সৌন্দর্য মাঘী পূর্ণিমার পূর্ণ চন্দ্রের মতো। হৃদয় কখনো একটা নিজস্ব উঠোনের মতো।
বাহ্য্যক সৌন্দর্য কবিকে মোহিত করে, মনের আর অন্দরের অলিন্দে।
যে সৌন্দর্য ফুটন্ত গোলাপ ফুলের মতো অথবা একটা গন্ধরাজের মতো দখিনা হাওয়ায় দোলে- তা বালুকাবেলায় খেলাচ্ছলে তৈরী ঘরের মতো অস্থায়ী নয়।
ভীষন প্রিয় কোনো চেনা সুরের মতো বুদ করে রাখে , নেশাময় ইন্দ্রজালে ।
জড়িয়ে যেতে হয়। ভুলে যেতে হয় , আমি কি মানুষ না একটা আদুরে খরগোশ ?
মনে হতে থাকে , এখনি কেউ আমাকে প্রথাগত অংকের বাইরে দাড়িয়ে বিষ্য়য়কর ভালোবাসার শক্তি দিয়ে ওম খাওয়াবে !
সুতীব্র বাহ্যিক সৌন্দর্য, তা যতই অটল আর বিশাল পাহাড় তরলে পরিনত করবার শক্তি রাখুক না কেন- তা সাময়িক আর অস্থায়ী।
কারন- সৌন্দর্য অর্জন বা কৃতিত্ব নয়। এটি দান।
দান গ্রহিতা বা গ্রহনকারী আদরনীয়, স্নেহতুল্য , পূজনীয় নয়।
যদিও , সমকাল সেই পূজাতেই ব্যস্ততা দেখায় বেশী।
যে কারনে, সমকালে যা ই হোক,সুচিত্রা নয়, চির সুন্দর রবীন্দ্র নাথ, লালন, নজরুল।
সে হয়তো সুন্দর , আমি বিশ্বাস করি।
তোমার বেহেশতের সুড়ঙ থেকে চুরি করে আনা শব্দ গুলো
তাকে সুন্দর থেকে করে তোলে আরো অনিন্দ্য সুন্দরী তমা আর
রূপ দেয় এক চির সুন্দরের ।
লোকে আমাকে প্রশ্ন করে - কবিতার উদ্দেশ্য কি >?
আমি বলি-
অ সুন্দর কে সুন্দর আর
সুন্দর কে চির সুন্দরে উঠিয়ে আনাই কবিতার উদ্দেশ্য।
কেউ সাধনায় সফল হলে-, উদ্দেশ্যে কামিয়াব হলে আমি অভিনন্দন জানাতে কৃপন হবো কেন ?
অভিনন্দন , জাদুকর।
তোমার শব্দের রঙিন জাদু ছড়িয়ে দাও হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
আমি একটু মুচকি হেসে দেখি -কীভাবে একটি আমাবস্যার পৃথিবী হয়ে ওঠে এক নতুন ভোরের অবাক রঙধনু।
তুমি পারবে। এটি শুভ কামনা নয় শুধুমাত্র , আমার গভীর বিশ্বাস।
এই নাও, তোমার নামে ছড়িয়ে দিলাম সহস্র উড়ন্ত চুম্বন।
শীতের মাত্রা বেড়ে গেলে , বুঝে নিও , আমি গোপনে তোমাকে পাঠালাম নিমন্ত্রন: হয়ে একটি পেলব, উষ্ণ কম্বল ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।