শব্দ খুঁজি, সৃষ্টির অদম্য নেশায়
রক্তাভ মদিরায় ভেজা সে ঠোঁট কুঁচকে ওঠে
মাদ্রাসার প্রতিটি ক্ষয়ীষ্ণু ইটের কাছে শেখা অবদমিত ঘৃণায়।
চারপাশে চোখ চেয়ে যত দুপেয়ের মিছিল
উন্নত নাসায় প্রবেশ করায় হিন্দুয়ানীর গন্ধ,
ওরা ছোটলোক আমাদের ভৃত্য।
পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছেলেটি
চোখ বুজে সমানে আওড়াতো ফয়েজ, রবীন্দ্রনাথ
ওর বড় বড় দু চোখে প্রচ্ছন্ন সরলতা, তার মায়া হত।
আর্ট কলেজের সেই আওরাত যার চোখের কাজলে
পরাজিত হাফিজের প্রিয়তমা,তার কালো তিল
তাকেও শুঁকেছে সে পাগলের মত
শরাব দিয়ে ধুয়ে দিতে চেয়েছিল নোংরা গন্ধটা।
তার ব্যারাকের সেই কালো ছোকরা
ছুটির কথা ছড়িয়ে দিত প্রতিটা কানে
যার মায়ের বর্ণনা শুনে মনে পরে যেত
তার আম্মিজান,আরব সাগরের উদ্দাম বাতাস।
তাদের সবার শরীরেই সেই বিষাক্ত গন্ধ
যে গন্ধ ঘৃণা তাড়িয়ে বেড়ায় ১৯৪৭
অমৃতসরের পোড়োবাড়িতে দাদাজানের লাশ
মাদ্রাসার প্রতিটা চৌকাঠে ঘুলঘুলিতে
ঘৃণার মন্ত্র,আব্বুর কাছে শোনা বিপন্ন কাশ্মীর।
সে তাদের নির্বংশ করার শপথ নিয়েছিলো
আখ মাড়াইয়ের কলের মত প্রতিটা শরীর
ছোবড়া বানিয়ে ভিজিয়ে ছিলো উষ্ণ প্রস্রাবে ।
কেরোসিনের নীলাভ আগুন,রুমালের বুনুনি ফেঁড়ে
ওদের গন্ধ -রক্ত মাটির গভীর থেকেও
অসংখ্য হাতপায়ের কিলবিলে দেবতার মত
উপস্থিত প্রতিটা মসজিদ, মন্দির-প্যাগোডায়।
হিন্দুস্তানের দালালদের কিছু পটকায়
শুধু সংগমরত জওয়ানদের দ্রুত বীর্যপাত
আর বদরবাহিনীর আনা ছাগলে
তুড়ির শব্দে উড়ে যেত সব উজবুক!
বাম অলিন্দে তাগুতের পতাকা উড়িয়ে
একদিন ওরা হাজির হয়েছিলো ক্যাম্পের দরোজায়
নিখাদ নির্লিপ্ততায় বাতাসে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে
উদ্ধত ওদের গলায় আত্মসমর্পনের আহবান।
অস্ত্র উচিয়ে মেগাফোনে বলেছিলো সে
‘দূর হয়ে যা দালালের দল,হিন্দুস্তান মূর্দাবাদ’।
দাঁত-মুখ খেঁচিয়ে শূকরদল জবাব দিয়েছিলো
ইট-সুরকির হিন্দু মহলে এখন গুলির দাগ
যেমন হৃদয়ে বিষবাষ্প এই চল্লিশ বছর পরেও।
কালো চোখের সে বলিষ্ঠ সুপুরুষ আজ
উড়ে যাওয়া শরীরের এক হতদ্যম মালিক,
তসবির প্রতিটি পুঁতি টানতে টানতে
আড়াল করে তার খাড়া শ্বাসরন্ধ্র,
পুবের বাতাসে এখনো যে ওদের গন্ধ!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।