আমার ব্যক্তিগত ব্লগ গত পোস্টে বলেছি। এক ব্যাকপ্যাক কিনতে গিয়ে কত জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে। আর সবজায়গায় আছে খেলনার দোকান। যাদের দোকান ছোট বড় নানা রকম মজার মজার খেলনায় ঠাসা আর দোকান উপচে বাইরেও খেলনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ছোট মানুষ তো বটেই বড়দেরও দৃষ্টি সবার আগে ওখানে পড়বে।
শাফিনের বয়স ২ বছর ৯মাস। খেলনা দিয়ে খেলার বয়স। আমরা যেখানে ব্যাগ দেখছি, ও সেখানে খেলনা দেখছে আর আগ্রহ নিয়ে বাপ মায়ের দিকে তাকাচ্ছে, যদি কিনে দেই। যখন দেখছে আমরা খেলনা না নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছি তখন অভিমান ভরে বলছে, আমি ওটা নিব। আমি বোঝালাম, আম্মু সব দেখে সবচেয়ে ভাল আর সুন্দর খেলনা কিনে দিব।
আসল উদ্দেশ্য ব্যাগ কেনার পর কত টাকা হাতে থাকে সেটা দেখে খেলনা কেনা।
অনেক ঘোরাঘুরির পর ব্যাগ কিনলাম, তারপর মৌচাকের নিচতলায় প্রথম যে দোকানে খেলনা দেখলাম, সেখানে একটা দোতলা বাস পছন্দ করলাম। একদাম ১৫০ টাকা। এটা কিনলাম, কারন ওর দোতলা বাস নেই আর শাফিন রাস্তায় দোতলা বাস দেখলেই চিৎকার করে উঠে, দোতলা বাস, ডবল ডেকার। আর যতক্ষন দেখা যায় ততক্ষন তাকিয়ে থাকে।
দেখতে দেখতে একেবারে ঝুকে পড়ে।
বাস কিনে রিক্সায় ফিরছি। দেখলাম ও গম্ভির মুখে বাসটা কোলে করে রেখেছে। একটু পর আমাকে বলল, এটাই সবচেয়ে ভাল খেলনা? সবচেয়ে সুন্দর খেলনা? হমম? আমি বুঝলাম ছেলে বুঝেছে, মা তাকে ঠকিয়েছে। সে অনেক রকম সুন্দর খেলনা দেখেছে, শেষ পর্যন্ত মা তাকে এটা কেন কিনে দিল সেটা সে বুঝতে পারছে না।
আমারও খারাপ লাগল। বললাম, খেলনা পছন্দ হয়নি? বলল, না পছন্দ হয়েছে। বলে গম্ভির ভাবে আবার বসে রইল। এমনিতে খেলনা কিনলে সারা রাস্তা খেলতে খেলতে গল্প করতে করতে আসে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।