চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী। রাত দিন চলছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। গ্রামীণ জনপদে এখন উত্সবের আবহ। ঈদের আনন্দ ফুরাতে না ফুরাতেই শুরু হচ্ছে নবান্নের আয়োজন।
ফসল ভাল হওয়ায় কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসি। তারা আশা করছেন এবার সোনালী ধানে ভরে যাবে তাদের গোলা।
চট্টগ্রামের শস্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত রাঙ্গুনিয়া, রাউজান উপজেলাসহ ১৪ উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। কৃষকরা বলছেন, এবার ফলন ভাল হয়েছে। কারণ আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।
দেশের অন্য এলাকায় এবারও আমনে সম্পূরক সেচ দিতে হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম অঞ্চলে এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাড়তি সেচের কোন প্রয়োজন হয়নি।
গেল মাসে সমুদ্রে দুই দফা নিম্নচাপ হলেও বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় না হওয়ায় ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। এবার উন্নত বীজ, সার এবং কীটনাশকও পাওয়া গেছে যথা সময়ে। দেশের অন্যান্য এলাকায় আমন ক্ষেতে মাজরা পোকা, শীষ কাটা ফড়িংসহ নানা পোকার আক্রমণ সেই সাথে রোগ-বালাইয়ের খবর পাওয়া গেলেও চট্টগ্রাম অঞ্চলে তেমন কোন রোগ-বালাই হয়নি।
এসব কারণে ফলন ভাল হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এখনও পর্যন্ত হেক্টর প্রতি যে ফলন পাওয়া যাচ্ছে তাতে এবার আমনের বাম্পার ফলনের ইঙ্গিত মিলছে। উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করছেন তারা। অধিদপ্তরের হিসাব মতে এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলায় ৫ লাখ ৭০ হাজার ৪০৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৩ হেক্টর।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হুদা বলেন, জেলার রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, চন্দনাইশসহ কয়েকটি উপজেলায় পুরোদমে ধান টাকা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সব উপজেলাতেই আগাম আমন ঘরে উঠতে শুরু করেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।