সমাজে মুক্তিযুদ্ধকে এতটাই নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে যে সব কিছুতেই আমরা স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে হয়। মুক্তির চেতনা ছিল বলেই যে আমরা আজ স্বাধীন এই কথা কেন তারা ভুলে যায় যারা ৪০ বছর পরও মুক্তির চেতনা খুঁজতে চায়।
সবকিছুতেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর বিপক্ষের শক্তিকে খুঁজে বের করি । এই কাজটা করে কোন আমরা আমাদের গৌরবান্নিত মহান মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মান করি ।
আজ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এর প্রথম নির্বচন উনষ্ঠিত হয়েছে । দেশের প্রথম শারির একটি দৈনিক জনকস্ঠ তাদের প্রথম পাতায় রিপোট করেছিল মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারের লড়াই । আর এই নিয়ে তারা অনেক তথ্য উপাত্তদিয়ে একটা রিপোট করেছিল যেখানে কন্ঠ শিল্পী আসিফ আকবর কে ও এক হাত দিয়েছিলেন ।
যারা নির্বচন করেছিলিন তারা কি একবার ও কেউ স্বাধীনতার বিপক্ষে কথা বলেছিলেন নাকি তারা এখন কুমিল্লা রাজাকারদের এলাকা হিসেবে ঘোষনা করবেন । ফলাফলে দেখা গেল মুক্তিযোদ্ধা সমর্থিত প্রাথী রাজাকার প্রাথীর অর্ধেক ভোট ও পাননি।
এর দ্বারা কি প্রমানিত হয় রাজাকারের শক্তি কি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯৭১ সাল চেয়ে ও বেশী।
আমাদের কিছু অতি উৎসাহী যারা নিজেদের একমাত্র দেশপ্রেমিক মনে করেন তারা দেশে নতুন করে রাজাকার বনাম মুক্তিযোদ্ধা এই দুভাগে ভাগ করে কি ফায়দা নিতে চান তারাই ভাল বলতে পারবেন ।
আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের মত মহান একটা ঘটনাকে সব জায়গাতে টেনে এনে মুক্তিযুদ্ধকেই শুধু অপমানিত করা হচ্ছে না সকল মুক্তিযোদ্ধদের ও অপমান করা হচ্ছে । তারা আজকের নির্বচনে অপমানিত হন নাই, যেখানে সাক্কু চেয়ে মুজিবুল হক অর্ধেক ভোট কম পেয়েছে । তার মানে কি এইটা দাড়াচ্ছে কুমিল্লা মানুষ মুক্তিযোদ্ধা বিরধী।
কখনোই না। এই বিরোধটা তৈরি করছে অতি অতি উৎসাহী কিছু দালাল চক্র ।
আর যার মুক্তিযু্দ্ধকে এইভাবে সব কিছুতে টেনে এনে আমাদের সার্বভৌমত্ত কে অপমানিত করে তারা ও ১৯৭১ এর রাজাকারের চেয়ে কম না । তাই ৪০ বছর আগের রাজাকার যাদের আমরা বিচার আজও করতে পারিনি তাদের বিচার আরো ১ বছর দেরিতে হলেও দেশের নতুন করে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। আর যারা কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পক্ষ টেনে মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করে তাদের আগে বিচার হওয়া উচিত ।
কারন তারা দেশকে নতুন করে সংঘাত এর দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে ।
জনকন্ঠের লিংক টা দিলাম Click This Link
তারা কি কাল রিপোট করবে রাজাকার বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধার পরাজয় ???? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।