মানুষ হতে চাই। চিত্রনায়িকা কেয়াকে নিয়ে রাতভর নাটক, পরে মুক্ত
শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১১
[জামিনের পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন কেয়া -নিজস্ব ছবি]
এইখানে ক্লিক দেনঃ মূল সুত্র পাবেন.
Click This Link
জামিনের পর আদালত থেকে বেরিয়ে আসছেন কেয়া -নিজস্ব ছবি
তোহুর আহমদ: চিত্রনায়িকা কেয়াকে নিয়ে রাতভর নাটক হয়েছে গুলশান থানায়। তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলেছে, ৭৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাড়ায় এসেছিলেন চিত্রনায়িকা কেয়া। খদ্দের সেজে এক পুলিশ সদস্য তাকে ওই ফ্ল্যাটে ডেকে এনেছিল। দির্ঘদিন ধরেই কেয়া অসামাজিক কাজে লিপ্ত।
তবে কেয়ার মায়ের অভিযোগ ষড়যন্ত্রের শিকার তার মেয়ে। ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতেই চক্রান্ত করে তার মেয়েকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রকারীরা মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। ওদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চিত্রনায়িকা কেয়াকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল সে কক্ষ থেকে একাধিকবার হাফপ্যান্ট পরে বের হতে দেখা গেছে থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদকে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য কারণে-অকারণে ওই কক্ষে ঢুকেছে।
আবার অল্পক্ষণ পরই বেরিয়ে গেছে। অবশ্য পুলিশ বলেছে, ওই কক্ষে কেয়াকে নিয়ে এসে রাখার পর থেকেই কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। থানায় নারী কনস্টেবল থাকলেও সারা রাতই প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে কেয়ার কক্ষে ঢুকেছে, পুরুষ পুলিশ সদস্যরা। কেয়াকে ধরে আনার পর প্রায় ৩ ঘণ্টা থানার সেরেস্তার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। ওদিকে কেয়ার মা সুফিয়া বেগম বলেছেন, সাজানো অভিযানে তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গুলশান থানার দুই এসআই কেয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পুলিশের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। কিন্তু এতে পুলিশ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। ওই দুই এসআই উপরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর টাকার অংক বাড়িয়ে ১০ লাখ করা হয়।
কিন্তু এতটাকা দিতে রাজি হননি কেয়ার মা। নানা নাটকের পর কেয়াসহ ৮ জন কলগার্লকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তখনও কেয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর পরিকল্পনা পুলিশের ছিল না। কেয়ার মায়ের সঙ্গে পুলিশের টাকার অংক নিয়ে দরকষাকষি চলছিল। এর মধ্যেই সাংবাদিকরা খবর পেয়ে থানায় হাজির হন।
ফলে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় রাত ১১টায়। অথচ তাকে পুলিশ আটক করে দুপুর ১২টায়। রাত ৯টা পর্যন্ত কেয়া নামের কাউকে গ্রেপ্তারের কথা পুলিশ স্বীকারই করেনি। পরে পুলিশের একটি সূত্র কেয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই সঙ্গে কেয়ার মা থানা থেকেই ফোন করে কেয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা চান। ফলে কেয়াকে লুকানোর আর কোন পথ খোলা ছিল না পুলিশের। সাংবাদিকদের মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় থানায়। একপর্যায়ে কেয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ। গুলশান থানার অপারেশন অফিসার জাবেদ মাসুদ আনুষ্ঠানিকভাবে বলেন হ্যাঁ যে ক’জন কলগার্লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে চিত্রনায়িকা কেয়াও আছেন।
জাবেদ বলেন, অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কেয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার কাছ থেকে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়নি। কেয়ার সঙ্গে কোন খদ্দেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সবকিছু এখনই বলা ঠিক হবে না। চিত্রনায়িকা কেয়ার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান থানার পরিবেশ ছিল অন্যরক।
রাতভর নানান লোক থানায় গেছেন। কেয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার ৭ জন হাই সোসাইটির কলগার্লকে গুলশান থানার হাজত খানায় রাখা হলেও নায়িকা কেয়াকে রাখা হয়েছিল থানার সেরেস্তা কক্ষে। ওই কক্ষে রাত ১২টা পর্যন্ত পুলিশ ছাড়া কেউই প্রবেশ করতে পারেনি। তবে রাত দেড়টার দিকে এ চিত্র বদলে যায়। গভীর রাতে থানায় দায়িত্ব পালন করা ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য দফায় দফায় ওই কক্ষে ঢুকেছেন এবং অল্প সময় পরই বেরিয়ে গেছেন।
রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানার ওসি তদন্ত শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম থানায় যান। নিজের কক্ষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েই তিনি কেয়াকে যে কক্ষে রাখা হয়েছে সে কক্ষে ঢোকেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর তিনি ওই কক্ষ থেকে বের হন। রাত ৪টা ১২ মিনিটে থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একাধিকবার হাফপ্যান্ট পরে ওই কক্ষে ঢুকতে ও বের হতে দেখা গেছে তাকে। অবশ্য মাসুদ দাবি করেছেন তিনি একবারের জন্যও কেয়াকে দেখতে যাননি।
এছাড়া রাত আড়াইটায় বেশকিছু বিয়ার উদ্ধার করে থানায় জমা দেয় র্যাব সদস্যরা। জব্দকৃত বিয়ারের কেস খুলে বিয়ার পান করে বেশ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন মাসুদ। দায়িত্বপালনরত পুলিশ সদস্যদের গালাগালিও করেন তিনি। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতিও কটূক্তি করেন। কিছুটা বেসামাল হয়ে তিনি বিয়ারের বোতল হাতে থানা চত্ব্বরে ঘুরে বেড়ান।
ওই অবস্থাতেই তিনি চিত্রনায়িকা কেয়ার কক্ষে ঢোকেন। তখন থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা কেয়ার মা সুফিয়া বেগম ডুকরে কেঁদে ওঠেন। কেয়ার মা সুফিয়া বেগম রাত ১২টা পর্যন্ত থানার সেরেস্তা কক্ষে কেয়ার সঙ্গেই ছিলেন। তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ তাকে বের হতে দিচ্ছে না। পরে থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে কেয়ার মাকে বাইরে বের করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
থানাতেই কেয়ার মা বলেন, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। ১১টার দিকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। একজন বলে লন্ডন থেকে দু’জন প্রডিউসার এসেছেন। তারা নতুন ছবি বানাবেন। ছবিতে কেয়াকে নায়িকা হিসেবে নিতে চান তারা।
চুক্তি করার জন্য নিকেতনের ওই বাড়িতে যেতে বলেন। আমরা বাড়িতে গিয়ে কোন প্রডিউসারকে পাইনি। কিন্তু দু’জন পুলিশকে দেখতে পাই। তারা আমাদের নানা ভয়-ভীতি দেখায়। এটুকু বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
পরে রাত ২টার দিকে কেয়ার জন্য জামাকাপড় নিয়ে আসেন তিনি। থানার বাইরে একটি সাদা প্রাইভেট কারে (ঢাকা মেট্রো ৩৩-০১৯৯) বসে থাকার সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, কেয়ার জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। তারপরও একটু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেল। আমার আরও দু’টো মেয়ে এখন কিভাবে স্কুলে যাবে আমরা কিভাবে মুখ দেখাবো।
অথচ সবকিছুই সাজানো। কিন্তু মানুষকে কিভাবে বোঝাবো। তিনি বলেন, এই বিপদের সময় অনেককে ফোন করেছি। কিন্তু কেউ ফোন ধরছে না। থানার সামনে প্রায় সারা রাতই একটি পাজেরো (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-০৩৯১) দাঁড়িয়েছিল।
ওই গাড়িতে উদ্বিগ্ন্ন এক যুবক ও যুবতী বসে ছিলেন। মাঝে-মধ্যে নেমে রাস্তায় পায়চারি করছিলেন। তারা নিজেদেরকে কেয়ার আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। কেয়ার কক্ষে বার বার ঢোকা এএসআই শাহিন বলেন, কেয়াকে সরকারি কম্বল দিয়েছি। কিন্তু তিনি তা গায়ে দেননি।
কোন খাবারও খাচ্ছেন না তিনি। গ্রেপ্তারের পর পরই আসামির মোবাইল ফোন সিজ করে নেয়া হলেও কেয়ার মোবাইল ফোন নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে পুলিশ বলেছে, অনেক সময় নারীদের ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ম- কানুন শিথিল করা হয়। তাই তার মোবাইল সিজ করা হয়নি। তবে অভিযোগ আছে, বিভিন্ন জায়গায় টাকা সংগ্রহ করতে দেয়ার জন্যই কেয়াকে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ দেয় পুলিশ।
নায়িকা কেয়ার সঙ্গে আরও যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন, সেলিন ইয়াসমিন পপি, খুকু, অরপা, মার্জিনা আক্তার, নাসরিন আক্তার, বিউটি, আমেনা খাতুন, সাজ্জাদ ও সোহেল। ওদিকে গতকাল কেয়াকে আদালতে হাজির করা হলে ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে বেলা সাড়ে ৩টায় ছাড়া পান তিনি। ছাড়া পেয়েই তিনি মায়ের সঙ্গে সোজা চলে যান তার গুলশানস্থ বাসায়। ছাড়া পাওয়ার পর কেয়া মানবজমিনকে বলেন, গতকাল রাত থেকে একটু আগে পর্যন্ত খুব ধকলের মধ্যে ছিলাম। সারা রাত ঘুমাইনি।
খুব ক্লান্ত আমি। বিশ্রাম নিয়ে পরে কথা বলবো। তবে এটুকু বলি, আমি আসলে ষড়যন্ত্রের শিকার। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান-১ এর নিকেতন আবাসিক এলাকার ১ নং রোডের বাড়ি নং ১৩/১৫ এর ৫/সি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে ২জন পুরুষ ও চিত্রনায়িকা কেয়াসহ ৮জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, ওই বাড়িটিতে দীর্ঘদিন ধরেই অনৈতিক কাজ চলছিল। গতকাল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। কলগার্লদের সর্দারণী পপিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশান থানার সিভিল টিমের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এবং আবদুল বারিক এ অভিযান চালান। অভিযানের সময় কনস্টেবল এনামুল হক, কনস্টেবল শহিদুল্লাহ ও কনস্টেবল মাসুদ রানাসহ আরও ক’জন পুলিশ সদস্য ছিল।
পরে এসআই বারিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
কেয়ার উত্থান যেভাবে-
সুন্দরী নায়িকা কেয়া ‘তিব্বত স্নো’ বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়ে তৈরি করেন ক্রেজ। তারপর একে একে তিব্বত লিপজেল, সাগুফতা, জিএমজি এয়ারালাইন্স, বসুধা হাউজিংসহ বেশক’টি বিজ্ঞাপনে দারুণভাবে নিজেকে মেলে ধরেন। বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে ঢালিউডের নায়িকাদের মধ্যে কেয়া ছিলেন সবচেয়ে সফল। সাফল্য যখন তার পিছু নেয়, ঠিক তখনই রহস্যজনকভাবে তিনি নিজেকে আড়াল করে নেন।
জড়িয়ে যান ব্যক্তিগত জীবনের ঝুট-ঝামেলায়। চলচ্চিত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকার পরও নিজের খামখেয়ালিপনায় হারিয়ে যাওয়া নায়িকাদের মধ্যে যে ক’জন উল্লেখযোগ্য, তাদের মধ্যে সেরা আসনটি অল্প সময়েই দখল করে নেন কেয়া। বিত্তশালী একাধিক প্রযোজকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রোমান্সে। তাদের মধ্য থেকে জুবায়ের নামের এক ধনকুবেরের হাত ধরে এ সময় তিনি পাড়ি দেন আমেরিকায়। কিন্তু দু’বছর পেরুনোর আগেই সেই সম্পর্কে ইতি টেনে দেশে ফিরে আসেন।
আমেরিকা থেকে দেশে ফেরার পর কেয়া মিডিয়ায় নিয়মিত কাজ করবেন বলে ঘোষণা দেন। বেশক’টি ছবিতেও তিনি কাজ করেন এবং চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু আবারও কেয়ার আচরণ রহস্যজনক হয়ে পড়ে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। ঢাকার কাকরাইলের বাবুল নামের এক গাড়ি ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে আবার চলে যান স্বেচ্ছা নির্বাসনে।
অবশ্য তার দ্বিতীয় বিয়েও টিকেনি। জোট সরকারের আমলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল-মামুনের সঙ্গেও গড়ে উঠেছিল কেয়ার ঘনিষ্ঠতা। শোবিজ থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া কেয়া অবশ্য হালে নতুন করে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারও নতুন করে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন তিনি। নতুন নায়ক আবিরের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ শুরু করেন আবুল খায়ের বুলবুলের পরিচালনায় ‘ফিরিয়ে দাও আমার প্রেম’ ছবিতে।
এ ছাড়াও কেয়ার হাতে থাকা উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- রকিবুল আলম রাকিবের ‘জান তুমি প্রাণ তুমি, বাবুল রেজার ‘কাটাদাগ’, রাজু আকবরের ‘রক্তে ভেজা মাটি’, কমল সরকারের ‘এক টাকার ছেলে কোটি টাকার মেয়ে’ প্রভৃতি। নিজেকে আবার চলচ্চিত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করার মনোভাব জানিয়ে কিছুদিন আগে কেয়া বলেছিলেন, অতীতের ভুল থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। এবার আমি খুব সতর্ক। অন্ধকার এড়িয়ে খোলা আকাশের ঝলমলে রোদে পিঠ টান করে দাঁড়ানোর মতো প্রত্যয় আমার আছে। কিন্তু মুখে বললেও অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে বেরিয়ে আসতে পারেননি এই পর্দাকন্যা।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এবার তাই হাজতের অন্ধকারে তাকে কিছু সময়ের জন্য মুখথুবড়ে কাটাতে হলো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।