নিজের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই। বেশীর ভাগ ছবি ব্লগ। আরেকজনের ব্লগ থেইকা কপি-পেস্ট করি,ট্রান্সলেট করি।
বড় করে দেখুন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরের খনিটি বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থিত।
পূর্ব সাইবেরিয়ার মেরিনা নামক অঞ্চলে ৫২৫মিটার বা ১,৭২২ফুট গভীরতা ও ১২০০মিটার বা ৩৯০০ফুট গভীরতা বিশিষ্ট "মির মাইন" নামের এই হীরার খনিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও গভীর খনিগুলোর মধ্য অন্যতম।
দানবাকৃতি ট্রাক বেলাজ (২০০-২২০ টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন) যেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রাক হিসেবে গন্য করা হয়।
উপরের চিত্রে ক্ষুদ্র কালো বিন্দুটি হচ্ছে বেলাজ !
এই খনিটি আবিষ্কার হয়েছিলো ১৩জুন,১৯৫৫। তিনজন রাশিয়ান ভূতত্ত্ববিদ ইউরি খাবাড়দিন, ইকাটিরিনা ইলাগিনা এবং ভিক্টর এভদিনকো তাদের ইয়াকুট এএসএসআর এ অবস্থিত আমাকিনস্কি অভিযানের সময় এই খনিটি আবিষ্কার করেন। উক্ত অভিযানের সময় তারা কিমবারলাইট নামক এক আগ্নেয় খনিজ পদার্থের সন্ধান পান যেটা হীরার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
এই অভিযানে সফলতার জন্য খাবাড়দিনকে ১৯৫৭ সালে লেনিন পুরষ্কার দেওয়া হয় যেটিকে রাশিয়ায় অন্যতম বেসামরিক সম্মাননা হিসেবে গন্য করা হয়।
খনিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। বাইরের লোকদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে এই এলাকায় ঢুকতে হয়। বিদেশী যে কাউকে এখানে কঠোর সন্দেহের চোখে রাখা হয়। বিবিসির একটি প্রতিবেদন পড়তে পারেন এটা নিয়ে।
খনি থেকে প্রাপ্ত আকরিক,খনিজ গুলো প্রসেস করার জন্য ২০ কিমি দুরের প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
শীতকালে কাজ করতে অনেক অসুবিধা হয়। মুলত টায়ার শক্ত হয়ে যাওয়া ও ডিজেল ঠান্ডায় জমে যাবার কারনে গাড়িগুলোর চলাচলে অসুবিধা হয়। সেকারনে তারা ডিজেলের বদলে জেটওয়েল ব্যাবহার করে।
১৯৬০ সালে খনিটি থেকে বাৎসরিক হীরা উৎপাদন হত প্রায় ১কোটি ক্যারট যা প্রায় ২০০০ কেজির সমান।
খনির উপরিভাগে (৩৪০মিটারের মধ্য) হীরার ঘনত্ব বেশি ছিলো। তখন ১টন আকরিক ধাতুর মধ্য প্রায় ০.৮০গ্রাম হীরা পাওয়া যেত। খনির নিচের দিকে হীরার ঘনত্ব কমে আসে এবং তা প্রায় প্রতি ১টন আকরিক ধাতুর মধ্য মাত্র ০.২০গ্রাম পাওয়া যেত । খনিটি পরিত্যাক্ত হবার শেষের দিকে বাৎসরিক প্রায় ২,০০০,০০০ক্যারট বা ৪০০কেজি ওজনের হীরা পাওয়া যেত। খনির সবচেয়ে বড় আকৃতির হীরাটি পাওয়া যায় ২৩শে ডিসেম্বর,১৯৮০ সালে যার ওজন ছিলো ৩৪২.৫ক্যারট বা ৬০গ্রাম।
হীরাটির নাম রাখা হয়েছিলো 26th Congress CPSU (রাশিয়ান ভাষায়: XXVI съезд КПСС) ।
খনির ভিতরের রাস্তা।
খনিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে।
খনি এলাকায় ঢুকার গেইট।
সম্ভবত খনির শ্রমিকদের নিয়ে করা কোন চিত্র প্রদর্শনী !
খনি কাটার যন্ত্র।
দেখলে ভঁয় লাগে
শীতকালে ঠিক এমনটাই দেখায় খনির চারপাশ।
১৯৯০ সালে খনিটি বন্যার কারনে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল ।
২০০১ সালে এসে এটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আলরোসা খনিটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। নিঃসন্দেহে রাশিয়ার অর্থনীতিতে খনিটি এক বিশাল অবদান রেখে গিয়েছে। খনিটির একটি ভিডিও দেখতে পারেন এখানে।
খনিটি দেখে মনে হতে পারে এটিই বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খনি। কিন্তু আসলে এটির অবস্থান দ্বিতীয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খননকৃত খনিটি হচ্ছে আমেরিকার উটাহ অংগরাজ্য অবস্থিত বিংগহাম ক্যানন । এই খনিটি নিয়ে নাহয় আরেকদিন লিখব ।
একটি বল্টু মিয়া প্রোডাকশন
এই প্রোডাকশনের আরও কিছু পোস্ট যা আপনাদের ভালো লাগতে পারেঃ
বিশ্বসেরা ১০টি স্নাইপার রাইফেল
ক্রিয়েটিভ ও ইউনিক ডিজাইনের কিছু মাউস কালেকশন (পার্ট-১)
ধন্যবাদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।