মায়ানমারের বর্তমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে অনেকে জাতিগত দাঙ্গা বলে থাকেন। আসলে জাতিগত দাঙ্গা মুলত জাতীয় চেতনা থেকে সৃষ্টি হয় এবং এর পেছনে থাকে স্বা-ধিকার কিংবা আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টির চিন্তা-ভাবনা। যেমন- শ্রীলংকায় সিংহলি ও তামিলদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা হয়েছে
কিন্তু বর্তমানে মায়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা এবং সেখানকার সংখাগরিষ্ট বৌদ্ধালম্বিদের মধ্যে সৃষ্ট দাঙ্গাকে কোনোভাবে জাতিগত দাঙ্গা বলা যায় না। এটা Totally সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। কারণ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা চায় সেখানকার বসবাসকারী মূল স্রোতের সাথে মিশে যেতে।
কিন্তু কিছু উগ্র বৌদ্ধালম্বি, জান্তা সরকার ও শান্তির মাদার, সূচির নিরবতা সেখানকার বহুদিনের বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বর্তমান বিশ্বে এটা মোটেই কাম্য নয়।
Communal Riot বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এতোটাই ভয়াবহ যে, আতঙ্কে আর ভয়ে মৃত্যু প্রহর গুনতে হয় সবসময়। গণ-হত্যা চালানো হয় নির্বিচারে। যেখানে শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ কেউ রক্ষা পায় না।
জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাপ-দাদার বসতবাড়ি। লুটপাট করা হয় ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান-দোকানপাঠ।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধের জন্য প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সুশিক্ষা ও উদার নৈতিকতা। বাস্তবায়ন করতে হবে শক্তিশালী Riot Act । জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বাঘা-বাঘা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্ট করতে হবে।
এবং মায়ানমারের সরকারকে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
একজন বৌদ্ধ কিংবা মুসলমানকে বোঝতে হবে, আমি বৌদ্ধ কিংবা মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি বলেই আজ আমি বৌদ্ধ কিংবা মুসলমান। ধর্ম যার যার, দেশ সবার।
মানুষকে ধর্ম দিয়ে বিবেচনা করা ঠিক নয়। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে তাঁর শিক্ষা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও বুদ্ধিদীপ্ত কার্যাবলী দ্বারা।
বৈচিরত্রা(Diversity) বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটা দেশকে তাঁর সর্বোচ্চ শিখড়ে পৌঁছে দিতে পারে।
“বন্ধ হোক সব হানাহানি
মুক্ত হোক সব বন্ধন। ”
‘সর্ববি স্বাত্তা, সুখিত ভবানী, জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।