নিজের করি নিজে খাই, বলার তেমন কিছু নাই । তার পর ও বলতে চাই যুদ্ধাপারাধীদের বিচার চাই । রাজাকারের ফাঁসি চাই । আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগীয় শাখা আয়োজিত ‘দেশ ও জাতির স্বার্থে গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির নেতৃত্বে প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, " আমাদের ভুল আছে, ত্রুটি আছে, কেউ আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এ ভুলের কারণে যদি কেউ আমাদের ভুল বুঝে থাকেন, তাহলে অনুরোধ করব যে এ ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেন।
"
আমি অত্যন্ত দু:খিত যে আমি কোন রাজনীতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই। তবে প্রতি বার নির্বাচন আসলে কোন না কোন প্রর্থিকে ভোট দেই । ভোটের সময় এলেই আমাদের মস্ত বড় রাজনীতিক নেতারা এসেও আমাদের দরজায় কড়া নাড়েন ভিক্ষারির মত চান ভোট ভিক্ষা। নির্বাচনের দিন আমরা উৎফুল্ল চিত্তে পাঁচ বৎসরের জন্য দিয়ে আসি আমাদের ভোট ভিক্ষা এর পরই তারা হয়ে যান রাজা মহারাজা। আর নির্বাচন শেষ হওয়ার রাতেই ফুটে উঠে আপনাদের আসল রুপ।
প্রতি বার ভিক্ষার মত ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর ও আমরা দিয়েছিলাম ভোট ভিক্ষা আর সেই সময় আওয়ামীলিগের ঝোলায় নাকি পড়েছিল দুই তৃতীয়াংশ ভিক্ষা। আর সেই ভিক্ষায় আজ তারা রাজা-মহারাজা। আপনাদের রাজা-মহারাজার দিন প্রায় ই শেষ হয়ে আসছে। আর কিছু দিন পরেই আবার ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে ভোট ভিক্ষার জন্য আমাদের দরজার কড়া নাড়াতে হবে । তাই ভিক্ষার জন্য আমাদের দরজার কড়া নাড়ানোর আগে আজকের রাজা- মহারাজাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই:
**আপনারা ক্ষমতা গ্রহনের মাত্র কিছু দিনের মধ্যেই "বিডিয়ার বিদ্রোহ" এর নাম করে কেন আমাদের সেনাবাহিনীর ৭৪ জন চৌকষ সেনা কর্মকর্তাকে প্রান দিতে হলো ?
**১৯৯৬ এর ধারাবাহিয়কতায় এবার আপনারা ক্ষমতায় আসার পরই আমাদের শেয়ার বাজারের ৩৩ লক্ষ বিনিয়োগকারীকে পথের ভিক্ষারি বানিয়ে এক লক্ষ কোটি টাকা কোথায় উধাও হয়ে গেল ?
*গত ভোট ভিক্ষা চাওয়ার সময় আজকের প্রধান মন্ত্রী চিৎকার করে বলেছেন আপনাদের ভোট ভিক্ষায় আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তা হলে আমরা চালের বাজার মূল্য রাখবো দশ টাকায়।
তবে আজ কেন আমাদের নিরীহ গরীব লোককেও সাধারন মোটা চাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে ?
**ভোজ্য তেল, আটা, ডাল, লবন, চিনি, মাছ, মাংস, শব্জি সহ সমগ্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কেন আজ আকাশ ছোঁয়া দাম ?
**আপানদের দলীয় কর্তাব্যক্তিদের হত্যা, ধর্ষন, ছিনতাই রাহাজানি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ বিভিন্ন আত্যাচারে আজ কেন দেশ বাসী আতংকিত ?
**আপনাদের দলীয় কর্তাব্যাক্তিদের লোভ-লালসা আর দূর্নীতির কারনে দেশের সমগ্র উন্নয়ন স্হবির হয়ে পড়েছে কেন ( যার বড় প্রমান দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিম অন্চলের মানুষের প্রাণের দাবী পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন না হওয়া ) ?
**কোন শক্তির চোখরাংগানীতে সাবেক রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও তার পুত্র সৌমেন সেন গুপ্তকে দূর্নীতির দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হলো ?
**কোন উদ্দেশ্যে বারবার জ্বানানি তেল, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে ?
**পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বাড়ানোর পরে ও কেন আজ চারদিকে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য হা-হা কার ?
**বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বার বার আমদের দেশকে বিনিয়োগ বান্ধব বলাসত্যেও কেন আজ বিদেশী বিনিয়োগ সম্পুর্ণ রুপে বন্ধ ?
** বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত উপার্জনের অর্থ কিন্তু কেন আজ মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ ?
**প্রতিহিংসার রাজনীতির বহি:প্রকাশ হিসেবে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে জংনের করের বারোশত কোটি টাকা আপচয়ের আর্থ কি ?
**গুম ও গুপ্তহত্যার মাধমে বিরোধী রজনীতিক নেতা কর্মীদের হত্যার মূল উদ্দেশ্য কি ?
**আদালতকে আজ কেন নিলজ্জ ভাবে দলীয় করন করে জনগনকে কেন আজ ন্যায় বিচারের অধিকার থেকে বন্চিত করা হচ্ছে ?
**পুলিশ প্রসাশনে দলীয় করনের মাধ্যমে কেন আজ দেশের মানবাধিকার ও গনতন্ত্র হত্যা করা হচ্ছে ( যার উদাহরন সদ্য প্রকাশ হওয়া বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্হার প্রতিবেদন ) ?
**আজ দেশের সমগ্র সুসীল সমাজ তথা মুক্তিযুদ্ধা,সাংবাদিক,শিক্ষক,আইনজীবি,মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিক সহ দেশের বিশিষ্ট বর্গের বাকস্বাধীনতায় কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ?
**দেশে ক্রমানয়ে কেন আজ শিক্ষিত / আধা শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে ?
**কোন উদ্দেশ্যে বিরোধীদলীর নেত্রী বেগম জিয়া কে তার ৩২ বৎসরের বসবাসরত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে ?
তাই আপনাদের ই বলছি সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। আবারো সময় আসছে ভিক্ষার থলি হাতে নিয়ে ভোট ভিক্ষার জন্য আমাদের সাধারন জনগনের দরজার কড়া নাড়া দেওয়ার। সেদিন হয়তো আমরা আপনাদের (আজকের এই বহুরুপী রাজনীতি বিদদের) দরজা খুলে বলতে পারি " আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের কি মাফ করা যায়না ? " ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।