একজন সরবে , একজন নীরবে । দুইজনই জাতীয় দুই নেতার সন্তান । দুইজনই বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলেন । দুইজনই বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক দের তুলনায় স্বচ্ছ । দুইজন ই এই সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুইটা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী , প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ।
সোহেল তাজ অনেক ডাক ঢোল পিটিয়ে বিদায় নিয়ে গেছেন সরকার , আওয়ামীলীগ এমনকি কি দেশ থেকে ও । আর আসবেন কিনা সন্দেহ ।
আর সৈয়দ আশরাফ ? অনেকটা নীরবেই চলে গেলেন । চলে গেলেন কিন্তু আসবেন কিনা তা সোহেল তাজের মত পরিস্কার না । তাজ তেজি মানুষ , যা বলার বলে গেছেন ।
কিন্তু আশরাফ অনেকটাই নিরবে , নিবৃতে চলাফেরা করেন । মাথা অনেক ঠান্ডা । যার কারণে সরকারী দল গত চার বছরে অনেক অপকর্ম করেও পার পেয়ে গেছে , সৈয়দ আশরাফের চিন্তা চেতনা বাস্তবায়ন করে । সৈয়দ আশরাফ কি জন্যে এত দূরে ? কি চেয়েছিলেন তিনি ? কি কারণে তিনি আওয়ামীলীগ এর এত করুন পরাজয়ের পর ও এক মুহর্তের জন্যে জন সন্মুখে আসলেন না ? কি কারণে তিনি গাজীপুর নির্বাচনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজেও অধরা ?
তিনি চেয়ে ছিলেন , সব দলের ঐক্যমত প্রধানত , প্রধান বিরোধী দলে সাথে সমঝোতা । তিনি প্রায় ই বলতেন আলোচনা চলছে তলে তলে ।
এমন কি তিনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টার সাথে মিটিং এর সময় ও স্থান ঠিক করেছিলেন । কিন্তু পারলেন না ।
তিনি চেয়ে ছিলেন , চার সিটি নির্বাচন এই মূহুর্তে হবে না । হলে দলের ক্ষতি হবে । কিন্তু তিনি হেরে গেলেন ,যদু মধু দের কাছে ।
এভাবেই হারিয়ে যায় তাজ , আশরাফ সহ আর ও অনেকে । আর আমরা পিছিয়ে যাই অনেক বছর ।
সজ্জন ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ছাড়া টেকসই উন্নয়ন আমাদের দেশে গতি পাবে না । দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ভালো কিছু লোকের হাতে তুলে দিতে হবে এই দেশের রাজনীতি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।