বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ আমরা Mega কিংবা Megastructure শব্দের সঙ্গে পরিচিত। এই Mega শব্দটি থেকেই বাংলাদেশের মেঘনা নদীর নামটির উদ্ভব হয়েছিল বলে ঐতিহাসিকরা অনুমান করেন । খ্রিষ্ঠীয় ২য় শতকের কথা।
ক্লাউডিয়াস টলেমি (৯০-১৬৮ খ্রিস্টাব্দ) নামে একজন ভূগোলবিদ মিশরে বাস করতেন। টলেমি অবশ্য জাতে রোমান ছিলেন। যদিও লিখতেন গ্রিক ভাষায়। সে যাই হোক। টলেমি ‘জিওগ্রাফিয়া’ নামে একখানি বিখ্যাত বই লিখেছিলেন।
সে বইতে ইউরোপ এবং এশিয়ার নানা প্রান্তের মানচিত্র সংযুক্ত করেছিলেন: যাতে ভারতীয় উপমহাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও অর্ন্তভূক্ত ছিল। টলেমি গঙ্গার অন্যতম মুখের নাম করেছিলেন Mega । Mega শব্দটি থেকেই মেঘনা শব্দের উদ্ভব। ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় এরকমই অনুমান করেন। Mega অর্থ আমরা জানি-বৃহৎ কিংবা মহৎ।
(Mega=Megna=Great)
আমার পূর্বপুরুষের শিকড়টি নিহিত রয়েছে ওই বৃহৎ ও মহৎ মেঘনা নদীর পাড়েই। ছেলেবেলা থেকে অসংখ্যবার নদীটিরে দেখেছি ; দেখে অবাক হয়ে গেছি। চাঁদপুর- এর কাছে মেঘনার অপার বিস্তার আমার মনে গভীর বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে। শেষবার মেঘনার কূলে দাঁড়িয়েছি ১৯৯৮ সালের মে মাসে। তখনও মেঘনার বিপুল জলসম্ভার ভয়ার্ত এবং মুগ্ধ চোখে দেখলেও কী ভাবে নদীর নাম মেঘনা হল-সে ব্যাপারে কখনও ভাবিনি।
ভেবেছি যে ‘মেঘনা’ নামটি চিরকালই ছিল। যেমন, বাঙালি মেয়েদের মধ্যে ‘মেঘনা’ নামটিও চিরকালই আছে ।
ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায়-এর বাঙালির ইতিহাস: আদিপর্ব বইতে মেঘনা নদীর আরও দুটি নাম পাই । মেঘনাদ এবং মেঘনন্দ। শব্দ দুটি সংস্কৃত ঘেঁষা হলেও মূলে ওই Mega শব্দটিই রয়েছে বলে মনে হয়।
খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকে ক্লাউডিয়াস টলেমি মেঘনার নাম Mega দেওয়ার আগে ওই নদীর দু'পাড়ের মানুষেরা অথই বিশাল মেঘনাকে কি নামে ডাকত? এ বিষয়ে কৌতূহল হয় বৈ কী ...
তথ্যসূত্র
নীহাররঞ্জন রায়; বাঙালির ইতিহাস: আদিপর্ব।
আবদুল মমিন চৌধুরী ; প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।