আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিকের সংজ্ঞা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী???

মিলে মিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ! কয়েকমাস আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন বাংলাদেশীদের মধ্যে উনিই সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক! (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের চেয়েও বেশি কি? !) আজ উপরের এই ভিডিওটি দেখে আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুকে হাত রেখে সাহস করে এখনো নিজেকে সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক বলতে পারবেন? তিতাসকে এভাবে দুই ভাগ করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে পরিবেশের ক্ষতিসহ এর উপর নির্ভরশীল মানুষদের জীবিকার পথ বন্ধ করে মাঝ বরারবর রাস্তা তৈরী করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মালামাল পরিবহনের জন্য!!! এরপরও কি বলবেন আপনি সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমিক? ভারতের ওই মালামাল কি ট্রানশিপমেন্টের মাধ্যমে নেয়া যেত না? যদি নেয়া না যায় তো বাদ. তাদেরকে অন্য পথ দেখতে বলুন. কিন্তু তাই বলে নদীর মাঝখানে বাধ দিয়ে? এমন অদ্ভুত পরামর্শ কারা দেয় আপনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? প্লীজ দয়া করে এ কথা বলবেন না যে আপনি কিছুই জানেন না এ বিষয়ে. যেখানে অন্য দেশকে ট্রানজিট দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে খতিয়ে দেখতে হয়, তাই এ ব্যাপারে কোথায় কি হচ্ছে এসবকিছু রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের নখদর্পনে থাকার কথা. আমরা দেশবাসী অবিলম্বে এই বাঁধ খুলে দেবার দাবি জানাচ্ছি. প্রতিবেশী দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখা মানে মাথা নিচু করে থাকা নয়, যে কাজ করলে আমাদের দেশের ক্ষতি সেক্ষেত্রে অকপটে নিজেদের আপত্তি জানানো উচিত, এক্ষেত্রে বন্ধু বেজার হবে এ চিন্তা মোটেও করা ঠিক নয়. আগে নিজের দেশের স্বার্থ, তারপর পরসেবা. আমাদের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ তো আবার ট্রানজিটকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দেখতে চায়. কিন্তু আমরা তা চাই না. ট্রানজিট বিষয়ক মূল তদন্ত কমিটির মতামত অনুযায়ী আমরাও বলতে চাই ট্রানজিট শুল্ক নির্ধারণে দর কষাকষি করা হোক.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.