জীবনও যখনও শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো.. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাথ মামলার আসামী ওশান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলি আজম বাবলাকে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে মাগুরার বিভিন্ন মহল। সংবর্ধনার বিষয়ে শহরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আইনজীবীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভাজন। তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা নিয়ে সৃষ্টি হয়ে নানা ধুম্রজাল। মাত্র ২ মাস আগে যে আদালত তাকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাথের মামলায় জামিন দিয়েছে সেই আদালত প্রাঙ্গণেই তাকে সংবর্ধনা দেয়ায় স্থানীয় জনমনে এখন বিস্ময়ের অন্ত নেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতেই শনিবার দুপুর ১২টায় জেলা জজ আদালত এলাকায় ওশান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলি আজম বাবলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত আনোয়ার, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু সাইদ জোয়ার্দ্দার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বাবলাসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা। সংবর্ধনা পূর্ব আলোচনা সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. সাজেদুর রহমান সংগ্রাম ওশান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলি আজম বাবলা জীবন বৃত্তান্ত উল্লেখসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপস্থিত দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিলে উপস্থিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই অনুষ্ঠান বর্জন করে। পরে এ ঘটনার জন্য লিখিত ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার মোল্যা নবুয়ত আলি।
তিনি জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির চিঠি পেয়ে সকালে অনুষ্ঠান স্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে ব্যানার ও তোরণে আলী আজমের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখতে পেয়ে তারা বিস্মিত হন। সেই সাথে অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। তিনি আরো বলেন, আলি আজম বাবলার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার জন্ম ১৯৬১ সালে। অথচ তিনি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
আসলে আলী আজম বাবলা নামের কোন মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে আমাদের জানা নেই। শুধু তাই নয় জন্মস্থান শ্রীপুরের তারাউজিয়াল বলে আমরা জানলে লিখিত জীবন বৃত্তান্তে জন্মস্থান কুষ্টিয়ার কুমারখালি দেখানো হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আলি আজম বাবলাকে স্থানীয় সাংবাদিকরা তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন এ প্রশ্ন করলে কথা বলার সময় নেই, পরে কথা হবে বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
অনেকেই এই সংবর্ধনাকে আইনজীবীদের জন্যে একটি নেতিবাচক ও লজ্জাজনক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কথা প্রসঙ্গে আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাড. আবু নইম মিলন বলেন, এটি একজন শয়তান ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা মাত্র।
এক দশকও হয়নি সে মাগুরার অসংখ্য মানুষের টাকা মেরে জেলা ছেড়ে পালিয়েছিল। আমার জানা মতে এ নিয়ে তার নামে একাধিক মামলা হয়েছিল। অনুষ্ঠান স্থলে সে যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছে তা সবৈব মিথ্যা। এ ধরণের একজন ব্যক্তির সাথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মত একজন সর্ব গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি কিভাবে এলেন তা নিয়েই আমরা রীতিমত বিস্মিত।
শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ২০০২ সালে আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত, ১৯৯৬ সালে মাস্টার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইনার নিউইউয়র্ক যুক্ত রাষ্ট্র, ডিপ্লোমা ইন ফ্যাশন ডিজাই জ্যামাইকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এম কম একাউন্টিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান, এইচ এস সি বিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বোর্ডে সারা বাংলাদেশের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান, এস এস সি বিজ্ঞান বিভাগ যশোর বোর্ড হতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দেখানো হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়ে আলী আজমের সহপাঠি আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস এস সি ১৯৮২ সনের পরিক্ষার্থী আবদুল হান্নান বলেন, সে আমাদের সাথে এস এস সি তে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে । এখন শুনছি সে নাকি ১৯৭৬ সনে এস এস সি তে অংশ নিয়ে যশোর বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিল । এটা ঠিক নয় ।
‘উন্নয়ন প্রত্যাশি মাগুরাবাসী’র সহ-সভাপতি রেজোয়ান সাইদিন লিজু বলেন, আমাদের জানা মতে আগামি ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে মাগুরা জেলা জজ আদালতে তার প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাথের মামলায় হাজির হবার কথা রয়েছে। ওইদিন স্থানীয় আইনজীবি ও আদালত সংশ্লিষ্টদের আনুকল্য পাবার আসায় সে আইনজীবী সমিতির কতিপয় সদস্যকে পক্ষে রেখে নিজ খরচে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।
শুধু তাই নয় অনুষ্ঠান শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির নামে তিনি ২০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে বাহবা নেবারও চেষ্টা করেছেন।
এদিকে আলী আজম বাবলা তার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরীর কথা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে তিনি পরিচালক চলতি ওশান গ্রুপ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওশান সিটি লিমিটেড, ওশান আর্থ লিমিটেড, চেয়ারম্যান- মিট দ্যা নদী, ওশান মিডিয়া, ওশান টুরিজম, কনসেপ্ট ওশান পার্টসহ বিভিন্ন কোম্পানীর নাম উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসার কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটা ইনভেস্টরস ফোরামের সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা পল্লী মঙ্গল সমবায় সমিতি, সাধারণ সম্পাদক পালাডা মাল্টি পারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি, আহবায়ক- আমরা ঢাকাবাসী নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া তিনি তার জীবন বৃত্তান্তে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দৈনিক স্বাধীনমতসহ বিভিন্ন মিডিয়ার নাম উল্লেখ করে তার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দাবী করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে ৭৪ টি পদক ও ১০৯টি দেশ ভ্রমণের বিরল অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। এটি এখন শহরে টক অব দি টাউন হিসাবে আলোচিত হচ্ছে । অনেকেই তাকে শ্রীপুরের একই গ্রাম তারাউজিয়ালের অপর ব্যক্তি কানাডা থেকে অ্যাপার্ট ব্যবসার নামে ২ কোটি ডলার হাতিয়ে পালিয়ে আসা মঞ্জুর মোর্শেদ আজাদের সাথে তুলনা করছেন ।
অনেকেই এই সংবর্ধনাকে আইনজীবীদের জন্যে একটি নেতিবাচক ও লজ্জাজনক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কথা প্রসঙ্গে আইনজীবী সমিতির সদস্য এ্যাড. আবু নইম মিলন বলেন-‘ এটি একজন শয়তান ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা মাত্র। এক দশকও হয়নি সে মাগুরার অসংখ্য মানুষের টাকা মেরে জেলা ছেড়ে পালিয়েছিল। আমার জানা মতে এ নিয়ে তার নামে একাধিক মামলা হয়েছিল। অনুষ্ঠান স্থলে সে যে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছে তা সবৈব মিথ্যা। এ ধরণের একজন ব্যক্তির সাথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মত একজন সর্ব গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি কিভাবে এলেন তা নিয়েই আমরা রীতিমত বিস্মিত।
’
শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ২০০২ সালে আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত, ১৯৯৬ সালে মাস্টার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইনার নিউইউয়র্ক যুক্ত রাষ্ট্র, ডিপ্লোমা ইন ফ্যাশন ডিজাই জ্যামাইকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এম কম একাউন্টিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান, এইচ এস সি বিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বোর্ডে সারা বাংলাদেশের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান, এস এস সি বিজ্ঞান বিভাগ যশোর বোর্ড হতে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দেখানো হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়ে আলী আজমের সহপাঠি আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এস এস সি ১৯৮২ সনের পরিক্ষার্থী আবদুল হান্নান বলেন -‘সে আমাদের সাথে এস এস সি তে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে । এখন শুনছি সে নাকি ১৯৭৬ সনে এস এস সি তে অংশ নিয়ে যশোর বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছিল । এটা ঠিক নয় । ’
এদিকে আলী আজম বাবলা তার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরীর কথা উল্লেখ করেছেন।
বর্তমানে তিনি পরিচালক চলতি ওশান গ্রুপ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওশান সিটি লিমিটেড, ওশান আর্থ লিমিটেড, চেয়ারম্যান- মিট দ্যা নদী, ওশান মিডিয়া, ওশান টুরিজম, কনসেপ্ট ওশান পার্টসহ বিভিন্ন কোম্পানীর নাম উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসার কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটা ইনভেস্টরস ফোরামের সভাপতি, প্রতিষ্ঠাতা পল্লী মঙ্গল সমবায় সমিতি, সাধারণ সম্পাদক পালাডা মাল্টি পারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি, আহবায়ক- আমরা ঢাকাবাসী নিউইয়র্ক যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া তিনি তার জীবন বৃত্তান্তে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দৈনিক স্বাধীনমতসহ বিভিন্ন মিডিয়ার নাম উল্লেখ করে তার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দাবী করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে ৭৪ টি পদক ও ১০৯টি দেশ ভ্রমণের বিরল অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন।
এটি এখন শহরে টক অব দি টাউন হিসাবে আলোচিত হচ্ছে । অনেকেই তাকে শ্রীপুরের একই গ্রাম তারাউজিয়ালের অপর ব্যক্তি কানাডা থেকে অ্যাপার্ট ব্যবসার নামে ২ কোটি ডলার হাতিয়ে পালিয়ে আসা মঞ্জুর মোর্শেদ আজাদের সাথে তুলনা করছেন ।
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয় দেয়ার অভিযোগে মাগুরা জেলা আইনজীবি সমিতি কর্তৃক ওশান গ্রুপের চেয়ারম্যান দৈনিক স্বাধীন মতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী আজম বাবলার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-।
সর্বোপরি মাগুরার মানুষের কাছে একজন প্রতারক শ্রেণীর মানুষ হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তিটির সঙ্গে একই হ্যালিকপ্টারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের মাগুরায় আগমণকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
মাগুরার তরুণ কবি সাগর জামান বলেন, মাগুরার মানুষ তাকে একজন প্রতারক হিসেবেই জানে।
কিন্তু সে শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানকে সাথে হ্যালিকপ্টার করে মাগুরা স্টেডিয়ামে নামেন। একই সাথে উপস্থিত হন জেলা জজ আদালতে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। যেখানে বক্তব্য রাখেন ড. মিজানুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আব্দুল মজিদ, সাধারন সম্পাদক এড. মাহাবুব মোর্শেদ বাবলা, সংবর্ধিত আলী আজম বাবলা। অনুষ্ঠানে আলী আজম বাবলা আইনজীবী সমিতিকে ২০ লাখ টাকার অনুদান দেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।