ফেলানী হত্যা নিয়ে কিছু ব্লগারের মন্তব্য দেখুন। ফেনালীরা নাকি মদ/গাজা/ফেন্সিডিল টানাটানি করত, এই পরিবারের মেয়েরা ভারতে পতিতা ব্যাবসার সাথেও জড়িত ছিল। ফেলানীরা ছিল নাকি দুর্ধষ চোরাচালানী। যারা এসব কথা লিখছেন তারা কি পারবে ফেলানীর পরিবারের বিরুদ্ধে আনীত অভিজোগ প্রমান করতে? অন্যথায় আমরা কি ধারনা করতে পারি?
একজন ব্লগারের মন্তব্য দেখুনঃ
তারপর আরেকজন ব্লগারের মন্তব্য দেখুনঃ
তারপর আরেকটা ভাকুঃ
মূলত ফেন্সিডিল এর কারখানা ইন্ডিয়ার বর্ডার এ গড়ে উঠেছে আর টার্গেট মার্কেট হচ্ছে বাংলাদেশ। মদ/গাজা/ফেন্সিডিল টানাটানি করতে বর্ডার এ গুলি খেয়ে মরেছে এমন কখনও শুনি নি।
ভারতীয় অংশে সীমান্তের ওপারে কুটিরশিল্প হিসাবে শতাধিক মাদক উতপাদন কারখানা গড়ে উঠেছে । এ কারখানাগুলোতে ৮/১০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিক জড়িত রয়েছে। আর এসব কারখানাগুলোতে কেনোন রকমের মান বজায় না রেখেই শুধুমাত্র এ্যালকোহল মিশিয়ে নকল ফেন্সিডিল উৎপাদন করে চলেছে। এই নকল ফেন্সিডিল বোতলে রোন পোলেস্ক কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে চোরাপথে পাঠিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশে। বরং এগুলো ইন্ডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে ঢুকে।
মরে পেটের দায়ে যারা বর্ডার ক্রস করে অথবা সীমান্তবর্তী এলাকায় নিজের জমি তে অবস্তান করে চাষ বাস করে খায় তারা। কোন সন্ত্রাসী আর চোরাকারবারি কখনও মরে না।
নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না এরা কি বাংলাদেশী!!! ফেলানিরা কি সত্যিই চোরাকারবারি বা মদ/গাজা/ফেন্সিডিল টানাটানি করত?? আর যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্লগারদের কি করা উচিত??
লিঙ্ক দিলাম ২৫, ৩৬ আর ৪৯ নাম্বার মন্তব্য টা দেখে আসুন
Click This Link
আরেকটা পোস্ট এর ৯ নাম্বার মন্তব্য ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।