আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিসা বারের অভিযান মালিক মোস্তফা ওয়ালিদ হোসেন জুয়েল গ্রেফতার

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন।

রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে অবস্থিত এলএইচএফ ফুড অ্যান্ড লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বারে অভিযান চালিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোস্তফা ওয়ালিদকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। অভিযানকারী কর্মকর্তারা জানান, এই সিসা বারে আসা অধিকাংশরাই শিশু-কিশোর।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম অমিতাভ পরাগ তালুকদার লাইসেন্স না করা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ভেজালমিশ্রিত খাবার পরিবেশনের জন্য মোস্তফা ওয়ালিদকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন জানান, এই লাউঞ্জে আসা সিসা সেবনকারীদের বেশিরভাগই শিশু। ধানমন্ডি ও আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তারা। একইসঙ্গে বিভিন্ন পেশার মানুষ এখানে এসে মাদক সেবন করে থাকে। জানা গেছে, রাতের ওই অভিযানের সময় বেশকিছু সেবনকারীকে আটক করা হয়।

পরে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিসা বারের মালিক মোস্তফা ওয়ালিদ জানান, তিনি সুইডেনের নাগরিক। সেখানে ২৪ বছর ধরে আছেন। তার স্ত্রী ও সন্তানেরা সেখানে থাকেন। তিনি এ বছর জানুয়ারিতে সিসা বারটি চালু করেন।

মদ বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, এগুলো প্রবেশকারীরা বাইরে থেকে এনেছে। দেখা যায়, সিসা বারের নিচ তলায় জুস বার। উপরে ফাস্টফুডের দোকান। দোতলা দিয়ে কয়েকটা কক্ষে অন্যরকম আলোর ঝলকানি। আলো-আঁধারী পরিবেশ।

বারের ভেতর ৪ ও ৬ জন করে বসার জায়গা। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আছে ওয়াই ফাই ফ্রি। জুটির জন্য আছে আলাদা কক্ষ। কর্মকর্তারা বলেন, মোস্তফা ওয়ালিদ ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে যে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা করেন তা ২০১৩-১৪ বছরের জন্য নবায়নও করা হয়নি। হোটেল ও রেস্টুরেন্ট চালুর জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অনুমোদন লাগলেও তা নেই।

কোনো পণ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ও নেই । http://www.bd-pratidin.com/2013/08/31/13688 কে এই মোস্তফা ওয়ালিদ হোসেন? মোস্তফা ওয়ালিদ হোসেনের ডাক নাম জুয়েল। দেশের বাড়ী ভান্ডারিয়া। আজ থেকে প্রায় ২৪ বছর আগে তিনি সুইডেনে(স্টকহোম) আসেন, এসেই তিনি আদম ব্যবসা ও গাজার ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। এই কারনে বেশ কয়েকবার তিনি জেলে যান, সাজাও খাটেন।

জেল থেকে বেরিয়ে আবার তিনি সাবেক ব্যবসার সাথে যুক্ত হন, সাইড ব্যবসা হিসাবে যুক্ত হয় চুরি। এই কারনে তিনি সুইডেনে কোন চাকুরী পাননি, গাজার ব্যবসা করতে গিয়ে পুরাটাই নিজে খেয়ে ফেলেছেন, এমন রেকর্ড ও তার আছে! এসমস্ত কারনে তার সুইডিশ স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই জুয়েল যদি ঢাকাতে শীসার ব্যবসায় যুক্ত হয়, তাহলে তার টার্গেট যে কি তা খুব সহজেই অনুমেয়!সমাজে যে আরো কতো ঐশী তৈরী হবে, তা যে কেউই অনুমান করতে পারে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.