কি করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন কোনায় যাই,,,.।
আমার জীবনে অনেক মেয়ে আসছে কিছু ছেকা দিয়ে কিছু ছেকা খেয়ে চলে গেছে। যাক, এসব নিয়ে আর ভাবি না তাই মাঝখানে প্রায় মাস ছয়েক একাই ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ এক ডিসকো টাইপ মেয়েকে দেখে ভালো লেগে গেলো। ঐ মেয়ের সম্পর্কে বল্লে বলতে হয় পুরাই স্মোকি.... তারপর ধরেন গিয়া.. না আর কমু না।
আমি তো ভাই চটি লিখতে বসি নাই। মেইন কথায় আসি, আমি ভাবলাম যতই ডিস্কো মেয়ে হোক, মেয়ে তো বেশি বড় না মাত্র এ লেভেল দিবে। মুরুব্বিরা একটা কথা বলেন যে, ছোট মেয়ে বিয়ে করলে ঘসে মেজে ঠিক করে নেয়া যাবে। তো, সে কথায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে ওকে বান্ধবি কাম গার্ল ফ্রেন্ড বানায় ফেল্লাম। প্রায় প্রতি সন্ধায় তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হতাম বিভিন্ন রেসটুরেন্টে বা বিভিন্ন ফুড সপে যেমন কে এফ সি, পিজ্জা হাট এগুলা।
তো সে প্রায় তার কোন না কোন বন্ধু বা বান্ধবি ধইরা নিয়া আসতো আমরা এক সাথেই আড্ডা মারতাম (যদিও আমার ওর ঐ ইচরা পাকনা বন্ধু বান্ধব ভাল্লাগতো না)।
সেরকম একদিন তার দুটা বন্ধু তাদের গার্লফ্রেন্ড নিয়া উপস্থিত। আমরা তখন এ এন্ড ডব্লিউতে রুট বিয়ার খাইতেছি। তো, তারা এসেই বল্লো, না এখনে না, আমরা শিশা লাউন্জে যাবো। আমি যখন বলতে যাচ্ছিলাম এখানেই ঠিক আছি, তখনি আমার জি এফ চিৎকার পাইরা উঠলো... ওয়াও উই উইল হাভ ফান লেটস মুভ ডিউড।
তাই অগ্গতা ভদ্র ছেলের মত তাদের অনুসরন করলাম।
গুলশান দুই নাম্বারের এক বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামলো। বাইরে থেকে দেখে বুঝাই যায় না ভিতরে কোন ক্রউডি প্লেস থাকতে পারে। ঢুকেই সব অন্ধকার, গারো সবুজ আলো বুঝলাম এইটা রিসিপশন। পরে আমরা কলো গ্লাসের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলাম।
এ জায়গাটা একটু উজ্জল সবুজ আলো আছে এবং চাইনিজ রেসটুরেন্ট এর মত চেয়ার টেবিল দিয়া। দেখি কয়েকটা ছেলে মেয়ে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। ভাবলাম এখানেই বসবো। কিন্তু না তারা দেখি আরো ভিতরে ঢুকে। আমিও ঢুকলাম, ভিতরে ঢুকে বিশ্বয়ে ত থ ধ হয়ে গেলাম......... গারো লাল আলো, খুব উচ্চ বলিউমে গান চলছে আর সবছে বড় কথা ধুয়া... হায়রে ধুয়া, ধুয়ার জালায় এক হাত দুরের কাউকে দেখা যায় না।
আবার লাইটও খালি জলে নিভে তাই দেখতে আরো অসুবিধা। কিছুক্ষন পর চখে সয়ে গেলে দেখলাম এখানে কোন চেয়ার টেবিল নাই বরং ফ্লোরে অনেক গুলো বিছানার মত করে রাখা আর বিছানা গুলোর পাশে বড় বড় বালিশ দেয়া। এই বালিশ গুলায় হেলান দিয়েই ছেলে মেয়েরা শুয়ে বসে আছে। একটা ছেলেকে দেখলাম একটা মেয়ের ঠিক বুকের উপর শুয়ে উদাস ভাবে সিসা টানতেছে, যেন বুক জোরা তার বালিশ আরকি।
আমরা এক কোনার বিছানায় যেয়ে বসলাম।
এতক্ষন খেয়াল করি নাই আমার ঠিক ওপোজিট দেয়ালে হেলান দিয়ে একটা ছেলে একটা মেয়ের ঠোট খেয়ে ফেলার উপক্রম। বলা বাহুল্য মেয়েটার জামা কাপরের অবস্থা পুরাই করুন। তাদেরকে ঘিরে কয়েকটা ছেলে মেয়ে হাসতে হাসতে চুম্বনরত দুটাকে কি যেন বলতেছে। এগুলা দেখে আমার জি এফের ফ্রেন্ডরা কি বলতেছে মাথায় ঢুকতেছে না। আমি ওকে জিগেস করলাম রেস্ট রুমটা কোন দিকে? ও বল্ল, জান, আ ইউ ফিলিং আনকোমফোর্ট হিয়ার? আমি বল্লাম, না একটু বাথরুমে যাবো।
সে আমাকে দেখায় দিলো। বাথরুমে যেতে হলে একটা প্রায় অন্ধকার করিডোর এর মঝে দিয়ে যেতে হয়। যেতে যেতে বুঝলাম চিপায় দুজন লেপ্টে আছে। যাই হোক, আমার বাথরুমে যেয়ে মুখে পানি দিতে হবে, কিন্তু বাথরুমে কে যেন আছে তাই বাইরে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। একটু পর একটা ছেলে বাথরুম থেকে বের হলো যখন আমি ঢুকতে যাবো দেখি একটা মেয়ে ঐ একই বাথরুম থেকে বের হলো।
আমাকে দেখে মেয়েটা তারাতারি পাস দিয়ে হেটে চলে গেল। আমার আর ঐ বাথরুমে ঢুকা হলো না। এসে আবার বসলাম ওদের সাথে, একটু পর সিসা দিয়ে গেল। গ্রেইপ ফ্লেভার সিসা। আমিও কতো গুলা বড় বড় টান দিলাম।
ভালোই কেমন কেমন যানি লাগে। উদাস ভাব কেন চলে আসে এখন বুঝা গেল।
আমাদেরকে দুটা সিসা দিয়ে গেছে। আমি আর ও টানছিলাম একটা, ওরা একটু দুরে টানছিলো আরেকটা। একটু পর সিসা টানতে টানতে খেয়াল করলাম, আমার গার্ল ফ্রেন্ড এর একটা ফ্রেন্ডের জি এফ তার পা দিয়ে ঐ ছেলের পেন্টের উপোর দিয়ে ঐ জায়গাটা ঘসতেছে।
এতো কিছু দেখার পর এটা দেখে খুব বেশি অবাক হলাম না, কিন্তু ওকে বল্লাম চলো যাই। ও বল্লো কেন কি হইছে জান। আমি একটু চিৎকার করে বল্লাম আহ যেতে বলছি চলো। ও একটু ভেবাচেকা খেয়ে গেল কারন আমি এর আগে ওকে কখনো ধমোক দেই নাই।
আমরা সবাই বের হয়ে আসলাম।
ওর ফ্রেন্ড গুলা মনে হয় আমার উপর একটু বিরক্ত। কিন্তু আমি বাইরে এসে হাপ ছেরে বাচলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।