Shams শহরের রাস্তায় হঠাৎ এক অদ্ভুত জিনিস পাওয়া গেল। লোকজন কেউ বুঝতে পারল না জিনিসটা আসলে কি? তারা জিনিসটা নিয়ে গেল তাদের এলাকার সংসদ সদস্যের কাছে। কারণ তিনি এ এলাকার হর্তাকর্তা, মা-বাপ।
-কি ব্যাপার, তোমরা কি চাও?
-স্যার, রাস্তার ওপর একটা অদ্ভুত জিনিস পড়ে থাকতে দেখলাম। কিন্তু জিনিসটা কি আমরা তা বুঝতে পারছি না।
তাই আপনার কাছে নিয়ে এলাম।
-কি জিনিষ দেখি?
-এই যে। বস্তুটি তার সামনে তুলে ধরল।
সংসদ সদস্য দীর্ঘক্ষণ জিনিসটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। তারপর একটা মুচকি হাসি দিলেন।
তারপর জিনিসটা আবার দেখলেন। এবার তিনি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। এবং তৃতীয়বারও তিনি জিনিসটা আবার দেখলেন তারপর তিনি হো হো করে হেসে উঠলেন। এলাকার লোকজন অবাক হয়ে গেল তার কর্মকাণ্ড দেখে। একজন সাহস করে বলেই ফেলল,
-স্যার, আপনি প্রথমবার দেখে মুচকি হাসলেন।
দ্বিতীয়বার দেখলেন: তৃতীয়বার হো হো করে হেসে উঠলেন। বিষয়টা তো আমরা কিছুই বুঝলাম না।
সংসদ সদস্য বললেন, প্রথমবার মুচকি হাসলাম এ সামান্য একটা বিষয় নিয়ে তোমরা আমার কাছে এসেছ এ জন্য। আর কাঁদলাম, আমি যখন থাকব না তখন তোমাদের কী হবে এটা ভেবে।
- আর তৃতীয়বার হাসলেন যে হো হো করে সেটা কিসের জন্য?
-কারণ জিনিসটা কি আমিও জানি না এটা ভেবে:
এ জন্য বলে, জীবনে দুটি জিনিস যা অর্জন করা কঠিন :
(১) কারও মাথার মধ্যে আপনার ধারণা ঢুকানো।
(২) আপনার নিজের পকেটের মধ্যে অন্য কারও টাকা ঢুকানো।
প্রথমটিতে যে সফল হয় তিনি একজন 'আদর্শ শিক্ষক'। দ্বিতীয়টিতে যে সফল হয় তিনি একজন 'নেতা'। উভয়টিতে যারা সফল হল তারা হচ্ছে 'স্ত্রী'। উভয়টিতে যারা ব্যর্থ হয় তারা হচ্ছে 'স্বামী'!
স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করছে।
ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর গালে ঠাস করে এক চড় মেরে বসল।
স্বামী : তুমি কি আমাকে চড়টা সিরিয়াসলি মেরেছ? নাকি ইয়ার্কি করে মেরেছ?
স্ত্রী : সিরিয়াসলিই মেরেছি।
স্বামী : তাহলে আজ বেঁচে গেলে! তুমি তো জানো, ইয়ার্কি আমি একদম পছন্দ করি না!
কৌতুকগুলো প্রায় হয়ে যায় একটা সেই একটা বিশেষ শ্রেণীর জন্য যে নেতার কাছে প্যাচে পড়া 'পাবলিক', ডাক্তারের কাছে টাকার মেশিন 'রোগী', দোকানদারের কাছে নাস্তানাবুদ 'ক্রেতা', স্ত্রীর কাছে অসহায় 'স্বামী', সন্তানের কাছে বোকা হওয়া 'বাবা'।
বাবা : এত বাজে রেজাল্ট? ছি! তুমি কি সব সময়-ই এমন কম মার্ক পাও?
ছেলে : না বাবা, সব সময় না, শুধু যখন পরীক্ষা থাকে তখন কম মার্ক পাই।
এবার এক ডাক্তারের গল্প বলি,
এক রোগী ডা. চান্দুর কাছে এলো তার পা নীল হয়ে গেছে তাই ডাক্তার দেখাবে।
।
চান্দু_ 'পায়ে বিষের সংক্রমণ হয়েছে, পা কেটে ফেলতে হবে!!'
কয়েকদিন পর রোগীর আরেক পা নীল হয়ে গেল!!
চান্দু_ 'এই পায়েও বিষের সংক্রমণ ঘটেছে, সুতরাং কাটতে হবে!!'
এরপর প্লাস্টিকের পা লাগানোর পরও দেখা গেল, তা নীল হয়ে গেছে!!
ডা. চান্দু_ ' হুমম, এখন আপনার রোগ বুঝতে পারলাম, আপনার জিন্সের প্যান্টে রঙ উঠে!!'
জন্মিলে মরিতে হবে; তার পরেও সেটা থেকে আমাদের কত ভয়। কত প্রচেষ্টা সেটা থেকে পালানোর। যমের নাম শুনলে কাঁপে আত্মা।
পাপ্পুর কাছে একবার যমদূত এলো, বলল, 'তোমার পরপারে যাওয়ার সময় হয়েছে।
'
পাপ্পু_ 'কিন্তু আমি এখন যেতে চাই না। '
যমদূত_ 'কিন্তু আমার লিস্টের সবার উপরে তোমার নাম লেখা আছে। '
পাপ্পু_ 'ঠিক আছে; তুমি একটু খেয়ে-দেয়ে আরাম কর; এরপর আমাকে নিয়ে যেও। '
তো যমদূত খেয়ে-দেয়ে আরামে একটা ঘুম দিল। পাপ্পু তখন যমদূতের লিস্ট থেকে উপরের নিজের নামটা কেটে দিয়ে সবার শেষে লিখে দিল।
যমদূত যখন ঘুম থেকে উঠল; বলল,_'তোমার ব্যাবহারে আমি খুশি হয়েছি; এখন আমি লিস্টের নিচ থেকে শুরু করব। '
অনেক ভয়ঙ্কর কথা বলা হল এবার একটা সাজার ঘটনা বলি;
একবার থানা পর্যায়ের এক সরকারি অফিসে আগুন লাগল। 'এমতাবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে পদক্ষেপ গ্রহণ সমীচীন বিবেচিত না হওয়ায় করণীয় সম্পর্কে অধস্তন দিকনির্দেশনা চাহিল'। ছয় মাস পরে পিটিশনের জবাব আসিল যে_ 'আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক'!
এ ঘটনাটাও দুর্ঘটনা! তাহলে একটা নিরীহ টাইপের দুর্ধর্ষ গল্প বলি;
একবার কি হল ভুল করে আমেরিকান স্পাইকে পাঠানো হল বাংলাদেশে। আসাইনমেন্টের সঙ্গে পরিস্থিতির কোন মিল না থাকায় পদে পদে সে হোঁচট খেতে থাকল শেষে উপায়ান্তর না দেখে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিল।
গেল সে গোয়েন্দা অফিসের এক নম্বর কক্ষে। বলল :
- আমি এসেছি অকপটে নিজের দোষ স্বীকার করতে!
- অকপট স্বীকারোক্তি ১৩৮ নম্বর ঘরে।
১৩৮নং কক্ষে গিয়ে বলল :
-আমাকে গোয়েন্দা হিসেবে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে।
- গোয়েন্দা বিষয়ে কথা থাকলে যান ২২৭ নম্বর ঘরে।
২২৭নং কক্ষে গিয়ে বলল :
- আমাকে এ দেশে পাঠানো হয়েছিল স্পাই হিসেবে।
- কিসে চড়ে এসেছিলেন?
- জাহাজে।
- জলভাগ ডিল করে ৩৬৮ নম্বর ঘর।
৩৬৮নং কক্ষে গিয়ে বলল :
- আমাকে এ দেশে পাঠানো হয়েছিল জাহাজে করে।
- সাধারণ জাহাজ নাকি ডুবোজাহাজ?
- ডুবোজাহাজ।
- ডুবোজাহাজ বিষয়ক কথাবার্তা ৭৯৪নং ঘরে।
৭৯৪নং কক্ষে গিয়ে বলল :
- আমাকে ডুবোজাহাজে করে পাঠানো হয়েছিল এ দেশে।
- সরাসরি বলুন, আপনাকে কোন দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নাকি দেয়া হয়নি এখনও?
- হ্যাঁ আমাকে একটি বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
-তাহলে আর খামোখা জ্বালাতন করছেন কেন সবাইকে? দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পালন করুন।
অনেক হয়েছে আবোল তাবোল বকা; এবার বলি, আপনার সম্পর্কে ১০টি চরম সত্য ঘটনা, যা আমি জানি :
১) আপনি এখন এটি পড়া শুরু করেছেন। ২) আপনি মোটামুটিভাবে ধরে ফেলেছেন যে এটা একটা ভুয়া জিনিস।
৪) তবে একটা জিনিস ধরতে পারেননি এবং সেটা হল তিন নম্বরটি বাদ পড়েছে। ৫) আপনি এইমাত্র তা পরীক্ষা করলেন এবং দেখলেন যে ঘটনাটি সত্য। ৬) আপনি হাসছেন। ৭) তারপরও একটি ফালতু লেখা জেনেও আপনি এ লেখাটি পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। ৯) কিন্তু আপনি আবারও খেয়াল করেননি; আমি আট নম্বর বাদ দিয়েছি।
১০) আপনি এটা চেক করলেন এবং চিন্তা করছেন আবারও কিভাবে ভুলটা করলেন!!! ১১) জিনিসটা আপনাকে একটু হলেও আনন্দ দিয়েছে। ১২) আপনি হয়তো খেয়াল করেননি যে আসলে এখানে ১০টি চরম সত্য বলা হয়েছে, ১২টি নয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।