Persian Princess
২০০০ সালের ১৯শে অক্টোবর পাকিস্থানের বেলুচিস্থানের প্রশাসনের কাছে আলি আকবর নামের এক ব্যক্তি আটক হয় একটি ভিডিও টেপ সহ, ভিডিওতে দেখা যায় একটি মমির ছবি যা কালোবাজারে বিক্রির জন্য রেডি এবং দাম চাওয়া হয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার। আলি আকবারকে কঠোর ভাবে জিগ্গাসাবাদ করলে সে প্রশাসনের লোকদের নিয়ে যায় আফগান সীমান্তে রেকি নামক এক ব্যক্তির কাছে। রেকি জানায় ইরানের শরিফ শাহ বাকি নামের এক লোক কুয়েটার ভুমিকম্পের পর মমিটা পেয়ে তার কাছে রেখেছে বিক্রির জন্য। ২০০০ সালের ২৬শে অক্টবর ইসলামাবাদের কায়েদে আযম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরকেওলজি বিভাগ ঘোষণা করে মমিটি ৬০০ বিসির এক পার্সিয়ান প্রিন্সের।
মমিটি একটি গোল্ডেন কালারের কফিনে ছিল এবং কফিনের ভিতরের একটি পাথরে খোদায় করে পার্সিয়ান ভাষায় লেখা ছিল মৃতদেহটি Rhodugune নামের প্রিন্সের যে ছিল পারস্যের সম্রাট Xerxes I এর কন্যা।
মমিটি নিয়ে প্রচন্ড হইচই শুরু হয় কারণ পারস্যে কোন মমি কোনদিন পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে শুরু হয় মমিটির মালিকানা নিয়ে ইরান আর পাকিস্থানের কূটনৈতিক যুদ্ধ।
যাই হোক পাকিস্থানি প্রফেসর আহমেদ দানি ব্যপক গবেষণা করে ঘোষণা দেন মমির তুলনায় কফিনটি অনেক পুরানো,তার কিছুদিন পর ঘোষণা আসে মমির মৃতদেহটি ২১-২৫ বছরের এক তরুণীর যার মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৬ সালের দিকে। আর ২০০৫ সালের ৫ই অগাস্ট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় মৃতদেহটি যথাযত ভাবে সৎকার করা হবে কিন্তু ২০১১ সালের এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি কূটনৈতিক ঝামেলার কারনে।
Trunko
১৯২৪ সালের ২৫ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকার KwaZulu-Natal, এর বিচে মানুষ এক অদ্ভুত যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করে, দুইটি তিমি প্রাণপণে লড়ছে পোলার বিয়ারের মত এক অদ্ভুত জীবের বিপখখে।
লড়াইয়ের এক পর্যায়ে অদ্ভুত জীবটি লাফিয়ে এসে ডাঙায় পড়ে,সেখানেই মৃত্যু হয় প্রাণীটির। প্রাণীটি লম্বায় ছিল প্রায় ৪৭ ফিট আর চওড়া ছিল ১০ ফিট,আর এর অদ্ভুত লেজটি ছিল ১০ ফিট লম্বা। প্রাণীটির মাথার জায়গায় হাতির মত মাথা ছিল,কয়েকজন মানুষ প্রাণীটির ছবি তুলে রাখে,১৯২৪ সালের ২৭শে ডিসেম্বার লন্ডনের ডেইলি মেইল পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হ্য়,কিন্তু কোন গবেষক সেখানে যায়নি ১০ দিন প্রাণীটির মৃতদেহ বিচে পড়ে থাকলেও। কালের গর্ভে হারিয়ে যায় প্রাণীটি আর তার তোলা ছবি,কিন্তু ২০১০ সালের ডিসেম্বারে জার্মান cryptozoologist মারকাস হেম্লার প্রাণীটির ছবি গুলি অনেক অনুসন্ধানের পর খুঁজে পান। কিন্তু আজও জানা যায়নি প্রাণীটির আসল পরিচয়।
Kitchenuhmaykoosib Monster
২০১০ সালের ৮ই মে কানাডার northwestern Ontario এর Big Trout Lake এ হাঁটতে বেড়িয়ে ছিলেন দুই ভদ্রমহিলা,হটাৎ তাদের কুকুরটি বিকট স্বরে ডাকতে শুরু করলে তারা অবাক হয়ে এক অদ্ভুত প্রানি দেখতে পান কিছুদুরে,তারা হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে প্রাণীটির একটি ছবি তুলে ভয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর ঘটনাটি দ্রুত চলে যায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে, অনেক পত্রিকা এটি নিয়ে রিপোর্ট করে,শুরু হয় ব্যাপক অনুসন্ধান কিন্তু আর খোঁজ পাওয়া যায়নি প্রাণীটির।
Lyuba
২০০৭ সালের মে মাসে শিকারি Yuri Khudi রাশিয়ার Arctic Yamal Peninsula তে খুঁজে পান বরফের মধ্যে পড়ে আছে হাতির বাচ্চার মত একটি প্রানি। ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া দেহটির ওজন ছিল ৫০ কেজির মত আর ২.৮ ফুট উচু আর ৪.৩ ফুট লম্বা মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন Yuri Khudi ,পরে বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করেন এটি এক শ্রেণীর The woolly mammoth যা Lyuba নামে পরিচিত,উদ্ধার করা বাচ্চাটি ১ মাস বয়সী আর এটি মারা যায় প্রায় ৪২,০০০ বছর আগে কিন্তু বরফের মধ্যে থাকায় মৃতদেহটির কোন অংশই নষ্ট হয়নি। আর এটি এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া mammoth এর মধ্যে সবথেকে ভাল অবস্থায় পাওয়া গেছে।
Montauk Monster
নিউইয়র্কের Montauk শহরের সমুদ্র পাড়ে ২০০৮ সালের জুলাইতে Jenna Hewitt এবং তার তিন বন্ধু এক অদ্ভুত প্রানির মৃতদেহ দেখতে পান,খবরটি মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া পড়ে,প্রাণীটির ছবি মুহূর্তে নেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে সাড়া দুনিয়ায়,নানা রকম মতবাদ আসতে থাকে প্রানিটির নাম নিয়ে। চলে নানা গবেষণা,অবশেষে ২০১১ এর ১৪ই মার্চে National Geographic এটি নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রচার করে যেখানে তারা দেখান যে প্রাণীটি আসলে একটি raccoon.
Zuiyo Maru
Zuiy? Maru নামক একটি জাপানিজ ট্রলার মাছ ধরছিল নিউজিল্যান্ডের Christchurch উপকূলে,১৯৭৭ সালের ২৫শে এপ্রিল সাগরের ৩০০ মিটার গভীরতায় জালে বড় কিছু বাধার সংকেতে জাল উপরে তুললে অবাক বিস্ময়ে দেখেন জালে আটকানো রয়েছে প্রায় ১৮০০ কেজি অজন আর ৩০০ মিটার লম্বার এক অদ্ভুদ প্রানির মৃতদেহ। প্রাণীটির মাথা ৫ ফুট লম্বা, বড় ৪টি পাখা আর ৭ ফুট লম্বা লেজ ছিল। জেলেরা ভয়ে প্রাণীটির কিছু ছবি তুলে আর কিছু নমুনা রেখে প্রাণীটির মৃত দেহটি আবার সাগরে ফেলে দেয়। তারপর জেলেরা কুলে ফিরে আসলে ছবি ডেভালপের পর পত্রিকায় ব্যপক রিপোর্ট করা হয় সংবাদ টা নিয়ে,চলে নানা মতের যুক্তি পাল্টা যুক্তি কিন্তু অমমাংসিত রয়ে যায় প্রাণীটির আসল পরিচয়।
San Pedro Mountains Mummy
১৯৩২ সালের অক্টোবরে Cecil Mayne এবং Frank Carr সোনার খোজে চষে বেড়াচ্ছিল San Pedro Mountain,তারা হটাৎ একটি রুম পেয়ে যায় গর্ত করতে যেয়ে,রুমে ঢুকে তারা অবাক হয়ে যায় একটি মমি দেখতে পেয়ে কারণ মমিটি ছিল মাত্র ৭ ইঞ্চি এক মানুষের। মমির মৃতদেহটি ছিল খুবই নরমাল অবস্থায় যেন কিছুক্ষন আগে মারা গেছে,মমিটির ছিল চ্যাপ্টা নাক,বড় মুখ আর পাতলা ঠোট বিশিষ্ট। সারা দুনিয়ার গবেষকরা হাজির হয় সেখানে,চলে ব্যাপক গবেষণা।
১৯৫০ সালে নানা রকম x-rays করে পাওয়া যায় মমিটির কলার বন আর কিছু হাড় ছিল ভাংগা, যাতে ধারণা করা হয় খুবই করুন ভাবে মৃত্যু হয়েছিল তার।
Panama Creature
পানামার Cerro Azul শহরে ২০০৯ সালে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা,সেপ্টেম্বারের এক সকালে কিছু কিশোর একটি গুহায় ঢুকে পড়ে খেলতে খেলতে,হটাত এক আজব দর্শনের প্রানি তাদের তাড়া করলে তারা তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে সেখান থেকে পালিয়ে আসে, বিকালে তারা সেখানে আবার যেয়ে প্রাণীটির কিছু ছবি তুলে প্রাণীটি পাশের লেকে ফেলে দেয়,পরে ছবি গুলা তারা একটি টিভি স্টেশনে দিলে তারা একটি রিপোর্ট করে এ বিষয়ে,সেখানে ছবি গুলায় দেখা যায় প্রাণীটির পশম ছাড়া চামড়ার দেহ ওয়ালা প্রাণীটির দাঁত গুলা অনেক বড়,নাকটিও বড় আর রয়েছে লম্বা বাহু।
পরে হইচই পরে যায় ঐ এলাকায়,হয় অনেক তল্লাশি কিন্তু ঐ রকম প্রানি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি কোথাও ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।