A man who is not afraid is not aggressive, a man who has no sense of fear of any kind is really a free, a peaceful man ফরহাদ মাজহার-কে নাকি ঢাকা ক্লাবে ঢুকতে দেয়নি লুংগি পরা ছিল বলে। বেচারা নারীবাদী ফরহাদ সাহেবরে নিয়া পেপার পত্রিকায় বহুত কলাম লেখা হয়ছে কিন্তু আমাদের মত অধমদের যখন পায়ে সু/কেড্স না থাকায় ফাইভস্টার হোটেলে ঢুকতে দেয়া হয়না তখন কেউ লজ্জায় ফেসবুকে স্ট্যাটাসটাও দেয় না। মূল কাহিনীতে যাবার আগে একটি বিষয় আপনাদের কাছে একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিই ভাই আমি সিসা সিগারেট বিড়ি কিছুই খাই না। কিন্তু সেদিন ফাঁদে আটকা পড়ছিলাম। সেটার বর্ণনাই দিচ্ছি।
প্রায় সপ্তাহ তিন আগে আমার কয়েক বন্ধু রাজশাহী হতে ঢাকা বেড়াতে আসায় সেদিন আমরা ঢাকার সব বন্ধুরা মিলে একটা আড্ডা দেওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। আমি শ্যামলী থাকি আর বন্ধুরা সবাই থাকে নিকুন্জ্ঞ। কারণ প্রায় সবাই এআইউবি-তে পড়ে। আমি বাসা হতে বের হতে একটু দেরী করে ফেলছিলাম। আর রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম।
কাকলী পার হয়েতো জীবন অতিষ্ট হয়ে গেল। বার বার সবাই ফোন দিয়ে বলছিল কতদূর আর আমি বলি দোস্ত আর ১০ মিনিট ওয়েট কর। কিছুক্ষন পর জানলো সবাই ঢাকা রিজেন্সিতে যাবে। আমি যেন সরাসরি রিজেন্সিতে ঢুকে ফোন দেই। আমি বল্লাম ওকে।
১০ মিনিট না হতেই আবার ফোন, তুই কতদূর? আমি বল্লাম আগের জায়গাতেই আছি। ওপার হতে জিগ্গেস করল তোর পায়ে কি? স্যান্ডেল না জুতা? আমি বল্লাম স্যান্ডেল। ওপার হতে হাসির একটা রোল উঠল। আমি বল্লাম কি হয়েছে-রে? বলে আসলে জানতে পারবি, আর আমরা রিজেন্সির বাহিরে আছি তারাতাড়ি আয়। আরো ২০ মিনিট পর গিয়ে পৌছালাম।
গিয়ে শুনি দুজনের পায়ে নাকি জুতা ছিল না তাই রিজেন্সিতে আর ঢুকতে দিবে না। আমি বল্লাম বাসায় চল তোদের আড্ডা দিব। কিন্তু ওরা বল্ল আজ সিসা খাবে সো বাসায় না বনানীতে যাবে। আর যেহেতু রিজেন্সিতে ঢুকতে দেয়নি তাই দুএকজন রেগে আগুন। আমার তখন ফরহাদ মাজহারের সেই ঘটনা মনে পড়ে গেল।
সবাই বল্ল বনানীতে গিয়ে সীসা খাবে। আমি আপত্তি জানালে বল্ল তুই দূরে থাকবি। সমস্যা নায়। লাভ হবে না দেখে শেষমেষ গেলাম। যাই হোক পরে বনানী গিয়ে আর কোন সিসা লাউন্জ পাওয়া গেল না।
আমার মনে পড়ে গেল ধানমন্ডি ১৫-তে কজমো সিসা লাউন্জ হতে RAB বাস ভরে ডিজুস পোলাপানরে উঠাই নিয়া গিয়েছিল। সে সময় বনানী আর গুলশানের সিসা লাউন্জগুলাও বন্ধ করে দেওয়া হয়, মনে হয়। বেকার টাইম নষ্ট করে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে বল্লাম আল্লাহ বাচায় দিল। আর আমার সিসা খাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না।
আমি বল্লাম যে এর মাঝে আমি নাই তোরা থাক আমি গেলাম। ওদের রেখে আমি বাসায় চলে আসলেও ওরা বাসায় গিয়ে আবার জুতা পায়ে দিয়ে রিজেন্সিতে গিয়ে সিসা খেয়েছে। সেদিনের কাহিনী মনে পড়লে আজও হাসি পায়। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। আর আমার পোস্ট পড়ে রিজেন্সিতে সিসা খেতে যাইয়েন না কেউ দয়া করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।