ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র একটি কোচিং সেন্টারের লেকচারশিট ও সাজেশন থেকে ১শ’র মধ্যে ৮৬ প্রশ্ন কমন পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ক মামলার শুনানিতে বুধবার দুপুরে আদালতে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবেও এ বিষয়টিকে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বুধবার পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আদেশ দিয়েছে।
এদিকে এক কোচিং সেন্টারের সাজেশন থেকে এতো বেশি প্রশ্ন কমন পড়ার বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে শুরু হওয়া জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাবি ভিসি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৩০ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে সাইফুরস কোচিং সেন্টার একটি বিজ্ঞাপন দেয়। বিজ্ঞাপনে বলা হয়, গত পরশু (২৮ অক্টোবর) ঢাবির ‘সি’ (গ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন কমন এসেছে সাইফুরস’র বুলেট লেকচার শিট, সাজেশন ও বই থেকে। প্রমাণ পেতে অয়ন স্যার: ০১৭১৩৪৩২০০৫।
বিজ্ঞাপনটিতে আরো বলা হয়, বাংলায় ২৫ প্রশ্ন থেকে ২৩টি, ইংরেজিতে ২৫ প্রশ্ন থেকে ২২টি, একাউন্টিংয়ে ২৫টি প্রশ্ন থেকে ১৮টি, ম্যানেজমেন্টে ২৫টি প্রশ্ন থেকে ২৩টি সাইফুরস কোচিং সেন্টারের লেকচার শিট ও বই থেকে সরাসরি কমন পড়েছে।
অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ প্রশ্নের ৮৬ই এসেছে সরাসরি সাইফুরস কোচিং সেন্টারের লেকচার শিট ও বই থেকে।
বিজ্ঞাপনে দেওয়া নাম্বারে অয়ন ‘স্যারে’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই এমন কমন পড়ে। এটা গতানুগতিক। ’
‘প্রতি বছরই কি এমন সংখ্যক প্রশ্ন কমন পড়ে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই কম-বেশি কমন পড়ে। তবে এবার একটু বেশি।
’
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণত বিভিন্ন দেশের ইংরেজি বই থেকে প্রশ্ন করেন। আমরাও এসব প্রশ্ন আমাদের লেকচার শিটে প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাধারণত জিআরই, জিএমটি ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন করেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসব বই থেকে প্রশ্ন করেন, এটা আপনারা কিভাবে জানেন’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা জানা কোনো ব্যাপার না। এটা আমরা জেনে যাই।
বিভিন্ন বছরের প্রশ্নপত্র যাচাই করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ’
৮৬ শতাংশ প্রশ্ন কমন পড়া প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাইফুরস’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাইফুর রহমান খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করেন। তাদের সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে গেছে। সে কারণেই তারা সাইফুরস থেকে প্রশ্ন কপি পেস্ট করছেন। ’
অধিকসংখ্যক প্রশ্ন সাইফুরস’র সাজেশস ও লেকাচার শিট থেকে কমন পড়াকে সাইফুরস’র ‘কৃতিত্ব’ বলে দাবি করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বুধবার বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো- একটি কোচিং সেন্টারের সাজেশন থেকে অনেক প্রশ্ন কমন পড়েছে। এই প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আদালতে যে সকল বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে এ বিষয়টিও ছিল অন্যতম। ’
তিনি আরো বলেন, ‘কোচিং সেন্টারের সাজেশন থেকে প্রশ্ন কমন পড়ার বিষয়টি আজ (বুধবার) বিকেলের জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে আলোচনা হবে। ’
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।