আমাদের একটা অভিন্ন নদী থাকা সত্ত্বেও
আমরা কাঠফাটা রোদে
এক আজলা জল তুলে মেটাতে পারিনি
আমাদের তৃষ্ণা ।
কারন নদীটা ছিল যৌথ ।
আমাদের তৃষ্ণার্ত মুহুর্তেও
আমরা ছিলাম জলের প্রাপ্য হিস্যা আদায়ের
কুটনৈতিক গোলটেবিলে ব্যাস্ত।
তুমি বলেছ
ততটুকো জলই তোমার চাই
যতটুকো গ্রাস করলে
আমার আর চুমুক দেবার কিছুই থাকেনা।
কারন,
নদীটার উতপত্তিস্থল ছিল
তোমার হৃদয় সরোবর।
আমার দাবি ছিল ততটুকো
জল যতটুকো পেলে এ জন্মে আর জলতেষ্টা পায়না কখনও।
কেননা,
তোমা হতে উতপন্ন নদীটা
যে পলি দিয়ে আগলে রেখেছিলাম
সে পলির ছিল অঘোর তৃষ্ণা।
হিসেবে দেখা গেল
তৃষ্ণা মেটাতে গেলে
এ নদীর আর সমুদ্রে পৌছা হয়ে উঠেনা।
তোমার দাবি শক্ত,
কেনান তুমি জন্মদাত্রী সে নদীর,
আমারও কম না,
কেননা আমি আগলে রাখি তারে আমার পলি দিয়ে।
এভাবেই ভেঙে যায়
আমাদের তৃষ্ণা নিবারনের মনোযুদ্ধময় কুটনীতি।
শেষমেষ নদীটার দিকে আমরা ছুটে আসি
প্রবল হিংস্রতায়।
অনেকটা চর দখলের ভঙিতে।
একটা রক্তারক্তি ঘটার আগেই চেয়ে দেখি
আমাদের নদটা
আমাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে
শুকিয়ে গেছে।
আমরা বড় উন্মাদ হয়ে উঠি সে দৃশ্য অবলোকনে।
কেননা তখন
আমাদের মগজে ও মননে ঘোরতর তৃষ্ণার ভার।
আমরা পরস্পরের জিবের কোণে একবিন্দু লালা দেখে
ঝাপিয়ে পড়ি পরস্পরের দিকে
একটু তৃষ্ণা নিবারিব বলে।
আমরা গহীন চুম্বনে ডুবে যেতে ধরি তৃষ্ণার অতলে।
ক্ষণকাল পরেই
তীব্র গতিতে ছুড়ে ফেলি দুজন দুজনকে।
কেননা,
ততক্ষণে
আমাদের উষ্ঠ গহীনেও
বাকি ছিলনা এতটুকো সিক্ততা।
কারন,
ততক্ষনে মরে গিয়েছিল
আমাদের ভালবাসার প্রাণপাখি।
তাইতো ঠোটের আদ্রতাও ভুলে গেছে
দিয়ে যেতে
একটুকো সিক্ততা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।