পৃথিবীর শেষ দেখে ছাড়ব!
ক:
মাঝে মাঝে রং তুলি টি ফেলে দিতে ইচ্ছে হয় খুব। আসলে আমিও সমুদ্রসখার মতন ছবি আঁকতে পারি না। তুলি হাতে নিলেই আজকাল নিজের অনুভূতিরাই ধরা দেয় বেশি। যেমন সাত সকালে লেকের ধারে কুয়াশাদের দিকে তাকিয়ে থেকে আমি পথের ধারে ছালা কিম্বা বস্তা পেঁচিয়ে শুয়ে থাকা কিশোর বালকের কথা ভাবি। ভাবছি-তো ভাবছিই।
ভাবনায় কখন যেন নিজেকে আমি ঐ টোকাই ছেলে টা ভেবে ফেলছি। মহানন্দে ঘুড়ি হাতে ছুটে চলছি দিক্বিদিক। কল্পনাতে আমি কোন শীতল হাওয়া খুঁজে পাই না। কিম্বা অভুক্ত হয়ে কড়া রোদে হেটে যেতেও দেখি না কল্পিত কোন এক আমাকে। কল্পনাতে দুঃখের পরশে ঘেরা মহা সুখী আমি বাস্তবে ঠিক উল্টো।
দুঃখ বিলাসী। ছোট্ট খুকির মতন অভিমানী আমি, খুব।
খ:
তারা দের সাথে ইদানীং বেশ সখ্যতা গড়তে ইচ্ছে হয়। খোলা মাঠ না পাওয়া গেলেও খোলা ছাঁদে আমি আর আকাশের তারা রা। অসংখ্য মিটি মিটি তারাদের সাথে কথা বলতে খুব আরাম।
মুখ ফুটে বলতে হয় না কিছু। মনে মনে চলে কথোপকথন। নিষ্প্রাণ তারা রা নির্বাক থাকলেও আমার সবাক এদিক ওদিক চাহনি থেকে এক বোঝা শব্দরা বাতাসে ছড়ায়। আমি আপাতত আমার ভাব বিনিময়দের নিজের মাঝেই গোপন রেখে ছাঁদের কোনায় যেয়ে নিচের দিকে তাকাই। রং বেরঙের বাতি জ্বালিয়ে গাড়ি গুলো ছুটে যাচ্ছে।
আকাশের তারাদের থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলাম কিন্তু তারা রা আমায় ছাড়ল কই? ঝাপ্সা দৃষ্টিরা অবশেষে মুক্তি দেয় আমায়। আমি আর তারাদের দেখছি না এখন। যদিও শুক তারা টা দেখতে ইচ্ছে হয়, খুব।
গ:
হিমেল হাওয়া এই শীতে কাঁপিয়ে গেলেও আমার তাড়া থাকে না। আমি কান টুপি পড়ি না।
তাই নিজেকে সেই ভাবে প্রস্তুত করেই ঢাকার শীতের সকালে হেটে যাই। হাওয়ার তোড়ে কুয়াশা বাম গাল স্পর্শ করে। বৃষ্টির মতন লাগে। গালে হাত বুলাই, খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো আগাছার মতন লাগছে, একে যত্ন করতে হবে। বৃক্ষের মতন বেড়ে ওঠা দাড়ি গুলো যখন নোনা জলের পরশে সতেজ হয়ে ওঠে তখন আমি চিন্তাদের কে ঘুরিয়ে নেই।
“ঢাকাতেই এত্ত শীত, না জানি উত্তরাঞ্চলে কি অবস্থা”। যখন বহুরূপী ভাবনার ভীরেও নির্দিষ্ট ভাবনা আমায় ঠিকই ছুঁয়ে যায়, তখন সোয়েটারের উপরের চেইন টা টেনে দেওয়াতেই আমি ব্যস্ত থাকি। আমি হেটে যাই। মুখের শ্লেষ হাসি টা অচেনা লাগে, খুব।
ইন্দ্রিয়ের মাঝে:
কাঁপন ওঠে হস্ত পদে,
চলছি আমি অনেক দূর।
বাহন টাতে রুদ্ধ পথে,
যাচ্ছি আমি ঐ সুদূর...
সমাপ্ত অপ্রাপ্যতায়।
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়, "সমুদ্রসখা"। সাহিত্যের জগতে আমার আধ্যাত্মিক শিক্ষক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।