আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ফরিদ ভাই - ফরিদ bond 007 + mission impossible to be possible কিন্চিত ১৮+ { অধ্যয় =০৫ }

বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... অধ্যয় ০৪ এর লিংক- Click This Link খাবারটা কোন রকম ভাবে খেয়েদেয়ে শেষ করলাম চুপচাপ ভাবেই, কিছুক্ষন আগে ওয়েটার এসে বিল দিয়ে গেল, স্বভাবত ফরিদ ভাই বিলটা দিলেন। হোটেল থেকে বের হয়ে পিকাপ এ গিয়ে আমরা বসলাম আমাদের ক্যাম্পে যাবার জন্য। এ পুরা সময়টা আনুমানিক ৭-৮ মিনিট হবে, গাড়ি স্টার্ট দিল ড্রাইভার। এ ৭-৮ মিনিট পুরাটাই মোবাইলে ব্যাস্ত ছিলেন ফরিদ ভাই। সেজন্য আমিও কিছুটা সময় পেলাম চুপচাপ থাকার জন্য।

আমি তাকিয়ে আছি জানালা দিয়ে আর ফরিদ ভাই কথা বলছেন মোবাইলে, বোঝা যাচ্ছে না কি বলছেন তবে ভালবাসার মানুষের সাথে যেভাবে মানুষ নিচু স্বরে কথা বলে সেভাবেই তিনি নিচু স্বরে কথা বলছেন। গাড়িও অনেকটা এগিয়ে এসে হাইওয়েতে উঠেছে। আরবদের হাইওয়ের একটা জিনিস খুবি ভাল লাগে। ৪ ট্রাক হয় বেশির ভাগ তাই জ্যাম নেই সাথে দর্দান্ত স্প্রিডে গাড়ির চলাচল। চারি পাশে বেশিরভাগ সময় মরুভুমি।

রাত অনেক হবার কারনে আবহাওয়া ঠান্ডা অনুভব হচ্ছিল, আমি ড্রাইভার কে বললাম ভাই এসি টা বন্ধ করুন । ড্রাইভার এসি বন্ধ করার কারনে আমি জানালা খুলে দিলাম, ১১০ থেকে ১৪০ কিলোতে গাড়ি চলার কারনে বাতাসে আচমকা ধাক্কায় ফরিদ ভাই আমার দিকা তাকিয়ে জানালা বন্ধ করতে বল্লেন। আমি জানালা আবার বন্ধ করলাম। ফরিদ ভাই এবার আবার কথা বলা শুরু করলেন । শুনলাম উনি দেশে যাবেন আগামি ৪ এপ্রিল ২০১১ তে।

গিয়ে মোবাইলটা গিফট করবেন ভাবি কে। এদিকে ক্যাম্পে আমরা পৌছালাম। ড্রাইভ ওয়ে থেকে ফিরে আমি একাই রিক্রেশনে চলে এলাম আর উনি সিধা রুমে। একা জনিস বুজতে পারিনা। মানুষের জীবনে এমন কেন হয়।

এই যে ভাই আমদের মাঝে আছেন কিন্তু কি ? এসবের মানে কি? সৃষ্টি কর্তার খেলা বুজে উঠা কস্টের। আমাদের মত সাধারন মানুষের ক্ষেত্রটা এতটা ছোট যে আমরা এসব ভাবার সময় পাইনা। মাঝে মাঝে ভাবি কি এবং কেন এমনসব কাহিনী জীবনে ফিরে আসে। বেচারা ফরিদভাই, কি কষ্টেইনা জীবনটাকে পারকরছেন। ভালবেসে বিয়ে করলেন, যেই মানুষটাকে ভালবাসলেন সে মানুষটা ভালবাসার কতটুকু মর্যাদা রাখতে পারল? আমার তো মনে হয় এমনটা আমার সাথে হলে আমি কি বেচে থাকতে পারতাম? মনে হয় না।

কিন্তু ফরিদ ভাই কিন্তু বেচে আছেন। জীবন বড়ই আজব। যাক সেসব কথা, সময় গরিয়ে চলতে লাগল। ধীরে ধীরে চলে এল ৪ এপ্রিল। ফরিদভাই বাংলাদেশে চলে গেলেন।

আমিও কাজে লাগলাম। সব কিছু মোটামোটি ভাবে আমার জন্য চাপা পরে গেল। ২০-২৫ দিনের ছুটিতে গেছেন দোয়া করি সময়টা ভালভাবে কাটুক তার। ১০-১১ তারিখের দিকে আমাকে ফোন করলেন। বড় ভাই এর মত করে জিগাসা করলেন কেমন আছ রোহান যদিও প্রশ্নটা আমারি করা উচিৎ ছিল।

কিন্তু তার আগেই তিনি করে ফেললেন। জানতে পারলাম তার এই ১ সপ্তাহের ছুটির সময়কার কাহিনি। মোবাইল ভাবিকে গিফট দিয়েছেন। ভাবি ওটা ইউজ করছেন। আমাকে বললেন যেন আমি আজরাতে ওটার উপর বিদেশ থেকে পরীক্ষা চালাই যেন বুজতে আমাদের প্লানটা ঠিকমত কাজ করছে বা ভবিষ্যতে করবে।

আমি সেদিনই রাত ১২ টায় ফরিদভাই কে ফোন দিলাম । কিন্তু ফরিদ ভাই ফোন ধরলেন না। কিছু পর ফোন ব্যাক করে আমাকে কম্পুটারে বসতে বল্লেন। আমিও বসলাম। সব কিছু ঠিকঠাক করে দেখলাম কাজ হবে।

এবার দেখতে হবে ভাবি কতটা যেতে পারেন। এদিকে ফরিদ ভাই আমাকে জিগাসা করেছিলেন কম্পুটারের ব্যাপারে কি কোন স্পাই সফট ব্যাব হার করা যায়কিনা। আমি বললাম হুম করা যায়, অনেক স্পাই সফট আছে যেগুলো দারা কম্পুটার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন স হ কি স্ট্রোক মেইল হিসেবে পাওয়া যায়। কথা গুলো বলার পর ফরিদ ভাইকে চিন্তিত মনে হল। আবার তিনি জিগাসা করলেন যে একটা হার্ডড্রাইভে কি ভাবে শুধুমাত্র মুভি ফাল সার্চ করা যায়।

আমি বললাম ভাই আপনি সার্চ এ সব ড্রাইভ সিলেক্ট করে মুভি ফাইল ফরমেট গুলো "*.*" লিখে সার্চ দিলে ড্রাইভের সব ভিডিও গুলো পাবেন। এবারো ফরিদ ভাই কে বেস চিন্তিত মনে হল। আমাকে আবার জিগেস করলেন কি কি ফরমেটে ভিডিও ফাইল থাকতে পারে তার একটা লিস্ট দিতে। আমিও তা জিটক এ লিখে দিলাম। *.*avi *.*3gp *.*mpg *.*mp4 *.*wmv *.*dat এগুলো লিখে সার্চ দেন দেখবেন সব ভিডিও ফাইল পেয়ে যাবেন।

উনি সার্চ দিলেন, অনেক ফাইল পেলেন এবার দেখার পালা। কিন্তু আমি বুজতে পারছিলাম না যে উনি এসব দিয়ে কি করবেন। নিশ্চই উনি কিছু বা কোন ক্লু পেয়েছেন তাই ব্যাস্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু ভেতরে আরও বড়কিছু অপেক্ষ্যা করছিল বোধহয় আমার জন্য জানতে পারলাম উনি একটা হার্ডড্রাইভ পেয়েছেন যা উনি ভাবিসাহেবা কে দেননি। আর সেই হার্ডড্রাইভটা ১ টিবির।

এত বড় হার্ডড্রাইভ দিয়ে ভাবি কি করবেন? সেটাই প্রশ্ন বরং এটা তিনি পেলেন কি করে বা কে দিল অথবা কিই বা আছে এতে সেটাই বড় কথা ছিল সেসময় ফরিদ ভাইয়ের কাছ বড়। কারন ড্রাইভটাতে একটি পার্টিশন আছে কিন্তু ইউজ হয়েছ প্রায় টোটাল ৯৩০ জিবির মধ্যে ৬৮৪ জিবি। বাংলাদেশের যা ইন্টারনেট লাইন তাতে ৮ মাসে ভাবি এমন কি জিনিস ঢোকলো যে প্রায় সাড়ে৬০০ জিবি খেয়ে নিল তার উপর এই ড্রাইভটা এমন জায়গায় লুকানো ছিল যেখান থেকে বের করা অনেক কস্ট সাধ্য। ভাবির একটা টাকার সিন্ধুক আছে আলমারিতে সেটার নিচে এক্সট্রা ড্রয়ার মেনুয়্যালি বানানো যা বাইরে থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় বোঝা সম্ভব না। সেটার মধ্যে ফরিদ ভাই পেয়েছেন।

তাই এত কথা। আর ৬৮৪ জিবির জন্য যতটা ফাইল থাকার কথা তার তুলনায় ফাইল অনেক কম। কারন ড্রাইভটির বেশির ভাগই ফটো। আর একয়টা ফটোতে তো এত জায়গা খাবার কথা না আর এটাই ফরিদ ভাইকে জাগিয়ে তুলেছে। দুদিন পর জানাগেল ভাবির আরেক গোপন অধ্যয় যা আমাকে অন্তত ১০ সেকেন্ডের জন্য কথা ভুলিয়ে দিয়ে ছিল।

চলবে - ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.