তিনি একজন মাদ্রাসার ছাত্র। অথচ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। পলিপ ও পাইলসের চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় পরিচিতি রয়েছে তাঁর। রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষাসহ ব্যবস্থাপত্র দেন তিনি। পাশাপাশি ওষুধও বিক্রি করেন।
স্বঘোষিত এই চিকিৎসকের নাম আবদুর রাজ্জাক। বাড়ি উলিপুর উপজেলার নারিকেলবাড়ি গ্রামে। বাবা আবদুল বাতেন একজন ক্ষুদ্র কৃষক। দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় পাসের পর রাজ্জাক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার লতিফ রাজিয়া মাদ্রাসায় ফাজিলে পড়াশোনা করছেন। কিছুদিন আগেও তিনি উলিপুর পৌর শহরের গুনাইগাছ এলাকায় এক পল্লি চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমার ছেলে ডাক্তারি না পড়লেও ভালো চিকিৎসা দিবার পারে। ’ লতিফ রাজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল হালিম সরকার জানান, আবদুর রাজ্জাক ২০১২ সালে তাঁর মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পরীক্ষা দেবেন।
জানা গেছে, উলিপুর পৌর শহরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কাছে কেসি রোডসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসার কক্ষে বসেন আবদুর রাজ্জাক। এখানে বসেই তিনি পলিপ ও পাইলস রোগের চিকিৎসক হিসেবে গ্রামাঞ্চলের রোগী দেখেন এবং ব্যবস্থাপত্র দেন। তবে তাঁর এই চিকিৎসায় অনেকেই সুস্থ না হয়ে দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উলিপুর পৌরসভার পশ্চিম নাওডাঙ্গা গ্রামের ভুক্তভোগী রাশেদা বেগম বলেন, ‘মাস খানেক আগে ওই চিকিৎসক তিন হাজার টাকা নিয়ে পলিপ সরাতে গিয়ে আমার নাকের মাংস কেটে দিয়ে বলেছেন, সাত দিনে ভালো হয়ে যাবে। ভালো হওয়া তো দূরের কথা মরতে বসেছিলাম। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে ভালো হয়েছি। ’ একই ধরণের অভিযোগ করেন পৌর এলাকার জোনাইডাঙ্গা গ্রামের শমসের আলীসহ কয়েকজন।
আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, ‘আমি দিনাজপুরের এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পলিপ ও পাইলসের চিকিৎসা শিখেছি।
এতে আমার ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে আমার কোনো বৈধ সনদ নেই। ’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় কুমার বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল কাউন্সিলের সনদ ছাড়া কেউ ব্যবস্থাপত্র লিখতে পারবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।