আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরীহ (ধারাবাহিক উপন্যাস)

I am Bangladesh supporter ১ আকাশে চাঁদ উঠেছে। আমিন এক দৃষ্টিতে অবলোকন করছে। কতবার এভাবে লেখক তার লেখা শুরু করেছে। কিন্তু সমাপ্তি করতে পারে নাই। লেখকের দুঃখ, তার প্রতিভার কেউ স্বীকৃতি দেয় না।

কেউ তার লেখা পড়ে না। তাও সে লেখে যায়। অর্থাৎ, তার আর কিছু করার না থাকলে সে করবেটা কি? জীবিকা নির্বাহ করার ক্ষমতা তার নেই। তাও, যদি লেখালেখি করে কিছু খেতে পারে। অর্থাৎ, এই লেখক পেটুক।

লেখক তার লেখা লেখে যায়। চাঁদের মধ্যে কাউকে খুঁজছে। তার বন্ধু মোবারক তাকে চাঁদের মধ্যে কাউকে খুঁজতে বলেছে। কোন এক নারীকে । যে তার জন্য তার বিধাতা সৃষ্টি করেছেন।

কিন্তু আমিন শুধু চাঁদ দেখে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে। এইটুকু লেখে লেখক থামে। কারণ, দীর্ঘনিশ্বাস সেও ফেলে। এখন কি নিজের জীবনের কোন কাহিনী লেখবে ! নাকি কল্পনার এই নায়ককে এক নতুন কাহিনীর মাধ্যমে ওই দীর্ঘনিশ্বাসের কারণ প্রকাশ করবে। এই চাঁদ আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যাবে।

যেমন তার প্রিয়া ক্ষয়ে যাচ্ছে। প্রিয়ার একটি নাম দিতে হবে। নায়কের নাম আমিন। নায়িকার নাম কি হবে? নূরজাহান। থাক নুরশাদ রাখা যাক।

লেখকের ইচ্ছা আমিন-নুরশাদ অমর জুটি হয়ে যাক। যেমন, লইলি-মজ্জনু বা জুলিয়ট-রোমিও। নুরশাদ-নামটি ধ্বনিত হলে যন্ত্রণার ঘন্টা জোরে জোরে বাজতে থাকে আমিনের হৃদয়ের প্রতি কোনায়। সে যে কোথায়, তা আমিন জানে না। তবে, তার প্রতিচ্ছবি আজও তার চোখের মধ্যে প্রতিসরণ হয়ে রয়েছে।

মরীচিকার মতো স্বপ্নে তাকে খুঁজে। ভাষা কি কঠিন হয়ে যাচ্ছে? লেখক চিন্তায় পড়ে যায়। লেখক চিন্তা করে, এখন আরো কিছু চরিত্র প্রবেশ করতে হবে। সাথে কিছু সংলাপ জুড়ে দিতে হবে। মোবাইলটা বেজে উঠল।

-হাই। -কি রে ,কি করছিস? -আকাশ দেখছি। আকাশের টিপ ওই চাঁদকে দেখছি। -চাঁদের মধ্যে কাকে দেখছিস? -কাউকে না। লেখক আবার থেমে গেল।

সংলাপগুলো হালকা হয়ে যাচ্ছে। আরেকটুক ভারি করতে হবে। - এই তুই কার সাথে কথা বলছিস? - নাইমের সাথে। - কি দিয়ে? - মোবাইল দিয়ে। -তোর কাছে তো মোবাইল নেই! সত্যি আমিনের কাছে মোবাইল নাই।

সে চাঁদ দেখছি না। তার হাত পা বাঁধা। তার রুমে কেউ নাই। সে পাগলের হসপিটালে। লেখক এই লেখে তার লেখা শেষ করল।

হঠাৎ শুরু হঠাৎ শেষ। ছোট এই কাহিনীতে রয়ে হাজার প্রশ্ন। কি দিবে এর উত্তর? (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।