আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিসিবি কে মেইলটি পাঠালাম.........

বুদ্ধিমানগণ নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন....

মহোদয়, অল্প কিছুদিন পর বাংলাদেশ সহ ভারত ও শ্রীলংকায় বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এত বড় একটি আয়োজনের অংশীদার হতে পারাটা আনন্দের এবং গর্বের। তারচেয়ে বড় যে গর্বের বিষয় তা হলো উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। এটি সারাবিশ্বের সামনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার একটি অনন্য সুয়োগ। অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গঠন করতে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানটি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের এবং ভারতের দু'টি কোম্পানি ATN ইভেন্ট এবং WIZCRAFT ইভেন্ট। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারী মুল অনুষ্ঠানের আগের দিন ও পরের দিন মানে ১৬ , ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারীতে এই দুই ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানী অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন । এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ভারতীয় চিত্র জগতের খ্যাতিমান চিত্রনায়ক ও নায়িকাদের নিয়েই এই উদ্ভোধনী ও বাকি দুইদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হবে । সে সিদ্ধান্তের ফলাফল স্বরূপ পুরো বচ্চন পরিবার মানে অমিতাভ , জয়া বচ্চন , অভিষেক ও ঐশ্বরিয়া উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান করতে ঢাকা আসবেন আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারী । এই আলোচনার জন্য সম্প্রতি মাহফুজুর রহমান ভারতে গিয়েছিলেন ।

এই বচ্চন পরিবারসহ আরো আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতীয় চিত্র জগতের কিছু চেনামুখদের । এদের মধ্যে রয়েছেন সাল্মান খান , বিপাসা বসু , সনু নিগাম , প্রিয়াংকা চোপড়া , গোবিন্দ , অক্ষয় কুমার , সাইফ আলী খান , রাহাত ফতেহ আলী খান সহ মোট ৫৮ জনের এক বহর । তাদের ঢাকা পৌঁছাবার কথা রয়েছে আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারী । উপরোক্ত তথ্যসমুহ সত্য হলে বুঝতে হবে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আয়োজনে বাংলাদেশের ভূমিকা মোটেও থাকবে না বা থাকলেও তা হবে খুবই নগন্য। আর ভাষা আন্দোলনের মাসে এ ধরনের কার্যক্রম হবে বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর।

বিশ্বকাপ ফুটবল, ক্রিকেট, অলিম্পিক বা কমনওয়েলথ গেমসের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান কোন বানিজ্যিক আয়োজন নয়। আয়োজক দেশের সংস্কৃতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। তাই প্রতিটি আয়োজক দেশই সর্ব্বচ্চো চেষ্টা করে আয়োজনকে জাকজমকপূর্ন করার। আমাদের হয়তো চীন বা ভারতের মতো চোখ ধাধানো আয়োজন করার সামর্থ্য নেই কিন্তু তাই বলে বিদেশী তারকা এনে আয়োজন করাটা কোন যৌক্তিক সমাধান নয়। প্রসঙ্গত ২০০৭ অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করছি।

তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন করেছে কিন্তু তাদের সম্মান নষ্ট হয়নি। আমাদের সামর্থ্য তাদের চেয়ে কম বলে মনে করিনা। বিশেষ করে চলচ্চিত্র অঙ্গনের এইসব তারকা উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কি প্রদর্শন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারতে অনুষ্ঠিত দিল্লী কমনওয়েলথ গেমস ২০১০ এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের লোকজ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে আমরা কেন আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সুয়োগ হেলায় নষ্ট করব তা বোধগম্য নয়।

এ ধরনের হটকারি স্বীদ্ধান্ত পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক ও অবমাননাকর। অতএব মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ সময় থাকতে এই হটকারী স্বীদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করার সুয়োগের সদ্বব্যবহার করুন আর যদি আমার প্রদত্ত তথ্যসমূহ সঠিক না হয় তাহলে গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রকাশ করার ভুল বোঝাবোঝির সমাপ্তি টানুন। বিনীত মো. ওয়াশিকুর রহমান। ...................................................................................................... জানিনা এতে কিছু হবে কিনা তবে সবাই মেইল পাঠালে আশা করি তারা অগ্রাহ্য করতে পারবে না। তবে আমার মনে হয় এই বিষয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।

আমি যে কোন মুহুর্তে প্রস্তুত আছি। আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে মন্তব্য করুন। কি করতে চান, কোথায় এবং কখন করতে চান বিস্তারিত মন্তব্য বলুন। বসে থাকলে কিছুই হবে না। বি. দ্র. এই পোষ্টে নিম্নোক্ত পোষ্টের থেকে কিন্চিত কপি পেষ্ট করা হয়েছে।

আমার প্রতিবাদের ভাষা: আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না... উঠুন! জাগুন!! যে যেভাবে পারেন প্রতিবাদ করুন!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।