যান্ত্রিকতার স্বরচিত কারাগারে আমি এক অযান্ত্রিক মানুষ স্বপ্নগুলো আজ ধূসর হয়ে যায়......।
কখনো ভাবিনি এমন দিনের কথা । আমাদের কেউই না । দেশের নানা প্রান্ত থেকে আমরা এসেছিলাম অনেক অনেক স্বপ্ন নিয়ে । আজ সেসব বহুদূরের চোরাবালিতে আস্তে আস্তে তলিয়ে যাচ্ছে ।
সেই স্বপ্নের চোখে আজ ভয়, অশ্রু কিংবা হতাশা । কিন্তু সত্যি আমরা কেউ চাইনি এমন, এমন হবার কথাও ছিল না ।
৩১ ডিসেম্বর,২০১১ ।
তারপর আর পলাশির আকাশে সুর্য ওঠেনি । আজো এখানে অন্ধকার – নিকষ-কালো ।
তার মাঝেই ৪৮ ঘন্টা নির্ঘুম হাজার দুয়েক ছেলে-মেয়ে ধুসর অশ্রুভেজা চোখে আজো সুর্য দেখার আশায় জেগে আছে । সুর্য উঠবে তো ?
জানি বড় কোন শক্তির সাথে আমরা এক অসম-লড়াইয়ে নেমেছি । কিন্তু যখন এক হয় হাজার মানুষ , কোন অসুরের ক্ষমতা তাকে আটকাবে, আমাদের সাথে যে আছে সত্যের আর ন্যায়ের এক বিরাট শক্তি ।
আমরা তো আমাদের মানবিক অধিকারের জন্য এসেছি । আমরা এসেছি আমাদের আর অনাগতদের নিরাপত্তার জন্য , আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের জন্য ।
আজ টানা ২ দিন ধরে এতগুলো ছাত্র-ছাত্রি বিচারের জন্য ক্যাম্পাসে অনড় বসে আছে, অথচ, একটা চেয়ারও কেউ এখন ভাঙ্গেনি, শ্লোগানের পর শ্লোগান হচ্ছে, একটা বাজে শব্দ আজও উচ্চারিত হয়নি এখানে ।
কেউ লাঞ্ছিত হয়নি । কেবল আমরা বসে আছি ক্যাম্পাসেই, ল্যাপটপ, ক্যামেরা , কাথা-কম্বল, খাবার-দাবার সব কিছুই আজ ক্যাম্পাসে । আমরা কাউকে আহত করতে চাই না , সেই মানসিকতাও নেই আমাদের , কিন্তু আমরা বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছাড়ব না ।
বিচার পেলে তারপর পলাশিতে ২০১২’র প্রথম সুর্য উঠবে, তার আগে নয় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।