নিঝুম রাতে, একটি টিনের ঘরে একা, বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে , বৃষ্টির শব্দ আমাকে জাগিয়ে রাখে অনেকক্ষন ছোট বেলায় স্বাধীনতার সুখ এই কবিতাটি পরেছিলাম । যখন বাবুই পাখিকে ডেকে চড়ুই বলেছিল কুড়েঘরে থেকে সে শিল্পের বড়াই করে। তখন বাবুই পাখির উত্তর ছিল কুড়েঘর তবুও তো সেটা নিজের । যেখানে স্বাধীনতার সুখ পাওয়া যায়।
সেই স্বাধীনতার মানে একটু বড় হয়ে বুঝেছি।
যেখানে নিজের ইচ্চে মত চেচানো যায়। চাইলে আমি মনের সুখে হেড়ে গলায় গান গাইতে পারি । কেউ আমার গলা টিপে ধরার জন্য হাত বাড়িয়ে আসে না। চাইলে আমি আমার বাড়ীর উঠানে বুনো ফুল তুলে লাগাতে পারি । কেউ সেটা উপরে ফেলে দিতে পারে না।
আমাদের কে সামান্য এই স্বাধীনতার সুখটুকু এনে দিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা কি কষ্টটাই না করেছিলেণ। তারা আমাদেরকে একটু শান্তিতে ঘুমাতে দেবার জন্য রাতের পর রাত জেগে ছিলেন। আমাদের মুক্ত স্বাধীন চিন্তা করতে দেবার জন্য নিজের জীবনের ঝুকি নিয়েছিল। আমাদের একখন্ড মুক্ত আকাশ দেবার জন্য বদ্ধ ঘরে কাটিয়ে দিয়েছেন তাদের জীবনের অনেকখানি সময়।
এখন মাঝে মাঝে চিন্তা করি কি হত যদি আমরা ৭১ হেরে যেতাম ।
যুদ্ধাপরাধী হিসাবে আমাদের পূর্বপুরুষের বিচার করত গো.আজম, নিজামী, মুজাহীদির মত কাপুরুষেরা । পাকিস্থানীরা আমাদের বলত ব্লাডি বাঙ্গালী ।
তাহলে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসে কেন গো.আজম, নিজামী, মুজাহীদির বিচার করতে পারছি না । কেন মাথা উচু করে সারা বিশ্বের কাছে বলতে পারছি না "আমি একজন বাঙ্গালী এবং এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়"।
উৎসর্গ : মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জীবিত গেরিলার উদ্দেশ্য ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।