আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামের মেয়ে শহরে বুয়া , গ্রাম শহরের কারবার , মূর্ধণ্য ষ তে - দন্ত্য ন - চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার।

গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা আর অশ্লীলতার বিপক্ষে অবস্থান। অর্ধ বয়সী শিক্ষিত কোন মহিলার গালে কলা মেখে যদি ঠাস করে একটা চড় কসিয়ে দেয়া যায় তো হুমড়ী খেয়ে লুটিয়ে পড়বেন, গাল খানি দেখতে কেমন হবে বলুন তো? আর তা যদি কোন জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে হয়, এমন নির্লজ্জ কামনা কেউ করবেন না। এটাই স্বাভাবিক। তাই না.............................. মুখ দিয়ে দুধ পান, আর মূত পান, মুখের করার কিছুই নেই কিন্তু ভিতরে বিবেক নামক এক খানি মুখ রয়েছে সে ও সব পছন্দ করে না ঠিকই, তার পরও করা হয়। ইদানিং ভাষার ব্যবহারে য ফলার ব্যবহার এত বেড়ে গিয়েছে যে বাংলা ভাষায় পেত্নী সওয়ার হয়েছে।

মানুষের নাম নিয়ে কটাক্ষ করা আর বিকৃত নামে ডাকা অজ্ঞ,অজ পাড়াগায়ের লোকদের মানায় , কিন্তু কোন শিক্ষিত ভদ্র পরিবারে এটি কল্পনাও করা যায় না, কিন্তু তাই হচ্ছে। ভাষা বিড়ম্বনার এই জগতে উচ্চারন বিভ্রাট এখন অন্যকে তুচ্ছ জ্ঞাণ করা নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করারই সামীল। মা বাবা কারো নাম রেখেছে (আবুল) , আপনি যদি তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে অথবা সমাজে খাটো করতে একটি য ফলা লাগিয়ে তার উপর চন্দ্রবিন্দু আর আ কার ঝুলিয়ে দেন হয়তো ভাষা বিজ্ঞানী হিসেবে আপনাকে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করতে নির্বাচন করা হবে কিন্তু আবুলকে(আবুইল্যা) রুপ দেয়ায় আবুলের হাতের স্পর্ধা আপনার গাল পর্যন্ত না গেলেও তার মনের হাত ঠিকই আপনার গাল স্পর্শ করবে। গ্রামের লোকদের দেখলে এক শ্রেণীর শহরবাসী আজগুবী কাউকে দেখার ভান করে, মনে হয় কোন দিন দেখেননি , কোন এক গ্রহের লোক মনে করে কেমন জানি মুখ ভেংচিয়ে কথা বলেন , যেমন ধরুন কুশলাদী জিজ্ঞেস করতে কেউ কাউকে বলল (এই কেমন আছ) বা কেমন আছিস.. কিন্তু আর্ট করে চন্দ্রবিন্দু আর য ফলার ব্যবহার মাত্রা বাড়ীয়ে যদি এমন করে বলা হয় যেমন: অ্যাঁই কে মন আছিচ। মনে হয় গালের ভিতর জলপাইর গোটা ঢুকিয়ে কিছু দিয়ে মুখ থেঁতলে রাখা হয়েছে।

তাই মুখ বাঁকা হয়ে গিয়েছে। ফ্যাশন করে কথা বলা এক শ্রেণীর মৃগী রোগী ভদ্রতার মূখোশ পরে ভাষা আর উচ্চারনের নতুন এক সঙ্গা আবিষ্কার করেছেন। যা কোন অভিধানে পাওয়া তো দুরের কথা আবিষ্কারকের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কাজের মেয়েকে বুয়া বলে অন্যের সামনে ডাকার হেতু কি , তার কি কোন নাম নেই ! নাকি নিজ সমাজ থেকে আলাদা কিছু ভাবার হীনমানসিকতার পরিচয় উপস্থাপনই মূল কারন। মানবতার নামে যারা ঢেই ঢেই করে নাচেন আর গলা ফাটিয়ে মহসভার আয়োজন করেন তাদের ব্যাক্তিগত জীবনে এমন অনেকে নীরব দর্শক , নিজ বাড়ীর কাজের মেয়ের উপর পরিবার পরিজন কি ব্যবহার করছে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে, বাইরে এলেই বিরাট বুদ্ধিজীবি ।

সমাজ গোল্লায় যাবে উনারা মানবতার গান গাইবেন আর অন্ধ দর্শক মূখে কলুপ আঁটবে , মিছিলে শামীল হয়ে বাহ বা পাবে , এটাই তো মানবতা! ভাষার জন্য জীবন দিয়ে উচ্চারন বিড়ম্বনার ছুরি দিয়ে যদি মহান ভাষাকে সার্জারী করা হয় ভাষা শহীদরা ঐ মানবতাবাদীদের সুযোগ পেলে কলা মেখে চড় থাপ্পর মারতে না পারলেও জাতীর বিবেকের কাছে মিলিয়ন ধনফুট আলকাতরার খনির সন্ধান দিবে। যারা নিজের বেলায় একরকম অন্যের বেলায় আরেক রকম এই ডাবল স্টার্ন্ডাড ভূমিকা ওয়ালারা সমাজ দ্রোহী, সমাজ এদের চেনে , দূর্ভাগ্য আমরা চিনি না..........................।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।