আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা।
বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল অনেক জল ঘোলা করছি- বহুত কাব্জাব করছি- বহুত ইতিহাস রচনা করছি- আজকে প্রচণ্ড বিরক্তি ও অভক্তি নিয়ে এই পোস্ট টা লিখতে বসেছি।
রাজাকারের বিচার ও প্রজন্ম চত্বরের জন্ম আমাদের কারোরই অজানা নয়। সবাই বলেছিল দ্বিতীয় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তরুন প্রজন্ম, জেগে উঠেছে বাংলাদেশ! লাখ লাখ মানুষের সমাগমে মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে চলছিল বেশ। হঠাৎ করেই নব্য রাজাকার,রক্তচোষা,দেশদ্রোহী, খুনি ও সরকারের পা চাটা কুত্তা ছাত্র লীগের আবির্ভাব! সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাপট গেলো বদলে - নাস্তিক আসিফের মত মনুষ্যত্বহীন ব্লগারদের আবির্ভাব ঘটলো মঞ্চে, মুখোশধারী ইমরান সরকার - হোল সরকারের মুখপাত্র! আর আন্দোলন রুপ নিল প্রহসনে।
সেখান থেকে নাস্তিকতা - আস্তিকতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিয়ে সেই দুর্বল মুহূর্তের সুযোগ নিলো রাজাকারের বাচ্চারা, একের পর এক হরতাল - ফলাফল জন জীবন হুমকির সম্মুক্ষিন! হারিয়ে গেলো প্রজন্ম চত্বর ঘোর অমানিশায়!
আজকে যখন ম্যাঙ্গো পিপল | আমজনতার নামে ৭ জন তরুন-তরুণী ৭১ ঘণ্টা হরতাল করলো তখন কোথায় ইমরান এইচ সরকার - কোথায় প্রজন্ম? তিনি সংলাপ চায় না, তিনি চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার! তো বেশ, ২৭ শে মার্চ আল্টিমেটাম দেয়া হোল জামায়েত-শিবির নিষিদ্ধ করার - সেটাও হোল নাহ - যার ফলশ্রুতিতে এক ঝাঁক তাজা রক্ত রুমি স্কোয়াডের ব্যানারে শুরু করলো আমরণ অনশন। এই অনশনে কোথায় ইমরান- কোথায় তার আল্টিমেটাম?? কোথায় সেই সব লক্ষ লক্ষ মানুষ- কোথায় সেই জাগ্রত পিতা যে তার পাঁচ বছরের সন্তান কে নিয়ে এসেছিল মুক্তির শোভাযাত্রায়? কোথায় তারা? কোথায় বীর বাঙ্গালী - যখন ১৭ টি পুষ্পের ন্যায় জীবন আজ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে?
এই ৫৫ দিনের আন্দোলনে কোন না কোন সংঘটনের সাথে কোন না কোন ভাবে কাজ করেছি- একবারের জন্যও এতোটুকু খারাপ লাগে নি! কিন্তু , আজ যখন শহীদ রুমী স্কোয়াড এর সেই ১৭ জন অনশনকারীর সাথে বসে ছিলাম তখন সত্যিই খারাপ লেগেছে! কষ্ট লেগেছে খুব, এরা কেউ স্যালাইন নিচ্ছে, কেউ রুগ্ন - শুকনো মুখে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে চোখ খোলার ক্ষমতাটুকু হারিয়ে ফেলেছে! এটা কি প্রহসন নয়? এটাই কি স্বাধীনতা? যেখানে স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রান বিলাতে হচ্ছে ১৭ জন তরুণের !
বিষয় টা হাস্যকর তবুও সত্য এটাই যারা নিজেদের স্বাধীনতার স্বপক্ষে বলে দাবি করে সেই আওয়ামীলীগ সরকার এখন ক্ষমতার লোভে মুখে চুষিকাঠি ঢুকিয়ে তামাসা দেখছে! তাদের গণ্ডারের ন্যায় চামড়ায় এই সব তরুণের আর্তনাদ প্রবেশ করছে নাহ! আর আমাদের সাধারণ জনগনের মুখপাত্র বলে পরিচিত সেই ইমারান এইচ সরকার ও তার চ্যালা পিয়াল কিংবা আরিফ জেবতিকরা এখন ছাত্রলীগের শাড়ির আঁচলে টাকার সুবাতাস গ্রহন করছে!
এরাই নব্য রাজাকার - আর এরাই বর্তমানে স্বাধীনতা বিরোধী। অনেক আগে একটা ব্লগ পোস্ট দিয়েছিলাম অব্রুদের পদতলে সোনার বাংলাকে পিষ্ট হতে দিবো নাহ! সেখানে স্পষ্ট ভাবে আমি ইমরান সাহেবের সমালোচনা করেছিলাম বিঁধায় আমাকে প্রবল সমালোচনার সম্মুক্ষিন হতে হয়েছিল, আজ সেই সব সমালোচনা কারীদের বলতে চাই, ভাই এটা বাংলাদেশ- এখানে সবই সম্ভব- ইমরান কোন পীর ছিল নাহ, এখনও নেই! গ্রো আপ কিডস!!
যখন আমরা অনশনে নেমেছি - তখন আমরা সবই পারবো। এই ইমরান এইচ সরকারের মত দালালদের উপর ভরসা করা ছাড়েন, যদি অস্তিত্ব ফিরে পেটে চান তবে এখনই রাস্তায় আসুন। এই দেশ আমার - আপনার - সকলের।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিবো নাহ। ।
অবিলম্বে জামায়েত- শিবির রাজাকারদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ।
এক দফা - এক দাবি
রাজাকারের ফাঁসি দিবি।
।
জয় বাংলা। ।
(বি, দ্রঃ কারো ভালো না লাগলে যা মুঞ্চায় করেন, আই ডোন্ট কেয়ার) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।