ও পথ মাড়িও না যে পথ তুমি চেননাকো----
২০১৩ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পেছন দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সংস্থাটি যে বিশদ রিপোর্ট প্রকাশ করে, তাতে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর দমননীতির পথ নিয়েছে বলে উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশে যারাই সরকারের কাজ-কর্মের সমালোচনা করছে, তাদের বিরুদ্ধেই সরকার অভিযোগ আনছে।
অনেক ক্ষেত্রেই সরকার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রচন্ড হিংসাত্মক এবং বে-আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। হেফাজতে ইসলামীর সমর্থকরা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা সরকারের এরকম পদক্ষেপের শিকার হয়েছেন।
রিপোর্টে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
‘অধিকার’ নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা আদিলুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে জেলে প্রেরণ, নাস্তিক বলে কথিত ব্লগারদের গ্রেফতার এবং একজন সংবাদপত্র সম্পাদককে গ্রেফতারের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘিরে ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দন্ড দেয়ার দাবিতে ফেব্রুয়ারীতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেটি ছিল শান্তিপূর্ণ। বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
কিন্তু ২৮শে ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পর পরিস্থিতি হিংসার দিকে মোড় নেয়।
রিপোর্টে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকরা অনেক মৃত্যুর জন্য দায়ী, তবে সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীও অনেক সময় নির্বিচার গুলি চালিয়েছে যার শিকার হয়েছেও বিক্ষোভাকারী এবং নিরীহ পথচারীরা।
একই সময়ে সরকার তার সমালোচকদের বিরুদ্ধেও দমনমূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। বহু ব্লগ-লেখক যারা ইসলামী মৌলবাদীদের তোষণ করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তাদের আটক করা হয়। – বিবিসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।