ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রথম পর্ব সংবিধান লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যা, অকার্যকর সংসদ ১/ ভবিষ্যতে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার, কারচুপি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মাধ্যমে ক্ষমতায় পুনর্বহাল হওয়ার উদ্দেশ্যে তত্তাবধায়ক সরকার সংস্কারের ন্যায়সঙ্গত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান; ২/ নির্বাচন কমিশনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার ও আজ্ঞাবাহী করা, নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহারের হীন উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব গ্রহণ না করা; ৩/ ভোটাধিকার হরণ : নির্বাচনে কারচুপি-ষড়যন্ত্র এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রকৃত ফলাফল পাল্টে দেওয়া; ৪/ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলকে কথা বলতে না দেওয়া, সংসদে মিথ্যা কথা বলা এবং সংসদ অকার্যকর করা এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ; ৫/ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ১২৪৪টি মুলতবি প্রস্তাব, সংক্ষিপ্ত আলোচনা প্রস্তাব ১৩৭টি, সাধারণ আলোচনা ৯১টি এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট ৯২১টি প্রশ্নসহ মোট ৯,৯৫৬টি নোটিশের সবকয়টি বাতিল করে বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং সংসদকে কার্যত একদলীয় সংসদে পরিণত করা, ৬/ জোট সরকারের নির্দেশে বিনা বিচারে মানুষ হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে অভিযোগ উত্থাপন এবং তাদের বিচার করা যাবে নাÑ এই মর্মে ‘যৌথ অভিযান দায়মুক্তি’ আইন পাশ করা, যা সংবিধানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থি। ৭/ সরাসরি নির্বাচনের বিধান না রেখে মহিলাদের প্রতিনিধিত আইন সংশোধন; রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারপতিদের চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি, দ্রুত বিচার আদালত আইন, বার কাউন্সিল অ্যাক্ট সংশোধন, সিভিল প্রসিডিউর এবং ক্রিমিনাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) আইন-২০০৩ প্রভৃতি গণবিরোধী আইন পাশ করে জাতীয় সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা; ৮/ বিরোধী দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা, ২১ আগস্টের গণহত্যা, সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকাণ্ড, সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড.আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা, তাদের আহত হওয়ার ঘটনার ওপরও সংসদে কোনো আলোচনা করতে না দেওয়ার মাধ্যমে অধিকার ক্ষুন্ন করা; ৯/ সরকার পক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্তেও কোরাম সংকট সৃষ্টি করে সংসদকে গুরুতহীন করা; ১০/ জাতীয় গুরুতপূর্ণ কোনো বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতে না দিয়ে এবং সংসদীয় কমিটিগুলোর নিয়মিত ফাংশনিং না করে জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করা; ১১/ হেবরনে ইসরাইলি হামলার ঘটনায় তৎকালীন বিএনপি সরকার সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণে যেমন বাধা দিয়েছিল এবারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্পিকার সংসদে মহানবীর ব্যাঙ্গচিত্র অঙ্কনের বিরুদ্ধে আলোচনা ও নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ বন্ধ করে দেয়। ১২/ জঙ্গি হামলা, হত্যা-সন্ত্রাস এবং কানসাটে ২০ জন কৃষক হত্যার বিষয়ে সংসদে আলোচনা করতে না দেওয়া; ১৩/ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ও ডিজেল সঙ্কটসহ জনজীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য প্রদত্ত বিরোধীদলের নোটিশ বাতিল; চলবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।