আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিচ্চি বেলা -১(জীবনের প্রথম গার্লফ্রেন্ড। আমার ছুপার যিরো প্রমাণিত হওয়া ; অতপর ছয় বছর পর ছ্যাক খাওয়া

ব্লগে আর আগের মতো মজা নাইরে মমিন! আমার পিচ্চি বেলার জটিল কিছু সময় কেটেছে খুলনায় । ২০০২ সালের দিকে আমরা নানু বাসায় ছিলাম প্রায় ৬ মাস । তখন আমার মা আর মামীর পেটে দুইটা ফুটফুটে বোন আসায় আমাকে বলতে গেলে শাসন কে্উ ছিলোনা ( ছিলে আমার নানু ছিলো কিন্তু তার ক্ষমতা ছিলো না আমাকে রুখবার তো সকাল ১১টায় আমি লাট সাহেব ঘুম থেকে উঠতাম । ব্রাশ করে বব দি বিল্ডার্স দেখতাম আর ডিম পোচ দিয়া রুটি খাইতাম এখনও মনে আছে ডিমের কুসুম থাকত গলা। কাটা চামচা দিয়া একটা poke মাইরা কুসুম টা দিয়ে রুটি খেতাম ( এখন ভাবলেও ঘেন্না লাগে আর বমি আসে ) যাই হোক ১১ টার সময় আমার নীচের তলার মেয়েটার ( ধরলাম তার নাম অপর .আসল নামে সাথে মিল রেখে) আব্বু বাইরে যেতো ।

আর আমরা খেলা শুরু করতাম । একদম নিচের তলায় থাকা কলেজে পড়া খালা মামাদের আড্ডায় যেতাম ( উল্লেখ্য ঐ সকল আ্ড্ডায় আমররা কিছুই বলতাম না । মানে বললেও কেউ নুন্যতম পাত্তা দিত না ) । আবার মাঝে মাঝে কফ সিরাপ এর খালি বোতল দড়ি দিয়ে বেধে লম্বা করে দৌড়াতাম । কাহিনীর শুরু: (ছুপার যিরো প্রমাণিত হওয়া) একদিন অপরের বাবা ওর বার্থডে তে ওকে একটা ফুটবল কিনে দিয়েছিল ( একটা মেয়েকে কার বাবা গিফট হিসেবে কেন ফুটবল দেয় এইটা এখনও বুঝতে পারি নাই ) তো বার্থডে হওয়ার কারণে অপর জীবনের মনে হয় ১ম বার ওর বাবা বাসায় থাকা সত্তেও খেলতে নামল ঐ দিন ছিল বর্ষার দিন ।

খেলা যখন প্রায় শেষ ( উল্লেখ্য ঔ বাসায় খেলা করার মত শুধু আমি আর অপর ছিলাম)তখন বৃষ্টি নামল। আমরা পোর্টিকা্য় দাড়িয়ে বলে লাথা লাথি করতেছিলাম । যেই আযান টা দিছে ঠিক তখনই অপর আমার একটা পাস মিস করল । বল সামনের রাস্তায় যেয়ে পড়ল । অপর আমাকে বললো বলটা আনতে কারণ আমিই বলটা মারছিলাম ।

আমি আনলাম না। আমার কথা ছিলো তোমার বল আমি আনবো কেনো( এই কাহিনী যদি এখন ঘটত ! আহা!!!!! । তো ও একটা দোড় দিলো আর আমি কালি দেখলাম ও একটা রাম উষ্টা খেলো কাদার মধ্যে । ব্যাস আমি এক দৌড়ে ~~~~~~~~~~ আরে না ওরে তুলতে যাই নি। আমি এক দৌড়ে আমার সিক্রেট জায়গায় চলে গেলাম ( প্রমাণিত হইলাম সুপার জিরো) ।

কিন্তু একটু ভয় ভয় লাগায় বের হয়ে দেখলাম যে সিড়ি ফোটা ফোটা রক্ত। আমি যত না অপর এর কথা ভেবে ভয় পাচ্চিলাম তার থেকেও ভুই পাচ্ছিলাম এই ভেবে যে ওর বাবা আমাকে কাচা খাবে না লবণ দিয়ে খাবে । একটু পর নীচের তালার নানুর বাসা্য থেকে অপরের কান্নার শব্দ পেলাম( চালু মেয়ে । নিজের বাসায় না যেয়ে অন্য বাসায় ট্রিটমেন্ট এর জন্য গেছে। এইজন্যই মেয়েটাকে ভালা পাইতাম ) যাই হোক আমি তীব্র অনুশোচনায় ভুগে ভুগে আরেকটা রুমে গিয়ে চুপ করে বসে আছি ।

এমন সময় আমার একটা খালা ঢুকলেন । আমার হাব ভাব দেখে বললেন 'অপর তোর জন্য ব্যাথা পাইছি?' আমি আমার ঘেটি টা খালি ডাইনে একবার আর বায়ে একবার নাড়াইছি অমনি আমার কানটা ধরে ড্রয়িংরুম এ নিয়া আসল। আমি দেখি অপরের বাবা আসছে। ব্যাস অমনি আমি আকাশ-পাতাল এক করে . খিইচা কাইন্দা দিলাম। আমি মাটিতে গড়াগড়া ডিয়া কাদতাছি ওমা! ।

প্রথমে অপরের বাবা তারপর সবাই হো হো হো করে হেসে দিল X#। এমনি অপরও ( পরে খালা বলছে উন মনে করছিলো আমার কান টেনে ধরায় মনে করছিল আমি ছিড়ে গেছিলো এইজন্য আমি কাদিয়া দিয়েছি) হইলাম আবার সুপার যিরো পরে আর বোধ হয় দুইবার অপরের সাথে দেখা হয়েছিল । এবং দুইবার ই সারাদিন মাংস চোর খেলছি তারপর আর দেখা হয় নি নানু রা ঐ বাসা ছেড়ে দিয়েছিল এই বছর খুলনায় আমার নানার কুলখানি তে ও আসছিল। আমি ওর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিছিলাম । ও কোনো রেসপন্স করে নাই [/sb ]কয়েকদিন আগে আমি ওকে ফেবুতে পর পর চার বার আ্যড করায় ও একটা গালিময়ী মেসেজ পাঠায় আর বলে যে ও আমাকে চিনে আর আমি যাতে আর আ্যাড না করি ।

পরে এরও একবার আ্যাড করছিলাম । পরে দেখি ও ব্লক করছে আরও মজার এই যে এই দুৎখের ব্যাপারটা নিয়া একটা দেবদাস মার্কা স্ট্যাস্টাস দিছিলাম । আর ঐ স্টাস্টাসে আমার হায়েষ্ট কমেন্ট আর লাইক পড়ে ব্লক মারার কারণ ছোটো বেলায় আমার নাম ছিল লাদেন । বড় হওয়ার পর আমার তীব্র প্রতিবাদ বাবা-মামা নামটে বদলায় আর অপর আমাকে লাদেন নামেই চিনতো শ্লার ওসামা বিন লাদেনরে কইসা মাইনচ শ্লা সবকিছু রোমান্টিক খালি ছিনেমাতেই হয় :# ব্লগার হপফূলফরেভার ভাইয়া একটা জটিল কবিতা দিছেন : নস্ট কস্ট ভালবাসা! ছোট্টবেলার কাছে আসা তাপ্পর? সুতরাং অতপর? B:-) B:-) কস্টবিলাস~ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।