আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মায়ানমারের অগ্রগামিতা এবং আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা

মায়ানমার সরকার সেদেশের তেল এবং গ্যাস সেক্টরে স্বচ্ছতা আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মায়ানমারের জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক সম্মেলনে বলেছেন যে শক্তি সঞ্চয়ের অধিকারের ক্ষেত্রে নিলামে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হবে। অনেকগুলি বড় বড় বিদেশী তেল সংস্থা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিল। যেহেতু পশ্চিমারা মায়ানমারের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল এতদিন, বিশ্বের বড় বড় জ্বালানী প্রতিষ্ঠান গুলো সম্ভাব্য তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে দৃষ্টি দিয়েছিল উন্নয়নশীল চায়না, বাংলাদেশ ও ভারতের দিকে। এখন নজর তাদের মায়ানমারের দিকে।

অবশ্য ভয় আছে যে,মায়ানমারের শিল্প কারখানা ও শক্তি উৎপাদন আবারও বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে দুর্নীতির কারণে। মায়ানমারকে প্রমাণ করতে হবে এর জনসংখ্যার তুলনায় তারা প্রাকৃতিক সম্পদের যোগান দিতে পারবে এবং তা ধারাবাহিকভাবে ধরে রাখতে ও নিরাপত্তার জন্য যে অর্থ প্রদানের চুক্তি করা হয়েছে তা দিতে পারবে। জানুয়ারীতে মায়ানমার ১৮ টি সমুদ্রতীরাভিমুখী তেলের ব্লকের জন্য দরপত্র আহবান করে। শুধু দুটি পশ্চিমা কোম্পানি মায়ানমার এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল - Total ও Chevron। অনুমোদনের পূর্বেই প্রবেশ করায় তারা অভিযুক্ত হয়েছিল সামরিক সরকারের স্বার্থ রক্ষা করে চলার এবং বলপূর্বকভাবে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য।

এ কোম্পানিগুলো এখন ভোল পালটে ফেলেছে। মায়ানমারের অগ্রগামিতা বাংলাদেশের জন্য বোধকরি খারাপ। Regional competition বহুগুনে বেড়ে গেলো। বাংলাদেশকে এখন আরও forward looking কৌশল নিতে হবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।