বেশ বিতর্ক হয়েছে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করা নিয়ে। বাণিজ্যিক পণ্য আমদানির নামে ভারতীয় চলচ্চিত্র আসবে। যারা ব্যবসার নামে ভারতীয় সিনেমা আনছে তারা দেশের প্রতি কতটুকু দেশপ্রেম দেখায় জানি না। তবে তারা মুনাফার প্রতি অতি প্রেমি নিঃসন্দেহে। দেশ কোথায় গেল না গেল তাতে তাদের হেডেক না থাকারই কথা।
তবে এদেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে ধ্বংসের পিছনের তাদের ভূমিকা কি আর কতটুকু তাও বিবেচনা করা দরকার।
এদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র্ আমদানির পক্ষে কেউ সায় দিতে পারেনি। প্রতিবাদে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলে এক হয়ে প্রতিবাদ করছে। এটা একটা শুভ লক্ষণ। আশা করা যায় ভবিষ্যতেও এরা এদেশে একটি সুষ্ঠু সুন্দর সংস্কৃতি উপহার দিতে এক হয়ে কাজ করবে।
এরা ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কথা বলবে। ভূমিকা রাখবে। ভারতে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান প্রচার করাতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। যারা ব্যবসার নামে ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানি করে তারা আর্থিক দিক দিয়ে কতটুকু লাভবান হবেন জানি না তবে দেশে যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নিশ্চিত। এখানে এক দুই জন ব্যক্তির হাতে দেশের চলচ্চিত্র যেন বন্দি হয়ে পড়ল।
যেহেতু আদালতের রায় আছে কাজেই আলাদতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা যেন সেই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন করে চিন্তা করে কিভাবে আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। আর যারা ব্যবসার নামে এসব করে তাদের ব্যাপারেও ভবিষ্যতে এরা যেন নতুন করে ভেবে দেখে।
আমাদের সংস্কৃতির দেউলিয়াপনা আজকে চরমে উঠেছে। কিছু দিন আগে এটিএন এর চেয়ারম্যান তার একটি টিভি চ্যানেলে ভারতীয় সিরিয়ালের মতো প্রতিদিন তিন চারটা করে সিরিয়াল দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
যারা ভারতীয় সিরিয়ালের ব্যাপারে সচেতন তারা আঁৎকে উঠেতে পারেন। কিন্তু এখন থেকে যদি সম্মিলিত কণ্ঠ এব্যাপারে সোচ্চার না হয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে কিছুই করার থাকবে না। ভঙ্গুর এই সমাজ ব্যবস্থায় আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তরুণ-তরুণী সমাজ, পারিবাকি ব্যবস্থা, মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা। এক কথায় বলা যায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার সব কিছু। তবে এরকম কিছু লোক ব্যবসাকে সামনে রেখে দেশকে কোথায় নেবে তা ভাববার কথা ভাবে না।
না হয় তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য অবশ্য থাকতে পারে। তবে একদিনে গেল গেল বলে যে চিৎকার দেয়া হবে আর অন্যদিকে যদি এসব মুখবুঁজে সয়ে নেয়া হয় তাহলে কোনো লাভই হবে না আমাদের সংস্কৃতির। বরং ক্ষতিই হবে।
গুটি কয়েকের বিরুদ্ধে প্রায় সবাই এক হয়ে প্রতিবাদ করেছে। এটা আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার জন্য সুন্দর একটি প্রচেষ্টা।
আজ যারা চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সোচ্চার হয়েছেন একত্র হয়েছেন তারা যেন গোটা সংস্কৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য সব সময় এক থাকেন। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ যেন কোনো বৃহৎ স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান না হয। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের চেয়ে দেশ বড়, দেশের গোটা সংস্কৃতি বড়। কাজেই দেশীয় ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষা করা জরুরি। আশা করা যায়, চলচ্চিত্রের মতো সবাই যার যার অঙ্গণ থেকে এ জন্য প্রয়োজনী ভূমিকা রাখবে।
দেশকে ভালোবাসবে।
২৭.১২.২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।