আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সারা

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

ছোটবেলায় সারার সাথে বেশি একটা কথা বলতাম না। কেন বলব? ওতো আমার থেকে অনেক ছোট। পাককা দের বছর! কিচ্ছু বুঝবে না। এই ভেবে গত চার বছর ওর কাছে ভালো ভাবে চিঠিও লিখিনি।

কিন্তু 15ই নভেম্বরে ওদের বাসায় ঢোকার সাথে সাথে সব পালটে গেলো। ও হয়ে গেলো আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। সেদিন রাতে ওদের বিরাট খাটে আমরা দুই জন শুয়ে ছিলাম। প্রথম প্রশ্নগুলো সারাই করলো... অস্ট্রেলিয়া কেমন.. এই সেই। তারপর আস্তে আস্তে পাশের বাসার ছেলে থেকে লিপগ্লস, তা থেকে বসুন্ধরা শপিং সেন্টার।

প্রায় সারা রাত কাটিয়ে দিলাম কথা বলে। এর পর, সারাক্ষন একসাথে থাকতাম। ওর ধুলো মাখা দাবার সেটটা নামিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা খেলে যেতাম। ছাদে উঠে বড় হওয়ার ভাব করতাম। একসাথে সেজে গুজে বসে থাকতাম।

নানুবাড়িতে যাওয়ার পর আরও মজা হলো। পুকুর পারে বসে বসে গানের কলি খেলা থেকে শুরু করে, ওর ছোট বোনকে বকা দেওয়া কিছুই বাদ যায় নি। বড় ভাইয়াদের গোপন প্রেম কাহিনী নিয়ে ব্ল্যাকমেইলও করতাম। চলে আসার সময় কাদতে কাদতে কাজল ছড়িয়ে ফেলেছি দুই জনই। চিঠি লেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেষ বারের মত আমাদের গোপন সংকেতে কথা বললাম।

কয়েকদিন আগে সারার চিঠি পেয়েছি। আমি লিখেছিলাম 4 পৃষ্ঠা, ও লিখলো 1 পৃষ্ঠা। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলেও খুবই খুশি লাগছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.