মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত আপনারা হয়ত এতক্ষণে জেনে গেছেন যে নাস্তিক ব্লগারদের একটা লিস্ট তৈরী করে সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লিস্টে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রায় কারো ব্লগ পড়ার সুযোগ আমার হয়নি অথবা নাস্তিক বুঝতে পারলে জাস্ট ইগনোর করেছি। তবে অন্যান্য ব্লগারদের পোস্টে আসিফ মহিউদ্দীন, ঠোট কাটা বন্ধু, পরিবানুকে ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখেছি এবং তাদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদও করেছি।
যাই হোক, লিস্টের খবর পর থেকেই চিন্তা করছিলাম, কারা তৈরী করেছে এই লিস্ট?
এই খবরটা পড়ার পরে ধারনা পরিস্কার হয়ে গেল, এটা কার কাজ।
আল ইহসান নামে রাজারবাগ দরবারের এক চটি পত্রিকা রাস্তার পাশের দেয়াল নষ্ট করে লাগানো হয় যেটাতে আমার পোলা দিল্লুর নানান বাণী সংকলিত হয়।
সেই পত্রিকার সম্পাদক হল মাহবুবুল আলম আরিফ। সেই এই তালিকা সরকারের হাতে দিয়েছে।
আর এই ঘটনার দ্বারাই প্রমাণিত হল, পূর্বে ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের তালিকায় আমার নাম জড়িয়ে ওলামা লীগের ব্যানারে যে আমার বিচার দাবি করা হয়েছিল তার পিছনেও জড়িত এই রাজারবাগিরা
মূল আলোচনার বিষয়ে আসা যাক, নাস্তিক ব্লগারদের তওবা পড়ানোর কথা নাকি বলেছে এই বলদগুলো। কতটা হাস্যকর কাজ! কতটা ব্রেনওয়াশড হলে কেউ এমন দাবি করতে পারে।
অবশ্য তাদের হাস্যকর কর্মকাণ্ডের নমুনা তো সামুতে রয়েছেই।
তওবা মানে আমরা সবাই জানি, পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ-ফিরে আসা আর ইসলামি পরিভাষায় বলা হয়, কোন পাপ কাজের জন্য অন্তর থেকে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে, বিনম্র হয়ে ক্ষমা চাওয়া।
এখন নাস্তিকরা কি তাদের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়েছে?
তারা তো তাদের কাজকে পাপ বলেই স্বিকার করে না।
হ্যা, ইসালামিক রাষ্ট্রে ইসলামকে নিয়ে কুটুক্তিকারী এবং ইসালম ধর্মত্যাগিদের বিচার রয়েছে।
কিন্তু অবিসশ্বাষীকে ধরে এনে এমন হাস্যকরভাবে তওবা পড়ানোর বিধান কোরআন-হাদিস, ফিকহের কোথাও লেখা আছে বলে আমার জানা নাই। ইসলাম তো জোরপূর্বকভাবে অমুসলিমকে ইসলাম গ্রহণেও বাধ্য করে না।
আর তওবা কাদের জন্য এবং কাদের জন্য নয়, চলুন কোরআনের দুইটি আয়াত থেকে জেনে নেই,
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে। এরাই হল সেই সব লোক আল্লাহ যাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানি, প্রজ্ঞাময়।
* আর এমন লোকদের জন্য তওবা নয় যারা অনবরত পাপ কাজ করতে থাকে এমনিক যখন তাদের কারো উপর মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন বলতে থাকে, আমি তওবা করেছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য যারা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা নিসা-১৭,১৮) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।