ফেব্রুয়ারী, মার্চ, এপ্রিল আর ডিসেম্বর মাসের ৪ দিন লাল-সবুজ আর হলুদের বাহারী সাজে ছেয়ে যায় দেশ। মনে হয় আমাদের মত দেশপ্রেমিক জাতি দুনিয়াতে আর একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যখন আমাদের পাশ্ববর্তী দেশের চ্যানেলে জাতীয় পতাকাকে পদদলিত করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়, তখন এর প্রতিবাদ জানানোর মত দেশপ্রেমিক লোক খুঁজে পাওয়া যায় না।
সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই যৌন সুড়সুড়ি মার্কা আহবান নিয়ে হিন্দি এসে আমাদের ঘর ও মনে দখলদারিত্ব কায়েম করেছে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালগুলো মূলত চারিত্রিক অধ:পতন আর পণ্যের বিজ্ঞাপন ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমাদের সন্তানরা মজে যাচ্ছে ক্লোজআপ ওয়ানে, লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায়, প্রথম আলো-মেরিল তারকা জরিপ কিংবা ডিজুস উদ্দাম উচ্ছৃঙ্খল উল্লাসে। এ যুবসমাজ মঞ্চে ওঠে গান গায় 'সূর্যদয়ে তুমি.. সূর্যাস্তে তুমি' বা 'আমি বাংলায় গান গাই...' আর মোবাইল ফোন বা MP3, MP4 এ বেজে ওঠে আশিক বানায়া... বা ধুম্মা চলে...।
চে-গুয়েবারার ছবি কিংবা দু'তিনটা পদ্য সংবলিত টি-শার্টেই যৌবনের প্রানশক্তি নয়। জাতীয় কবি এই ঘুণে ধরা যৌবনের জয়গান গাননি। গাই গরু শিং ভাঙলেই যেমন বাছুর হতে পারে না, এ সব উগ্র সাজে তথাকথিত যোদ্ধা সেজেও যোদ্ধা হওয়া যায় না।
তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার এসব 'বাই প্রোডাক্টে' ইদানিং ছেয়ে গেছে আমাদের অলি-গলি, হ্রাস পাচ্ছে যুব সমাজের জাতীয় চেতনা শক্তি।
আমাদের প্রতিটি কাজ হোক দেশের জন্য, ইসলামের জন্য, মানবতার মুক্তির জন্য । আমীন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।