ডা: শাহরিয়ারের পোষ্ট শীতের রোগ বালাই ( ঠান্ডা ও জ্বর ) আছে এই পোষ্ট এ।
শীতে জমে আছে দেশ। সেই সাথে বাড়ছে শীতের রোগে আক্রন্ত রোগীদের সংখ্যা। তাই এই পোষ্ট। শীতের রোগ বালাই ( কাশি বা কফ)।
কাশি শরীরের একটি রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যার সাহায্যে শরীর শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেমা নিষ্কাশন করে। শীতকালে ঠান্ডাজনিত যে কাশি হয় সেটি সাধারনত ভাইরাস দিয়ে হয় ( ফ্লু ভাইরাস ) এবং ৩ থেকে ৭ দিনের ভেতর নিজে থেকেই কমে যায়।
কফ অনেক কারনে হতে পারে যেমন,
সাধারন কাশি (সাধারনত ভাইরাস দিয়ে হয়, শুকনো কাশি হয়, জ্বর নাও থাকতে পারে, ১ সপ্তাহের ভেতর নিজে থেকেই কমে যায়। )
নিউমনিয়া ( শিশু এবং বৃদ্ধদের বেশী হয়, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দুইটি দিয়েই হতে পারে, কাশির সাথে কফ থাকে, বুকের ভেতর কফ জমে থাকে, বুকের ভেতর শব্দ হয়, শ্বাস প্রশ্বাস বেশী হয় ( মিনিটে ৪০ এর বেশী শিশুদের ক্ষেত্রে ), চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক দরকার হয়। )
এছাড়া যারা শ্বাস কষ্টের পুরাতন রোগী ( ক্রনিক ) তাদের শ্বাসকষ্ট ঠান্ডায় বেড়ে যায়।
বাড়ীতে কাশির চিকিৎসায় মধু ব্যাবহার করতে পারেন। শুকনো কাশির জন্য dextromethorphan সিরাপ ( শিশুদের জন্য নয়) খেতে পারেন সতর্কতার সাথে। ১ সপ্তাহের বেশী কাশি হলে, বুকের ভেতর কফ জমে থাকলে, সবুজ বা হলুদ কফ হলে, বুকের ভেতর শব্দ হলে এবং শ্বাস প্রশ্বাস বেশী অথবা শ্বাসকষ্ট এর যে কোনটি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এই পোষ্ট সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা অন্য কোন বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে দয়া করে আমার ফেসবুক পেজ এর Wall এ প্রশ্নটি করুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।