আমি একজন সাধারন ব্লগার। পড়ি বেশি লিখি কম Thu, Dec 29th, 2011 9:48 am BdST
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- পারসোনার ‘স্পা’ কক্ষে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা নিয়ে উদ্ভূত ঘটনা খতিয়ে দেখতে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটির কাজ এগুচ্ছে না।
এই কমিটি কার্যত কোনো কাজ করছে না। কমিটির একজন একজন সদস্য প্রায় এক মাস আগে তার ঢাকার কর্মস্থল থেকে বদলি হয়ে গেলেও সেখানে নতুন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অন্তত এক মাস ধরে কমিটির কোনো সভাও হয়নি।
তবে কমিটির প্রধান পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার নিজামুল হক মোল্ল্যা মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তে এ পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি। খুব শিগগির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ”
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পারসোনার গুলশান শাখায় ‘স্পা’ করাতে গিয়ে সেখানে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা দেখতে পান এক নারী চিকিৎসক। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
ঘটনা তদন্তে গত ৩ অক্টোবর পুলিশের পক্ষ থেকে নিজামুল হক মোল্ল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী কমিশনার (পেট্রল) নুরুল আলম ও সহকারী কমিশনার (প্রশাসন) মিজানুর রহমান।
প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছিল তিন দিন।
কমিটি গঠনের কয়েকদিন পরেই সদস্য মিজানুর রহমান একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য ছুটি নেন।
এরপরই তদন্ত কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। অপর সদস্য নূরুল আলম হজে যান ২১ অক্টোবর।
মিজানুর রহমান প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দিলেও অপর সদস্য দেশে না থাকায় কমিটির কার্যক্রম থেমেই থাকে।
হজ শেষে নূরুল আলম দেশে ফিরে ৩০ নভেম্বর কাজে যোগ দেওয়ার দুই দিন আগে মিজানুর রহমান অন্যত্র বদলি হয়ে যান।
মিজানুর রহমান বদলি হওয়ার পর ওই দিনই ২৮ নভেম্বর তার জায়গায় যোগ দেন সহকারী কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
এর এক মাসের মাথায় নিজামুল হক মোল্ল্যা গত মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মো. শাহনেওয়াজকেও কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তাকে গত এক মাসে কেন কমিটিতে নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
মো. শাহনেওয়াজ বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক মাস আগে মিজানুর রহমানের জায়গায় যোগ দিলেও তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। বুধবার পর্যন্ত তাকে কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলেওনি।
কমিটির এক সদস্য বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটি গঠন হওয়ার পর তারা শুধু একবার পারসোনায় গেছেন। ওই দিনই পারসোনার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
যে নারী চিকিৎসক ওই পার্লাারে সিসি ক্যামেরা দেখেছিলেন তাকে এবং তার স্বামীকে পরে গুলশানের উপ-কমিশনার কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী মাসুদকে পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের আদেশ এখনো বহাল আছে বলে জানান কমিটি প্রধান।
নিজামুল হক মোল্ল্যা বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেওয়া আছে। এরপরে আরো সময় বাড়িয়ে নেওয়া হবে। ”
তদন্তের সময় আর কতদিন বাড়ানো হবে- এ প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
কমিটি প্রধান বলেন, “পারসোনা থেকে জব্দ করা হার্ড ডিস্ক থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। যে নারী চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি বা তার পক্ষে লিখিতভাবে কেউ মামলা করেননি। ”
এখন ‘সব সদস্য’ আছেন- এ কথা উল্লেখ করে নিজামুল আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া যাবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/পিডি/জেকে/০৯২০ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।