ইরাকের রাজধানী বাগদাদের শিয়া অধ্যুষিত বিভিন্ন বাজার এলাকায় আজ সোমবার সিরিজ বোমা হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সুন্নি ও আল-কায়েদার সদস্যরা চলতি বছরের শুরু থেকে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা বিশেষত শিয়া অধ্যুষিত শহরগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, বাগদাদের বিভিন্ন শহরের বাজার ও কেনাকাটার স্থানগুলোতে এক ডজনের বেশি বোমা বিস্ফোরিত হয়।
রাজধানীর সদর সিটি এলাকার কয়েক শ মিটার দূরে জোড়া বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে কমপক্ষে ১৩ জন মানুষ নিহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসান খাদিম বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে আকৃষ্ট করতে এক গাড়ি চালক আরেকটি গাড়িকে ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যে আরেকটি গাড়ি এসে ওই চালককে নিয়ে যায়। এর পরপরই ওই ফেলে যাওয়া গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।
এ সময় জড়ো হওয়া কিছু লোক এর শিকার হয়।
খাদিম বলেন, ‘লোকজন সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছিল এবং তাদের মুখ রক্তে ভরে গিয়েছিল। ’
২০১১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ইরাক ছাড়ার পর থেকে দেশটিতে শিয়া এবং সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ততায় পৌঁছে। সিরিয়ার যুদ্ধ দেশটির ভঙ্গুর সাম্প্রদায়িক সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তোলে।
জাতিসংঘের একটি হিসাবে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে ইরাকে ৭০০ জনের বেশি মানুষ বিভিন্ন হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
গত পাঁচ বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ নিহতের সংখ্যা ছিল এটি। এ ছাড়া মে মাসে ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সুন্নি সম্প্রদায়ের হাজারো বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকির বিরুদ্ধে রাস্তায় প্রতিবাদ শুরু করে। সুন্নিদের অভিযোগ, ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনে সাদ্দামের পতনের পর থেকে মালিকি তাদের সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করে রাখছে।
এপ্রিলে হাউইজা শহরে সুন্নি মুসলমানদের একটি প্রতিবাদস্থলে ইরাকি সেনাবাহিনী তল্লাশি চালায়।
পরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সুন্নিদের সংঘর্ষ বাধে। সে সময় বহু হামলার ঘটনাও ঘটে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।