খাওয়া দাওয়া কার না ভাল লাগে। তবে নতুন কোন মেনু তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে প্রথম কয়েকদিন যা তৈরি হয় তাকে পুরোপুরি সুখাদ্য বলা নাও যেতে পারে। যেমন এই চাইনিজ ভেজিটেবল। প্রথম ৩ বার অন্ততঃ নানা কারণে যেভাবে চাচ্ছিলাম পুরাপুরি সেভাবে স্বাদ-গন্ধ আনতে পারছিলাম না। তারপর থেকে আশানুরূপ ফলাফল পাচ্ছিলাম।
যাই হোক ৩-৪ বার গুতাগুতি করে সুখাদ্য হওয়ার পরে রেসিপি টা যা দাড়ালো তা হল এইরকম --
যা যা লাগবে
সবজি সমগ্র( রান্না যখন ভেজিটেবল সবজি তো দিতেই হবে)
হাতের কাছে যে সবজি পান তাই ব্যবহার করতে পারেন। তবে শীতকাল হলে অনেক অপশন থাকে বিধায় কিছু সবজি আলাদা উল্লেখ করলাম
১। সিম
২। ফুলকপি
৩। গাজর
৪।
ট্মমেটো
৫। পেয়াজ কলি ( আমি বলি কালি )
৬। আলু
৭। ক্যাপসিকাম
৮। মাশরুম
অন্যান্য উপকরণঃ
৯।
পেয়াজ- ২ কাপ
১০। কিমা মাংস--২০০ গ্রাম
১১। তেল--২০০ গ্রাম
১২। লবণ-স্বাদমত
১৩। টেস্টিং সল্ট--১/২ চা চামচ
১৪।
সয়া সস-দেড় টেবিল চামচ
১৫। উস্টার সস-১ টেবিল চামচ
১৬। টমেটো সস-১ টেবিল চামচ
১৭। সাদা গোলমরিচ-স্বাদমত
১৮। কর্ণ ফ্লাওয়ার-দেড় চা চামচ
রান্না প্রণালীঃ
যেহেতু ভেজিটেবল রান্না করার সময় নানান জন নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভেজিটেবল কম বা বেশি দিতে পছন্দ করেন এ জন্য কোনটার পরিমাণ উল্লেখ করলাম না।
তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়। যেমনঃ গাজর খুব বেশি দিতে নেই। তা না হলে আইটেম এ শুধু গাজর এর গন্ধ অনেক প্রকট হয়ে যায়।
সিদ্ধ করাঃ
একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত, ভেজিটেবল রান্নার ক্ষেত্রে সবজির কাটিং এবং সিদ্ধ করার সময় নির্ধারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
যেমনঃ সিম, গাজর, আলু, ক্যাপসিকাম এগুলা আমি তিনকোণা করে কাটি, যাতে দেখতে সুন্দর লাগে।
মাশরুম, টমেটো, পেয়াজ কলি লম্বা করে কেটে নেই।
পেয়াজ ছিলে ৪ টুকরা করে পাতা আলাদা করে নেই।
আর সিদ্ধ করার সময় কখনোই সব সবজি একসাথে ঢেলে দিতে নেই। যে সবজি সিদ্ধ হতে সময় বেশি নেয় তা আগে দেয়া উচিত।
এক পাতিল পানি নিয়ে চুলায় ২-৪ মিনিট গরম করে তাতে সিম আর গাজর গুলা ঢেলে দিতে হবে।
৫ মিনিট পরে টমেটো বাদে বাদবাকি গুলা ঢেলে দিতে হবে। মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে।
এভাবে সর্বমোট ২০ মিনিট সিদ্ধ করার পর দেখতে হবে সব সবজি সিদ্ধ হয়েছে কিনা। সিদ্ধ হলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলতে হবে। যদি না হয়ে থাকে তাহলে আরো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে তারপর নামাতে হবে।
পাতিল হতে সব সবজি গুলা ছাকনির উপর উপুড় করে দিতে হবে। আজকাল নানান আকারের বড় ছাকনি বাজারে পাওয়া যায়। আরেকটা জিনিস, ছাকার সময় নিচে একটা পাত্র রেখে দিতে হবে, কারণ রান্নার পরবর্তী অংশে যে পানি লাগবে তার জন্য এই পানি ব্যবহার করা ভাল।
এবার অন্য একটা পাত্রে পুরা তেল ঢেলে ২ মিনিট গরম করে পেয়াজ, টমেটো সব ঢেলে দিতে হবে। লবণ, অর্ধেক সয়া ও উস্টার সস দিয়ে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ নাড়াচাড়ার পর মাংস কিমা ঢেলে দিয়ে নাড়তে হবে। লবণ চেখে স্বাদমত লবণ ও অর্ধেক টেস্টিং সল্ট দিয়ে দিতে হবে। এরপর আগে থেকে সবজি সিদ্ধ পানি ১ কাপ নিয়ে ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে। কিমা হওয়াতে মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। এ কারণে ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে তাতে পানি ঝরানো সবজি ঢেলে দিতে হবে।
স্বাদমত লবণ ও বাকি টেস্টিং সল্ট, টমেটো সস, সয়া সস, উস্টার সস ঢেলে দিতে হবে। এরপর নাড়াচাড়া করে সবকিছুতে এগুলা মাখাতে হবে। এরপর সবজি ছাকা পানি আরো দেড়-২ কাপ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এতে মসলা, লবণ সব সবজিতে ঠিকমত মিশে যায়। এভাবে ৩-৪ মিনিট রেখে কর্ণ ফ্লাওয়ার ঠান্ডা পানিতে গুলে সবজিতে দিয়ে নেড়েচেড়ে আরো ১ মিনিট রাখতে হবে।
নামানোর আগে গোল মরিচ গুড়া ছিটিয়ে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করলে ভাল হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।