অতি সাধারণ চোখ ভরা স্বপ্ন স্বপ্ন দেখি ভাল কিছু করার। লেখালেখি করার চেষ্টা করি তবে ভাল ভাবে পারি না । তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মোবাইল ফোন জিনিসটা বর্তমানে আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা বিশ্বের অনান্য উন্নয়নশীল দেশের গ্রাহকের সংখ্যার তুলনায় নেহাত কম নয়।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা যেমন উপকারী হচ্ছি তেমন আমাদের দেশে মোবাইল ব্যবহারের উপর সঠিক নীতিমালা না থাকার কারণে মোবাইল ব্যাবহারের খারাপ দিক গুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে বেশী ক্ষতি হচ্ছে আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজ।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল গ্রাহকের একটা বিরাট অংশ হচ্ছে স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও যুবক যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে। আমাদের দেশে বয়স ও শিক্ষার মাঝে একটা সামজস্য হল যে কেউ ১৬ বছরের দিকে এস.এস.সি ও ১৮ বছর বা তার আগে এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেয়। সেই হিসেবে যারা এখনো এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেয় নি অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে তাদের হাতে মোবাইল থাকাটা একটা খারাপ দিক যা আমাদের জন্য একটা বড় চিন্তার বিষয়।
এখনতো দেখা যায় যে সপ্তম অষ্টম শ্রেনীতে থাকতেই অর্থাৎ ১৪,১৫ বছর বয়সে বিভিন্ন কারনে মা-বাবা সন্তানদের হাতে মোবাইল তুলেদেয়। যা আমাদের জন্য কত বড় বোকামী তা এক সময় ঠিকই উপলব্ধি করা যায়। কারন ছাত্র-ছাত্রীরা বেশীর ভাগ ক্ষেএে তার সঠিকভাবে ব্যবহার করে না । ফলে সবার জন্য তা হিতে বিপরীত হয়। অনেক মা বাবা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা বা কোন কিছু বিবেচনা করে তাদের হাতে মোবাইল তুলে দেয় কিন্তু সবার একটা কথা খেয়াল রাখতে হবে যে এক সময় মোবাইলের এমন প্রচলন ছিলনা তখনও কিন্তু অনেকে এই সময়টা অনেক ভালভাবে পার করে এসেছে।
আর একটা মোবাইল থাকলেই যে নিরাপত্তায় থাকা যায় তাও ঠিক না।
এখন ছাত্র-ছাত্রীদের কথাই বলি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান কাজ হচ্ছে লেখাপড়া করা। আর বর্তমানে যে ছাত্র-ছাত্রী রাত জেগে পড়াশুনা করার কথা তারা আজ তাদের সহপাঠি বা অন্য কারো সাথে মোবাইলে কথা বলে রাত কাটিয়ে দেয়। অনেকে দিনেও কথা বলে কিন্তু দিনে বিভিন্ন ব্যস্থতা ও কারনে বেশী সময় কথা বলার সময় হয়ে উঠে না ।
ফলে তারা রাত্রটাকে বেছে নেয় তার রাত্রের জন্য সকল মোবাইল কোম্পানীর একটা স্পেশাল একটা রেটতো আছেই যা বেশী কথা বলার একটা অন্যতম কারন। বেশী রাত নির্ঘুম থাকার ফলে পর দিন ঠিক মত ক্লাসে মনোনিবেশ করতে পারে না। ফলে তারা শুধু লেখাপড়ার দিক দিয়ে পিছিয়ে পরে না পিছিয়ে পরে জীবনের সঠিক রাস্তা হতেও যা আমাদের জন্য বড়ই উদ্দেগের বিষয়। এক সময় দেখা যায় তাদের এই কথা বার্তা এক পর্যায়ে বিরাট প্রনয়ে রুপ নেয়। তখন মা-বাবা তাকে এই পথথেকে ফিরানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে।
এবং সৃষ্টি হয় নানা অনাকাক্ষিত ঘটনা।
মোবাইলের একটি খারাপ দিক হল বর্তমানে কম দামে অর্থাৎ দেড় হাজার থেকে দুই হজার টাকার মধ্যে মোবাইল কিনলে তাতে মেমোরী কার্ড ব্যবহার করা যায়। আর এই মেমোরী কার্ডের মধ্যে তারা বহন করে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও যা কিনা আমাদের তরুন পজন্মের জন্য কতটা খারাপ দিক বয়ে আনে তা বলে শেষ করা যাবে না । আর বর্তমানে এই সব কিছু তারা তাদের হাতের নাগালে পায়। কারন বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে তা সহজে তা লোড করতে পারে।
এসব কিছু দেখে তারা হয়ে যায় আগ্রাসী ও র্নিলজ্জ। ফলে তাদের মনে তৈরী এক অদৃশ্য কামনা ফলে এরা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ সম্পক্য তৈরী করে অথবা আশ্রয় নেয় আইন বিরোধী নানা কাজের। বর্তমানে আমাদের দেশের একটা অন্যতম প্রধান সমস্যা ইভিটিজিং এর ফল বলে আমি মনে করি।
মোবাইল ফোনের ভিডিও ও ক্যামেরা হিসেবে যে দুটি ফাংশন রয়েছে তার ব্যবহার আমরা সবাই জানি। কিন্তু এগুলোর অপব্যবহারের ফলে আমাদের সমাজে সৃস্টি হয় নানা অপত্তাসিত ঘটনা।
যা পরবর্তিতে মানুষের মান সম্মানের উপর কতটা প্রভাব পরে তার উদাহরন আমরা সচরাচর দেখতে পাই।
এই অবস্থা হতে উত্তরনের জন্য আমাদের এখনি কোন সঠিক ব্যবস্থা না গ্রহন করলে আমাদের দেশের জন্য তা আরুও বিপত্তিকর অবস্থা তৈরী করতে পারে। তাই আমার মতে সর্বপ্রথম আমাদের দেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ও অপাপ্ত বয়স্ক লোকের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়ার ব্যাপারে একটা স্ষ্টু নিতী মালা প্রনয়ন করা প্রয়জন। কারন একটি সঠিক নীতি মালা ছাড়া এটা হতে সমাজকে রক্ষা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। যদি সরকার প্রদত্ত কোন আইন বা নীতি মালা প্রনয়ন করা না হয় তবে আমাদের সন্তানদের এই সব অনৈতিক কাজ হতে রক্ষা করার জন্য আমাদের নিজেদের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত যেমন আমাদের সন্তানের হাতে মোবাইল দেওয়া আমাদের একেবারে ঠিক হবে না ।
যদি কোন বিশেষ কারণে মোবাইল দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে থাকে হবে তাদের হাতে যথসম্ভব কমদামি অর্থাৎ সাধারনত যে সকল মোবাইলে ক্যামেরা ও ভিডিও ফাংশন না থাকে এবং যে সকল মেমোরী কার্ড ব্যবহার না করা যায় সেই সকল মোবাইল দিতে হবে । সন্তান যখন মোবাইল ব্যবহার করে তখন একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেন এদের কাছে রাত্রে মোবাইল না থাকে।
আর যারা স্কুলে শিক্ষকতা করেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে মোবাইল ব্যবহার না করতে পারে।
আমাদের একটা সাধারন পদক্ষেপ গ্রহন করার মার্ধমে আমরা একটি বিরাট ধ্বংশের হাত থেকে আমাদের যুব সমাজকে ও আমাদের নবীন জাতিকে র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।