বোমার আঘাতে রাজশাহীতে মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক মকবুল হোসেনের (২১) হাতের কবজি উড়ে গেছে। গতকাল রোববার সকালে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
তবে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, শিবিরের কাছে হাত উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে গিয়েই পুলিশের ওই সদস্য আহত হয়েছেন।
শিবির এর কোন কথা আমরা বিশ্বাস করিনা করব না ।
করার মত যথেষ্ট কারন নাই । তবে প্রত্যক্ষ দর্শী দের কথায় সন্দেহ হচ্ছে গ্রেনেট কি শিবির মারল নাকি পুলিশ ? এখানে কিছু প্রত্যক্ষ দর্শী দের কথা প্রথম আলোর বরাত দিয়ে তুলে ধরা হলো :
সংঘর্ষ: প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের বাটার মোড় এলাকায় জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী মিছিল বের করেন। তাঁরা আমান ট্রেডিং করপোরেশনের সামনে এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল, ককটেল ও হাতবোমা ছুড়তে থাকেন।
পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ রানীবাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
রানীবাজারের মোমিন সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১০ থেকে ১২ মিনিট এমন তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে যে তাঁরা বোমা আর সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ ছাড়া কিছুই শুনতে পাননি। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক, কিছু দেখতেও পাননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে এসে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি। ২১ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। এমন ভয়ানক সংঘর্ষ কোনো দিন দেখিনি। ’
বাজারের মারুফ ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী ঈশা শেখ বলেন, ‘সংঘর্ষ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে দোকানের পুরো শাটারও নামাতে পারিনি। ধোঁয়ায় দম আটকে আসছিল।
কিছু দেখতে পারিনি। দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়েই একজনের আর্তনাদ শুনলাম। সংঘর্ষ থামলে বাইরে এসে দেখি, দোকানের সামনের রাস্তায় রক্ত। মাংস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ’ তাঁর দোকানে গিয়ে দেখা যায়, শাটারের নিচের দিকে রাখা একটি প্যাকেট বোমার স্প্লিন্টারে ছিঁড়ে গেছে।
পুলিশ জানায়, এখানেই বোমার আঘাতে উপপরিদর্শক মকবুলের হাতের কবজি উড়ে গিয়েছিল। সংঘর্ষের মধ্যেই সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর আরও পুলিশ এলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিভিন্ন গলিপথে সরে পড়েন। পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ইটপাটকেল, ককটেল, বোমা ও লাঠিসোঁটার পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হাতে গুলতিও (বাটুল) দেখা গেছে।
এখন প্রশ্ন হল এত ধোয়র মধ্যে হটাৎ ছুটে আসা গ্রেনেট কি দেখা সমভব ?
আর যদি এটা পুলিশে হাত থেকেই ফেটে থাকে তবে তা ভায়নক ।
তাহলে আগে থেকে বিতর্কিত পুলিশ প্রশাসন আরও বিতর্কিত হবে যা জাতীর জন্য সঙ্কার কারন
আর যদি শিবির তা করে থাকে তবে সরকার ও পুলিশকে আরও কঠিণ হয়ে তা দমণ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।