আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে এসেছে সার্কুলার ট্রেনের প্রথম দুটি চালান ।। চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহন শুরু এপ্রিল থেকে

চীন থেকে আমদানিকৃত সার্কুলার ট্রেনের প্রথম চালানের দুটি ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। গতকাল এই ট্রেন খালাস করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। আজকালের মধ্যে এই ট্রেন ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। আগামী দিন কয়েকের মধ্যে আরো তিনটি ট্রেন এবং পরবর্তীতে প্রতি মাসে দুই তিনটি করে ট্রেন চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র গতকাল এই খবর নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় চারশ’কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সার্কুলার ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। আগামী মাসেই এই ট্রেন ঢাকা এবং পরবর্তী মাসে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে। জানা গেছে, প্রতিটি ট্রেনে তিনটি বগি রয়েছে। সামনের এবং পেছনের বগিতে চালকের বসার কেবিন রয়েছে। অর্থাৎ এই ট্রেন সামনে এবং পেছনে থেকে চালানো যায়।

এই ট্রেনে আলাদা করে কোন ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই। ১৮০ ফুট দীর্ঘ এই ট্রেনের তিনটি বগিতে তিন শতাধিক যাত্রী পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রাথমিকভাবে চারটি ট্রেন দেয়া হবে। সার্ভিসটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, দেশে যানজট পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থা ভয়াবহ। যানজটের কবলে পড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের কোটি কোটি শ্রম ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার জ্বালানি অহেতুক পুড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থার অবসানে সরকার রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামে কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য চীন থেকে সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় ২০টি কমিউটার ট্রেন কিনে আনার প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়।

রাজধানী ঢাকা থেকে জয়দেবপুরসহ সন্নিহিত এলাকায় একটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে বিদ্যমান রেললাইন ব্যবহার করেই এই সার্কুলার ট্রেন পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রামে জ্বালানি তেলের প্রধান তেল সংরক্ষণাগার পতেঙ্গা থেকে তেল পরিবহনের জন্য বিদ্যমান যে রেল লাইন রয়েছে সেটির উপর দিয়ে কমিউটার ট্রেন চালানো হবে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কদমতলী পাহাড়তলী হয়ে ফৌজদারহাট এবং সেখান থেকে পোর্ট কন্টেনার ইয়ার্ড, সল্টগোলা ক্রসিং হয়ে ঘুরে কদমতলী লেবেলক্রসিং এর কাছে এসে থামবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং লাইন সংস্কার করা হয়েছে।

চীন থেকে সংশ্লিষ্ট লোকজন এসে এই ট্রেন পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো তিনটি ট্রেন আসবে। দ্বিতীয় চালানের ট্রেনগুলো দিয়ে চট্টগ্রামে কমিউটার ট্রেন সার্ভিস শুরু হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে চারশ’ কোটি টাকা দামের বিশটি ট্রেনই দেশে এসে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ের পদস্থ একজন কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীর সাথে আলাপকালে জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রেনটি বেশ জনপ্রিয়।

অনেক উন্নত শহরে মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে এই ট্রেন ব্যবহার করেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনের ভ্রমণ খুবই আরামদায়ক বলেও তিনি জানান। চট্টগ্রামে এই সার্ভিস যথাযথভাবে কার্যকর হলে নগরীর যানজট বহুলাংশে ঘুচে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.